Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠক

বৈঠকের ছবি

রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, অচিরেই বাস কম্পানি রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রগতি হবে। মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দক্ষিণের মেয়র বলেন, কমিটির বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠানোর কোন বিধান রাখা হয়নি। কেউ প্রতিনিধি পাঠালে তাকে অনুপস্থিত হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন

ব্যারিস্টার তাপস এ সময় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১২ সদস্যবিশিষ্ট বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি করা হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপনে যাদের নাম দেওয়া আছে বা যে পদের বিপরীতে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে, এই বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে তাদেরকেই আসতে হবে। কারণ প্রজ্ঞাপনে কোনো প্রতিনিধি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি প্রেরণের বিধান রাখা হয়নি। এখন থেকে কেউ প্রতিনিধি পাঠালে আমরা ধরে নেবো তিনি অনুপস্থিত। প্রতিনিধিকে উপস্থিতি হিসেবে আমরা দেখাবো না।

এরপর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে যানজট নিরসনে অচিরেই বাস কম্পানি রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রগতি হবে বলে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বলা যায় প্রায় শূন্য হতে আমাদেরকে শুরু করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন : এক মাসে সড়কে ২৭৩ দুর্ঘটনায় ৩০৪ জনের মৃত্যু

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গণমাধ্যমকে আরো বলেন, আমাদেরকে আবারও নতুন করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বাস রুট রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিবেদন আমরা হাতে পেলে আগামী সভা থেকে কাজ শুরু করবো। প্রতিবেদন হাতে পেলে এই কার্যক্রম আমরা বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমে পরিণত করতে পারবো। তবে আমরা দুই মেয়র ইনশাআল্লাহ দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, ভবিষ্যতে অগ্রগতি হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার তাপস আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন এর আগেও সময়সীমার দিয়ে সেটা রক্ষা করা যায়নি। সুতরাং কোনো সময় সীমা না দিয়ে এটা বলতে পারি, আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলেছি। সেই নিষ্ঠার প্রতিফলন আপনারা পাবেন।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শতকরা ৬৩ ভাগ মানুষ বাসে চলাচল করে। আমরা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আলোচনা করেছি। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক যে চেষ্টা করেছিলেন সেই চেষ্টার ধারাবাহিকতায় ঢাকা সিটির দুই মেয়র আমরা এটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছি। এটার একটা রূপ অচিরেই দেখা যাবে। জনগণের স্বপ্ন বাস রুট রেশনালাইজেশনে দুই মেয়র একত্রে কাজ করবো এই নিশ্চয়তা আজকে দিতে পারি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ মজুমদার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, উভয় সিটি কর্পোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠক

প্রকাশের সময় : ০৫:৪১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, অচিরেই বাস কম্পানি রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রগতি হবে। মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দক্ষিণের মেয়র বলেন, কমিটির বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠানোর কোন বিধান রাখা হয়নি। কেউ প্রতিনিধি পাঠালে তাকে অনুপস্থিত হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন

ব্যারিস্টার তাপস এ সময় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১২ সদস্যবিশিষ্ট বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি করা হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপনে যাদের নাম দেওয়া আছে বা যে পদের বিপরীতে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে, এই বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে তাদেরকেই আসতে হবে। কারণ প্রজ্ঞাপনে কোনো প্রতিনিধি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি প্রেরণের বিধান রাখা হয়নি। এখন থেকে কেউ প্রতিনিধি পাঠালে আমরা ধরে নেবো তিনি অনুপস্থিত। প্রতিনিধিকে উপস্থিতি হিসেবে আমরা দেখাবো না।

এরপর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে যানজট নিরসনে অচিরেই বাস কম্পানি রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রগতি হবে বলে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বলা যায় প্রায় শূন্য হতে আমাদেরকে শুরু করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন : এক মাসে সড়কে ২৭৩ দুর্ঘটনায় ৩০৪ জনের মৃত্যু

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গণমাধ্যমকে আরো বলেন, আমাদেরকে আবারও নতুন করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বাস রুট রেশনালাইজেশন এবং টার্মিনাল নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিবেদন আমরা হাতে পেলে আগামী সভা থেকে কাজ শুরু করবো। প্রতিবেদন হাতে পেলে এই কার্যক্রম আমরা বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমে পরিণত করতে পারবো। তবে আমরা দুই মেয়র ইনশাআল্লাহ দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, ভবিষ্যতে অগ্রগতি হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার তাপস আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন এর আগেও সময়সীমার দিয়ে সেটা রক্ষা করা যায়নি। সুতরাং কোনো সময় সীমা না দিয়ে এটা বলতে পারি, আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলেছি। সেই নিষ্ঠার প্রতিফলন আপনারা পাবেন।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শতকরা ৬৩ ভাগ মানুষ বাসে চলাচল করে। আমরা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আলোচনা করেছি। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক যে চেষ্টা করেছিলেন সেই চেষ্টার ধারাবাহিকতায় ঢাকা সিটির দুই মেয়র আমরা এটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছি। এটার একটা রূপ অচিরেই দেখা যাবে। জনগণের স্বপ্ন বাস রুট রেশনালাইজেশনে দুই মেয়র একত্রে কাজ করবো এই নিশ্চয়তা আজকে দিতে পারি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ মজুমদার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, উভয় সিটি কর্পোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।