বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়িতে পানিতে ভেসে ম্রো সম্প্রদায়ের ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকালে জেলার কালাঘাটা গুদারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নার্গিস সুলতানা জানান, অতিবৃষ্টিতে কালাঘাটা গোধার পাড় এলাকায় একটি পাহাড়ের একাংশ ধসে পড়ে। এতে মাটি চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। তারা পৌরসভার কালাঘাটা বোদার পাড় এলাকার বাসি শীলের স্ত্রী ও মেয়ে। এদের মধ্যে বাসি দাসের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বৃষ্টি আর বন্যার পানিতে তাকে উদ্ধারে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এই সরকারি কর্মকর্তা।
এ ছাড়া নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধসে একজনের মৃত্যুর খবর শোনা গেলেও যোগাযোগ বিপর্যস্ত থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল আর পাহাড় ধসে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান। বেশির ভাগ এলাকা টানা দুদিন ধরে বিদ্যুৎহীন। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর রোববার বান্দরবানে ৩৪২ মিলিমিটার এবং সোমবার ২৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। ফুলে-ফেঁপে উঠেছে জেলার প্রধান দুই নদী সাঙ্গু ও মাতামুহুরী।
জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে, বন্যা পরিস্থিতিতে তলিয়ে গেছে হাজারো ঘরবাড়ি। পানিবন্দি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে ঠাঁই নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, জেলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লামা ও সদর উপজেলায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে কয়েকজন। ২৫৬ টি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ২টি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প কাজ করছে। একাধিক টিম দুর্গতদের সহযোগিতায় কাজ করছে।