বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
বান্দরবানের তিন উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই তিন উপজেলার গ্রাহকরা জেলা সদরের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান গণি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, বান্দরবানের তিন উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই তিন উপজেলার গ্রাহকরা জেলা সদরের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
এ দিকে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঈদের এই সময়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এর আগে বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুমা সার্কেল মো. জুনায়েদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন।
রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় গত মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে অস্ত্রধারীরা হামলা চালায়। টাকা লুট করতে ব্যর্থ হয়ে হামলাকারীরা সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অপহরণের করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি লুট করে। মানুষের মুঠোফোনও নিয়ে গেছে তারা। এরপর বুধবার বেলা একটার দিকে থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় হামলা করে অস্ত্রধারীরা সাড়ে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির সঙ্গে নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ সদস্যরা জড়িত বলে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। থানচির ঘটনার সঙ্গেও কেএনএফ জড়িত বলে স্থানীয় লোকজন বলছেন।