Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে সবজির দাম, স্বস্তিতে মাছ-মাংসের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শীত মৌসুম শেষ হতে থাকায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে কয়েকটি সবজির সরবরাহ কমেছে। এদিকে নতুন কিছু গ্রীষ্মকালীন সবজিও এসেছে বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, যে সবজিগুলোর সরবরাহ কমেছে সেগুলো দাম কিছুটা বাড়ছে। তবে তেলাপিয়া-পাঙ্গাসসহ বেশ কিছু মাছ এবং মুরগির মাংসের দাম দুইশোর নিচে থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণিতে। গরু-খাসির মাংস অপরিবর্তিত রয়েছে বলেও বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে সিম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি বড় সাইজের ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা কেজি ২০ টাকা, মটরশুঁটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, খিরাই ৫০ টাকা এবং শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর মুখী ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা এবং ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার লাল আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আদা ১৪০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা, মিনি কেট চাল ৭৮ থেকে ৮৬ টাকা এবং নাজির সের ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে সোনালি কক মুরগি ৩৩০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগী ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ২০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৬০ টাকা করে দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার চড়া রয়েছে। এসব বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ১৭০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা , মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কুড়াল মাছ ৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাহাড়তলীর আড়তে গত সপ্তাহে বিভিন্ন ধরনের চাল কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছিল। প্রতিকেজি বেতি আতপ ৫৩ টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ ৩৫ থেকে ৩৬ আর পাইজাম সিদ্ধ বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকায়। আড়তে সেই দর এ সপ্তাহেও অব্যাহত আছে, বাড়েওনি, কমেওনি।

খুচরা বাজারে চালের দর বরং আগের চেয়ে কেজিতে ২-৩ টাকা করে বেড়েছে। যেমন- প্রতি কেজি নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট সরু আতপ চাল মানভেদে ৫৮, ৬৫ ও ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম সিদ্ধ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ টাকায়। ব্রি-২৮ চাল মানভেদে ৮০ ও ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনিগুঁড়া চালের দাম প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৪০ টাকা বেড়েছে। খোলা চিনিগুঁড়া প্রতিকেজি ১৪০ টাকা এবং কিছুটা উন্নতমানের চিনিগুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৮৫০ থেকে ৮৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের বাইরে এবং বিভিন্ন অলিগলির দোকানে প্রতি লিটারে অন্তঃত ২০-৩০ টাকা বাড়তি দাম দাবি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। এ হিসেবে সরিষার তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৫০ টাকার বেশি।

রমজানকে সামনে রেখে প্রতিবছর ছোলার দর বেড়ে যায়। তবে এবার কিছুটা স্থিতিশীল আছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিদরে। খুচরায় বিভিন্ন মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। অবশ্য এক সপ্তাহ আগে ছোলার দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কম ছিল।

ডালের মধ্যে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, খোলা ময়দা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও লাল চিনি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাড়ছে সবজির দাম, স্বস্তিতে মাছ-মাংসের

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শীত মৌসুম শেষ হতে থাকায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে কয়েকটি সবজির সরবরাহ কমেছে। এদিকে নতুন কিছু গ্রীষ্মকালীন সবজিও এসেছে বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, যে সবজিগুলোর সরবরাহ কমেছে সেগুলো দাম কিছুটা বাড়ছে। তবে তেলাপিয়া-পাঙ্গাসসহ বেশ কিছু মাছ এবং মুরগির মাংসের দাম দুইশোর নিচে থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণিতে। গরু-খাসির মাংস অপরিবর্তিত রয়েছে বলেও বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে সিম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি বড় সাইজের ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা কেজি ২০ টাকা, মটরশুঁটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, খিরাই ৫০ টাকা এবং শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর মুখী ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা এবং ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার লাল আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আদা ১৪০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা, মিনি কেট চাল ৭৮ থেকে ৮৬ টাকা এবং নাজির সের ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে সোনালি কক মুরগি ৩৩০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগী ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ২০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৬০ টাকা করে দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার চড়া রয়েছে। এসব বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ১৭০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা , মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কুড়াল মাছ ৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাহাড়তলীর আড়তে গত সপ্তাহে বিভিন্ন ধরনের চাল কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছিল। প্রতিকেজি বেতি আতপ ৫৩ টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ ৩৫ থেকে ৩৬ আর পাইজাম সিদ্ধ বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকায়। আড়তে সেই দর এ সপ্তাহেও অব্যাহত আছে, বাড়েওনি, কমেওনি।

খুচরা বাজারে চালের দর বরং আগের চেয়ে কেজিতে ২-৩ টাকা করে বেড়েছে। যেমন- প্রতি কেজি নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট সরু আতপ চাল মানভেদে ৫৮, ৬৫ ও ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম সিদ্ধ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ টাকায়। ব্রি-২৮ চাল মানভেদে ৮০ ও ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনিগুঁড়া চালের দাম প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৪০ টাকা বেড়েছে। খোলা চিনিগুঁড়া প্রতিকেজি ১৪০ টাকা এবং কিছুটা উন্নতমানের চিনিগুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৮৫০ থেকে ৮৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের বাইরে এবং বিভিন্ন অলিগলির দোকানে প্রতি লিটারে অন্তঃত ২০-৩০ টাকা বাড়তি দাম দাবি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। এ হিসেবে সরিষার তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৫০ টাকার বেশি।

রমজানকে সামনে রেখে প্রতিবছর ছোলার দর বেড়ে যায়। তবে এবার কিছুটা স্থিতিশীল আছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিদরে। খুচরায় বিভিন্ন মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। অবশ্য এক সপ্তাহ আগে ছোলার দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কম ছিল।

ডালের মধ্যে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, খোলা ময়দা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও লাল চিনি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।