Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই: জিএম কাদের

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, সরকারের তরফ থেকে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। গোটা বাজার গুটি কয়েক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই সিন্ডিকেট থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে জনগণের মুক্তি নেই।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে রংপুরে চার দিনের সফরে এসে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, দেশের বেশির ভাগ দ্রব্য আমদানি নির্ভর। আমদানির যে সক্ষমতা তা দেশের অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যেই নেই। যাদের বৈধ-অবৈধ টাকা আছে, তারাই আমদানির সুযোগটা নিচ্ছে। আর এই সুযোগটা নিচ্ছে কয়েকজন ব্যবসায়ী। সেই সাথে বাইরে থেকে যারা আমদানির সাথে জড়িত তারা সবাই প্রায় সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে, এভাবেই সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ ভালো নাই। দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস। সরকার চাইলেই এখন পণ্যের দাম কমাতে, বাড়াতে পারবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। কেননা ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা থাকা দরকার, সেই প্রতিযোগিতা নেই। এই প্রতিযোগিতা না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।

সম্প্রতি রওশন এরশাদের কাউন্সিল প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, যারা এসব করছে, তারা বেশিরভাগই জাতীয় পার্টির কেউ না, তাছাড়া এসব আইনি কোনো কাঠামোর মধ্যে থেকে হচ্ছে না। এসব বেআইনি।

তিনি আরো বলেন, যারা জাতীয় পার্টির নামে বেআইনি কিছু করছে, তাদের হলভাড়া ও অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়ে সরকার তাদের কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বেআইনি কাজে পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ না হলে দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্থ হবে। আর এতে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউরিপীয়ান ইউনিয়নের বিবৃতি প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সংসদের সমাপনী ভাষণে আমি বলেছি, নির্বাচন আইনগতভাবে হয়েছে, তবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সেই সাথে নির্বাচনে জনগণের চাওয়া পাওয়া প্রতিফলিত হয়নি। নির্বাচনটা ফ্রি স্টাইলে হয়েছে। তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও পূর্ব নির্ধারিত ছিলো, আবার কোথাও সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলনে হয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি।

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, রংপুরে জাতীয় পার্টির অবস্থা ভালো। দেশের অন্যান্য স্থানে সেই তুলনায় কম। তবে জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে। জাতীয় পার্টি এখন পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সমস্যাগুলো জানতে পারছে এবং জাতির সামনে তুলে ধরতে পারছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় নেতা আজমল হোসেন লেবু ও লোকমান হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এর আগে চারদিনের সফরে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে গাড়ি যোগে সার্কিট হাউজে পৌছান এবং সেখানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের উপস্থিতিতে সালাম গ্রহণ করেন। তিনি ১৪ মার্চ পর্যন্ত রংপুরে অবস্থান করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার উৎপল রায়, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই: জিএম কাদের

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, সরকারের তরফ থেকে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। গোটা বাজার গুটি কয়েক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই সিন্ডিকেট থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে জনগণের মুক্তি নেই।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে রংপুরে চার দিনের সফরে এসে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, দেশের বেশির ভাগ দ্রব্য আমদানি নির্ভর। আমদানির যে সক্ষমতা তা দেশের অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যেই নেই। যাদের বৈধ-অবৈধ টাকা আছে, তারাই আমদানির সুযোগটা নিচ্ছে। আর এই সুযোগটা নিচ্ছে কয়েকজন ব্যবসায়ী। সেই সাথে বাইরে থেকে যারা আমদানির সাথে জড়িত তারা সবাই প্রায় সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে, এভাবেই সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ ভালো নাই। দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস। সরকার চাইলেই এখন পণ্যের দাম কমাতে, বাড়াতে পারবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। কেননা ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা থাকা দরকার, সেই প্রতিযোগিতা নেই। এই প্রতিযোগিতা না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।

সম্প্রতি রওশন এরশাদের কাউন্সিল প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, যারা এসব করছে, তারা বেশিরভাগই জাতীয় পার্টির কেউ না, তাছাড়া এসব আইনি কোনো কাঠামোর মধ্যে থেকে হচ্ছে না। এসব বেআইনি।

তিনি আরো বলেন, যারা জাতীয় পার্টির নামে বেআইনি কিছু করছে, তাদের হলভাড়া ও অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়ে সরকার তাদের কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বেআইনি কাজে পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ না হলে দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি বাধাগ্রস্থ হবে। আর এতে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউরিপীয়ান ইউনিয়নের বিবৃতি প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সংসদের সমাপনী ভাষণে আমি বলেছি, নির্বাচন আইনগতভাবে হয়েছে, তবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সেই সাথে নির্বাচনে জনগণের চাওয়া পাওয়া প্রতিফলিত হয়নি। নির্বাচনটা ফ্রি স্টাইলে হয়েছে। তিন ধরনের নির্বাচন হয়েছে। কোথাও পূর্ব নির্ধারিত ছিলো, আবার কোথাও সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলনে হয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি।

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, রংপুরে জাতীয় পার্টির অবস্থা ভালো। দেশের অন্যান্য স্থানে সেই তুলনায় কম। তবে জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে। জাতীয় পার্টি এখন পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সমস্যাগুলো জানতে পারছে এবং জাতির সামনে তুলে ধরতে পারছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় নেতা আজমল হোসেন লেবু ও লোকমান হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এর আগে চারদিনের সফরে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে গাড়ি যোগে সার্কিট হাউজে পৌছান এবং সেখানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের উপস্থিতিতে সালাম গ্রহণ করেন। তিনি ১৪ মার্চ পর্যন্ত রংপুরে অবস্থান করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার উৎপল রায়, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।