Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজারে সরবারহে ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম বেশ বেড়েছে। বাজারে সরবারহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সবজির। বিশেষ করে কয়েকটি সবজির দাম প্রতি কেজির দাম ১০০ টাকার ঘরে পৌঁছেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্তরা আর চাপে রয়েছেন নিম্নবিত্ত ও দরিদ্ররা।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে সবজির বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০, করলা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেরস ৪০-৫০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, শশা ৫০-৬০, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেপে ৪০-৫০, কাচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।

শাকের মধ্যে পাট শাক ১৫-২০, কলমি শাক ১০-১৫, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, পুই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে আলু ৫০-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১৪০ টাকা, আমদানির পরেও খুচরা বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭৫ টাকা, রসুন ১৮০-২০০ টাকা, আদা ২০০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে দাম কিছুটা কমবেশি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়তে দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। এছাড়া আদা-রসুন ২২০ টাকার নিচে মিলছে না।

ব্রয়লার মুরগির দামে ততটা হেরফের না হলেও সোনালী জাতের মুরগির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪১০-৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।

মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি স্থানভেদে ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৫০ থেকে ৩৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের ডিমের হালি ৪৫ টাকা থেকে ৪৮, দেশি হাঁসের ডিমের হালি ৬৫ টাক দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০ টাকা এবং মানভেদে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বেড়েছে মাছের দাম। ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে গেছে অনেক আগেই। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের আগে এক কেজি ছোট ও মাঝারি আকারের পাঙাশের দাম ছিল ১৮০-২২০ টাকা, সেই একই পাঙাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। দাম বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। মাঝারি ও বড় মানের তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়। ঈদের আগে যা ছিল ২২০-২৫০ টাকা। চাষের কই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকার ওপরে। আর ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের চাষের রুই মাছের দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বড়গুলো ৩৬০-৪০০ টাকা।

বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন নেই। ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০০-১৪০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম হলে ১৬০০-১৮০০ টাকা। আর কেজি সাইজের হলে দাম দুই হাজারের ওপরে।

রাজধানীর নিউমার্কেটের সবজি মুদি বিক্রেতা মো. রিপন  জানান, সরবরাহ কম থাকার পেঁপের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পাইকারি ক্রয় করতে হচ্ছে ৭০ টাকায়। অনেক দোকানদার পেঁপে নিয়ে আসে না। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।

রাজধানীর আজিমপুর কাঁচাবাজারে সবজি ক্রয় করতে আসা রফিক মিয়া বলেন, পেঁপের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। কেন বাড়ল এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না। সাধারণ পেঁপে যদি ৮০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে আমরা কী খাবো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

বাজারে সরবারহে ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশের সময় : ১২:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম বেশ বেড়েছে। বাজারে সরবারহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সবজির। বিশেষ করে কয়েকটি সবজির দাম প্রতি কেজির দাম ১০০ টাকার ঘরে পৌঁছেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্তরা আর চাপে রয়েছেন নিম্নবিত্ত ও দরিদ্ররা।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে সবজির বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০, করলা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেরস ৪০-৫০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, শশা ৫০-৬০, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেপে ৪০-৫০, কাচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।

শাকের মধ্যে পাট শাক ১৫-২০, কলমি শাক ১০-১৫, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, পুই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে আলু ৫০-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১৪০ টাকা, আমদানির পরেও খুচরা বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭৫ টাকা, রসুন ১৮০-২০০ টাকা, আদা ২০০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে দাম কিছুটা কমবেশি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়তে দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। এছাড়া আদা-রসুন ২২০ টাকার নিচে মিলছে না।

ব্রয়লার মুরগির দামে ততটা হেরফের না হলেও সোনালী জাতের মুরগির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪১০-৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।

মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি স্থানভেদে ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৫০ থেকে ৩৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের ডিমের হালি ৪৫ টাকা থেকে ৪৮, দেশি হাঁসের ডিমের হালি ৬৫ টাক দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০ টাকা এবং মানভেদে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বেড়েছে মাছের দাম। ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে গেছে অনেক আগেই। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের আগে এক কেজি ছোট ও মাঝারি আকারের পাঙাশের দাম ছিল ১৮০-২২০ টাকা, সেই একই পাঙাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। দাম বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। মাঝারি ও বড় মানের তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়। ঈদের আগে যা ছিল ২২০-২৫০ টাকা। চাষের কই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকার ওপরে। আর ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের চাষের রুই মাছের দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বড়গুলো ৩৬০-৪০০ টাকা।

বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন নেই। ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০০-১৪০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম হলে ১৬০০-১৮০০ টাকা। আর কেজি সাইজের হলে দাম দুই হাজারের ওপরে।

রাজধানীর নিউমার্কেটের সবজি মুদি বিক্রেতা মো. রিপন  জানান, সরবরাহ কম থাকার পেঁপের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পাইকারি ক্রয় করতে হচ্ছে ৭০ টাকায়। অনেক দোকানদার পেঁপে নিয়ে আসে না। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।

রাজধানীর আজিমপুর কাঁচাবাজারে সবজি ক্রয় করতে আসা রফিক মিয়া বলেন, পেঁপের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। কেন বাড়ল এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না। সাধারণ পেঁপে যদি ৮০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে আমরা কী খাবো।