Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজারে এখনোও কোনো সুখবর নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সবজির বাজারে আগুন লেগেছে। কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না ৭০-৮০ টাকার কমে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন ও বরবটির দাম ১০০তে দাঁড়িয়েছে। তবে বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো, যার দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা। সব মিলিয়ে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। ফলে সবজি কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

এখনোও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সুখবর নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যে বলার মতো দাম কমেনি। দু-একটি পণ্যের দাম সামান্য কমলেও বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে তা বেশি। চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আর কমেনি। বলা যায়, এসব পণ্য চড়া দামে আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোল সবুজ বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। তবে লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম বলতে পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া ঝিঙা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, প্রতি পিস জালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকায়। কাঁচা কলা প্রতি হালি (৪টি) ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাজারে মূলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এর আগে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারতো মানুষ। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে। যা প্রায় মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কমেনি আদা-রসুনের দামও। মানভেদে প্রতি কেজি আদা কিংবা রসুন সর্বনিম্ন ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রাজধানীর মিরপুর কাঁচা বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আকাশ আহম্মদ বলেন, সবজির দামও যদি ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় তাহলে আমরা খাব কী? পেঁপে ছাড়া বাজারে সব সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুও কিনিতে হয় ৫০ টাকা কেজিতে। এত দাম হলে আমরা সাধারণ ক্রেতারা তো মাছ মাংসের মতো সবজিও কিনতে পারব না। এছাড়া বরবটি, বেগুন, টমেটো তো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সব মিলিয়ে এমন দাঁড়িয়েছে যে এখন সবজি কিনে খাওয়াও বিলাসিতা হয়ে যাচ্ছে।

সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়া বিষয়ে শনির আখড়া সংলগ্ন কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা রাজ্জাক হোসেন বলেন, কিছু দিন ধরে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে বরবটি, বেগুন আর টমেটোর দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা আর বাকিগুলো ৭০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে আছে। সবজির দাম বাড়ার মূল কারণ এখন অনেকগুলো সবজির মৌসুম নয় তাই দাম বেশি যাচ্ছে। এছাড়া পরিবহন খরচ, রাস্তা খরচ সব মিলিয়ে আমরা কিছুটা লাভ করে সবজি বিক্রি করছি। যে কারণে ক্রেতা পর্যায়ে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মাছের দাম বেশি। বাজারে দেশি রুই বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি, চাষের রুই ৩৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি ১৮০০ টাকা, ট্যাংরা ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ১৩০০ টাকা, দেশি শিং ১০০০ টাকা, চাষের শিং ৪০০-৫০০ টাকা, কাচকি ৭০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, বাইলা ১০০০ টাকা, রূপচাঁদা ১১০০ টাকা, মলা মাছ ৬০০ টাকা। এছাড়া গরিবের মাছ পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০ টাকায়।

এছাড়া ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৬০০ টাকায়। ছোট ৪০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশের কেজি ৬০০ টাকা।

দাম বেশি থাকা প্রসঙ্গে যাত্রাবাড়ীর বিক্রেতা ছাত্তার বেপারী বলেন, আমাদের এখানে বেশিরভাগই মাছ ভালো মানের ও দেশী জাতের, তাই দামটা বেশি। যে আড়ত থেকে মাছ আনা হয়, সেখানেই দাম বেশি। আর আগের চেয়ে সাপ্লাই কিছুটা কমে গেছে। তবে আমাদের এখানে বেশিরভাগ মাছই ভালোমানের ও দেশি জাতের।

অতিরিক্ত দামে মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। লালমাটিয়ার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, মাছের এতো দাম দেখে ভড়কে গিয়েছি। এই দামে মাছ কিনলে তো বাকি মাস চলতে পারব না।

এদিকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে ডিম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। এছাড়া হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে একই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়।

গরুর মাংস বিক্রেতা আবদুল্লাহ বলেন, মাংসের দাম আগের মতোই আছে। অন্যান্য দিন কম বিক্রি হলেও শুক্রবারে একটু ভালো বিক্রি হয়।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুর ডালের কেজি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার ১৭৮ টাকা। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

বাজারে এখনোও কোনো সুখবর নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের

প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সবজির বাজারে আগুন লেগেছে। কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না ৭০-৮০ টাকার কমে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন ও বরবটির দাম ১০০তে দাঁড়িয়েছে। তবে বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো, যার দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা। সব মিলিয়ে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। ফলে সবজি কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

এখনোও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সুখবর নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যে বলার মতো দাম কমেনি। দু-একটি পণ্যের দাম সামান্য কমলেও বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে তা বেশি। চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আর কমেনি। বলা যায়, এসব পণ্য চড়া দামে আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোল সবুজ বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। তবে লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম বলতে পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া ঝিঙা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, প্রতি পিস জালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকায়। কাঁচা কলা প্রতি হালি (৪টি) ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাজারে মূলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এর আগে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারতো মানুষ। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে। যা প্রায় মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কমেনি আদা-রসুনের দামও। মানভেদে প্রতি কেজি আদা কিংবা রসুন সর্বনিম্ন ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রাজধানীর মিরপুর কাঁচা বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আকাশ আহম্মদ বলেন, সবজির দামও যদি ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় তাহলে আমরা খাব কী? পেঁপে ছাড়া বাজারে সব সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুও কিনিতে হয় ৫০ টাকা কেজিতে। এত দাম হলে আমরা সাধারণ ক্রেতারা তো মাছ মাংসের মতো সবজিও কিনতে পারব না। এছাড়া বরবটি, বেগুন, টমেটো তো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সব মিলিয়ে এমন দাঁড়িয়েছে যে এখন সবজি কিনে খাওয়াও বিলাসিতা হয়ে যাচ্ছে।

সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়া বিষয়ে শনির আখড়া সংলগ্ন কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা রাজ্জাক হোসেন বলেন, কিছু দিন ধরে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে বরবটি, বেগুন আর টমেটোর দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা আর বাকিগুলো ৭০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে আছে। সবজির দাম বাড়ার মূল কারণ এখন অনেকগুলো সবজির মৌসুম নয় তাই দাম বেশি যাচ্ছে। এছাড়া পরিবহন খরচ, রাস্তা খরচ সব মিলিয়ে আমরা কিছুটা লাভ করে সবজি বিক্রি করছি। যে কারণে ক্রেতা পর্যায়ে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মাছের দাম বেশি। বাজারে দেশি রুই বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি, চাষের রুই ৩৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি ১৮০০ টাকা, ট্যাংরা ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ১৩০০ টাকা, দেশি শিং ১০০০ টাকা, চাষের শিং ৪০০-৫০০ টাকা, কাচকি ৭০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, বাইলা ১০০০ টাকা, রূপচাঁদা ১১০০ টাকা, মলা মাছ ৬০০ টাকা। এছাড়া গরিবের মাছ পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০ টাকায়।

এছাড়া ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৬০০ টাকায়। ছোট ৪০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশের কেজি ৬০০ টাকা।

দাম বেশি থাকা প্রসঙ্গে যাত্রাবাড়ীর বিক্রেতা ছাত্তার বেপারী বলেন, আমাদের এখানে বেশিরভাগই মাছ ভালো মানের ও দেশী জাতের, তাই দামটা বেশি। যে আড়ত থেকে মাছ আনা হয়, সেখানেই দাম বেশি। আর আগের চেয়ে সাপ্লাই কিছুটা কমে গেছে। তবে আমাদের এখানে বেশিরভাগ মাছই ভালোমানের ও দেশি জাতের।

অতিরিক্ত দামে মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। লালমাটিয়ার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, মাছের এতো দাম দেখে ভড়কে গিয়েছি। এই দামে মাছ কিনলে তো বাকি মাস চলতে পারব না।

এদিকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে ডিম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। এছাড়া হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে একই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়।

গরুর মাংস বিক্রেতা আবদুল্লাহ বলেন, মাংসের দাম আগের মতোই আছে। অন্যান্য দিন কম বিক্রি হলেও শুক্রবারে একটু ভালো বিক্রি হয়।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুর ডালের কেজি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার ১৭৮ টাকা। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।