নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের পোড়ারধন খালের ওপর হানুয়া টু কালেরকাঠি সংযোগ সড়কের আয়রন ব্রিজ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটি পার হচ্ছে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৫ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ। সংস্কারের অভাবে ব্রিজটিতে যানবাহন তো দূরের কথা মানুষ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পাড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিমেন্টের ঢালাই দেওয়া স্লিপারগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। ক্রস অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে ব্রিজটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা সিমেন্টের ঢালাই দেওয়া স্লিপারগুলোর উপর কাঠের মাচা তৈরি করে বেঁধে দিয়েছে। ব্রিজটির এক অংশে স্লিপারগুলো ভেঙ্গে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। ব্রিজটির ক্রস অ্যাঙ্গেলগুলোর সঙ্গে বাঁশ বেঁধে দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। নড়বড়ে ও ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ দিয়ে শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রায়ই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দ্রুত ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢোলা রিয়াজউদ্দিন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা, উত্তর কালেরকাঠি হাফেজী মাদ্রাসা, হানুয়া মতিজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হানুয়া পেয়ারপুর দাখিল মাদ্রাসা, পেয়ারপুর বাজার, খোদাবক্সকাঠি রায়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ খোদাবক্সকাঠি আব্দুর রব দাখিল মাদ্রাসা, কবাই ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াত করার একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজটি। এখন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। পাঁচ বছর যাবত ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, ব্রিজটি আর সি সি গার্ডার ব্রিজ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ডিজাইনের কাজ শেষ হয়েছে।