Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকেরগঞ্জে সড়ক সংস্কারের পাঁচ মাসের মাথায় ফাটল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার চৌমাথা মহাসড়ক হয়ে সংযুক্ত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খান সড়ক। সড়কটির চৌমাথার অংশে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পূর্ব পাশে পুকুর পার ঘেঁষে সড়কটি বয়ে গেছে। সড়কের এই অংশে টেকসই পাইলিং নির্মাণ না করায় ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তা সংস্কারের কারণে সড়কের ফাটল ধরেছে ও দেবে যেতে শুরু হয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সড়কটি ভেঙে পুকুরে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে এই সড়কে চলাচলকারী পথচারী, যাত্রী ও চালকেরা।

পৌর মেয়র অনাপত্তি দিলে সড়কটি সংস্কারে প্রথম অংশে ১২০০ মিটারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দে সংস্কারের কাজ করেন মেসার্স জমাদ্দার কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত বছর ১৭ আগস্ট সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু করে এ বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি সংস্কারের কাজ শেষ করেন মঠবাড়িয়ার ঠিকাদার কালাম।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের সংশ্লিষ্টদের দাবি- সড়ক সংস্কারের পর থেকে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন ইট পাথর বহনকারী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কের ওই অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকার চৌমাথা হয়ে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খান সড়কটি সাহেবগঞ্জ পর্যন্ত ১২০০ মিটার সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সংস্কারের পাঁচ মাসের মাথায় পাকা এই সড়কের চৌমাথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন পয়েন্টে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই ফাটলের স্থানে কোনো কোনো অংশের কার্পেটিং ঢালাই ইতিমধ্যে উঠে গেছে।

দেবে গেছে সড়কটির পুকুরপাড়ের বেশির ভাগ অংশ। এছাড়াও এই সড়কটি দিয়ে উপজেলা ১০টি ইউনিয়নের যাত্রীবাহী বাস গাড়ি সহ মালামাল বহনকারী যানবাহন চলাচল করেছে। যে কোনো সময় সড়কটি পুকুরে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে তড়িঘড়ি করে রাস্তা কাজ শেষ করা হয়েছে। এবং পুকুরের পাড়ের অংশে পুরাতন নড়বড়ে পাইলিং রেখেই সড়কটি সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। এখন অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তায় ভাঙন শুরু হয়েছে।

পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোনায়েম খান খোকন বলেন, এই সড়কটির পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন অংশে আগেও ফাটল ছিল। এখানে একটি পুকুর ঘেঁষে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। টেকসই পাইলিং নির্মাণ না করার কারণেই এখন এই অংশে সকালে রাস্তা করল আর বিকেলে ভাইঙা গেল, এর বড় কারন তড়িঘড়ি করে ভাঙ্গা অংশে বালু ভরাট করে তার ওপর কার্পেটিং করা হয়েছে। সড়কটির কাজ একেবারে ভালো হয়নি। যার কারণে এত দ্রুত ফাটলসহ দেবে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে মেসার্স জমাদ্দার কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদিরি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মঠবাড়িয়ার কালাম বলেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর ভুল প্ল্যানিংয়ের কারণে সড়ক আজ দেবেও ভেঙে যাচ্ছে। সড়কের সঙ্গে পাইলিং এর কাজ করা হলে সড়কটি এই ভাঙনের মুখে পড়তো না।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খান সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। চৌমাথার অংশে পুকুর পারে টেকসই পাইলিং না থাকায় সড়কটির দেবে ও ভেঙে যাচ্ছে।

এই দায়ভার কার প্রশ্ন উত্তরে তিনি বলেন, পৌর মেয়র অনাপত্তি দিয়েছে তাই সড়ক নির্মাণ আমরা করেছি। দায় দায়িত্ব তো আমাদের উপরেই পড়ে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বাকেরগঞ্জে সড়ক সংস্কারের পাঁচ মাসের মাথায় ফাটল

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার চৌমাথা মহাসড়ক হয়ে সংযুক্ত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খান সড়ক। সড়কটির চৌমাথার অংশে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পূর্ব পাশে পুকুর পার ঘেঁষে সড়কটি বয়ে গেছে। সড়কের এই অংশে টেকসই পাইলিং নির্মাণ না করায় ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তা সংস্কারের কারণে সড়কের ফাটল ধরেছে ও দেবে যেতে শুরু হয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সড়কটি ভেঙে পুকুরে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে এই সড়কে চলাচলকারী পথচারী, যাত্রী ও চালকেরা।

পৌর মেয়র অনাপত্তি দিলে সড়কটি সংস্কারে প্রথম অংশে ১২০০ মিটারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দে সংস্কারের কাজ করেন মেসার্স জমাদ্দার কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত বছর ১৭ আগস্ট সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু করে এ বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি সংস্কারের কাজ শেষ করেন মঠবাড়িয়ার ঠিকাদার কালাম।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের সংশ্লিষ্টদের দাবি- সড়ক সংস্কারের পর থেকে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন ইট পাথর বহনকারী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কের ওই অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকার চৌমাথা হয়ে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খান সড়কটি সাহেবগঞ্জ পর্যন্ত ১২০০ মিটার সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সংস্কারের পাঁচ মাসের মাথায় পাকা এই সড়কের চৌমাথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন পয়েন্টে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই ফাটলের স্থানে কোনো কোনো অংশের কার্পেটিং ঢালাই ইতিমধ্যে উঠে গেছে।

দেবে গেছে সড়কটির পুকুরপাড়ের বেশির ভাগ অংশ। এছাড়াও এই সড়কটি দিয়ে উপজেলা ১০টি ইউনিয়নের যাত্রীবাহী বাস গাড়ি সহ মালামাল বহনকারী যানবাহন চলাচল করেছে। যে কোনো সময় সড়কটি পুকুরে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে তড়িঘড়ি করে রাস্তা কাজ শেষ করা হয়েছে। এবং পুকুরের পাড়ের অংশে পুরাতন নড়বড়ে পাইলিং রেখেই সড়কটি সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। এখন অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তায় ভাঙন শুরু হয়েছে।

পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোনায়েম খান খোকন বলেন, এই সড়কটির পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন অংশে আগেও ফাটল ছিল। এখানে একটি পুকুর ঘেঁষে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। টেকসই পাইলিং নির্মাণ না করার কারণেই এখন এই অংশে সকালে রাস্তা করল আর বিকেলে ভাইঙা গেল, এর বড় কারন তড়িঘড়ি করে ভাঙ্গা অংশে বালু ভরাট করে তার ওপর কার্পেটিং করা হয়েছে। সড়কটির কাজ একেবারে ভালো হয়নি। যার কারণে এত দ্রুত ফাটলসহ দেবে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে মেসার্স জমাদ্দার কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদিরি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মঠবাড়িয়ার কালাম বলেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর ভুল প্ল্যানিংয়ের কারণে সড়ক আজ দেবেও ভেঙে যাচ্ছে। সড়কের সঙ্গে পাইলিং এর কাজ করা হলে সড়কটি এই ভাঙনের মুখে পড়তো না।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খান সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। চৌমাথার অংশে পুকুর পারে টেকসই পাইলিং না থাকায় সড়কটির দেবে ও ভেঙে যাচ্ছে।

এই দায়ভার কার প্রশ্ন উত্তরে তিনি বলেন, পৌর মেয়র অনাপত্তি দিয়েছে তাই সড়ক নির্মাণ আমরা করেছি। দায় দায়িত্ব তো আমাদের উপরেই পড়ে।