Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী

প্রতিকী ছবি

নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। ঘরের মধ্যে ঢুকে তাকে পিটানো হয়। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে এলোপতাড়িভাবে লাথি মারা হয়। গায়ের সেলোয়ার কামিজ ছিড়ে বিবস্ত্র করা হয়। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায়ও তাকে মারধর করা হয়। বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মহাশ্রাদ্দি (মহেসেন উদ্দিন) গ্রামে শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর বাবা বেল্লাল হোসেন ও তার মা ফরিদা বেগম একটি মারামারি মামলার দুই ও পাঁচ নম্বর সাক্ষি ছিল। মামলার বাদি হলেন সখি বেগম। মামলায় বেল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম সাক্ষি হওয়ায় আসামী বাবুল সিকদার ও বাদশা সিকদার গংরা ক্ষুদ্ধ হন।

প্রথম দফায় গত ২৯ ডিসেম্বর ওই মামলার আসামীরা বেল্লাল সিকদারের বসতঘরে ঢুকে ভাংচুর করে এবং তাকেসহ স্ত্রী ফরিদা বেগম ও মেয়েকে মারধর করে। ওই ছাত্রী আতশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ৩০ ডিসেম্বর সখি বেগম তার সাক্ষিদের মারধরের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করলে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাবুল সিকদার গংরা দ্বিতীয় দফায় বেল্লাল সিকদারে বতসঘরে ডুকে ভাংচুর করে এবং তার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে।

আরও পড়ুন : ফরিদপুরে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ও্কই কিশোরী বাড়িতে তার চাচা সফিল্লাহর ঘরে গেলে বাবুল সিকদার তার ভাই বাদশা সিকদার ও বোন মুক্তা বেগম ওই ঘরে ঢুকে তাকে পেটাতে থাকে। এরপর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে এলোপতাড়ি ভাবে লাথি মারে। গায়ের সেলোয়ার কামিজ ছিড়ে প্রায় বিবস্ত্র করে। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওই অবস্থায়ও তাকে মারধর করা হয়।

এই ঘটনার পর বাড়ির লোকজন কিশোরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তার বাবা বেল্লাল সিকদারও হামলার শিকার হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বাউফলে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১

নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। ঘরের মধ্যে ঢুকে তাকে পিটানো হয়। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে এলোপতাড়িভাবে লাথি মারা হয়। গায়ের সেলোয়ার কামিজ ছিড়ে বিবস্ত্র করা হয়। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায়ও তাকে মারধর করা হয়। বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মহাশ্রাদ্দি (মহেসেন উদ্দিন) গ্রামে শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর বাবা বেল্লাল হোসেন ও তার মা ফরিদা বেগম একটি মারামারি মামলার দুই ও পাঁচ নম্বর সাক্ষি ছিল। মামলার বাদি হলেন সখি বেগম। মামলায় বেল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম সাক্ষি হওয়ায় আসামী বাবুল সিকদার ও বাদশা সিকদার গংরা ক্ষুদ্ধ হন।

প্রথম দফায় গত ২৯ ডিসেম্বর ওই মামলার আসামীরা বেল্লাল সিকদারের বসতঘরে ঢুকে ভাংচুর করে এবং তাকেসহ স্ত্রী ফরিদা বেগম ও মেয়েকে মারধর করে। ওই ছাত্রী আতশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ৩০ ডিসেম্বর সখি বেগম তার সাক্ষিদের মারধরের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করলে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাবুল সিকদার গংরা দ্বিতীয় দফায় বেল্লাল সিকদারে বতসঘরে ডুকে ভাংচুর করে এবং তার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে।

আরও পড়ুন : ফরিদপুরে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ও্কই কিশোরী বাড়িতে তার চাচা সফিল্লাহর ঘরে গেলে বাবুল সিকদার তার ভাই বাদশা সিকদার ও বোন মুক্তা বেগম ওই ঘরে ঢুকে তাকে পেটাতে থাকে। এরপর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে এলোপতাড়ি ভাবে লাথি মারে। গায়ের সেলোয়ার কামিজ ছিড়ে প্রায় বিবস্ত্র করে। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওই অবস্থায়ও তাকে মারধর করা হয়।

এই ঘটনার পর বাড়ির লোকজন কিশোরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তার বাবা বেল্লাল সিকদারও হামলার শিকার হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।