Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে দাবড়ে বেড়াচ্ছে ৬ চাকার দানব

বাউফলের রাস্তায় ৬ চাকার দানব

বাউফলে সড়ক দাবড়ে চলছে ৬ চাকার অবৈধ ট্রলি। স্থানীয় ভাষায় একে সড়কের দানব বলা হয়। এই ট্রলির ইঞ্জিন চাষাবাদের কাজে ব্যবহারের কথা থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি এর ইঞ্জিনে বডি লাগিয়ে ইট, বালু ও মাটিসহ নানা কাজে ব্যবহার করছে।

আর ট্রলি বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অকালে ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রান। এ ছাড়াও এই ট্রলির কারণে শব্দ দূষনও হচ্ছে। প্রশাসনের চোখের সামনে এসব অবৈধ ট্রলি চলাচল করলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না।

জানা গেছে, এ উপজেলায় কয়েকশ অবৈধ ট্রলি রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক রাজনৈতিক নেতাও এই অবৈধ ট্রলির ব্যবসার সাথে জড়িত।
অতিরিক্ত শব্দ দূষন ও বেপরোয়া চলাচলের কারণে সরকার ২০১০ সালে সড়কে ট্রলি চলাচল নিষিদ্ধ করলেও এ উপজেলা সরকারের এই নির্দেশ মানা হচ্ছেনা।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ ট্রলি সড়কে চালানো হচ্ছে। প্রতিটি ট্রলি থেকে প্রতি মাসে বাউফল থানায় নিদৃষ্ট পরিমান মাসওয়ারা দেয়া হয়। যে কারণে অবাধে এ উপজেলা ট্রলি চলাচলা করছে।

আরও পড়ুন : রাঙামাটিতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খাদে: নিহত ৩

এই ট্রলির বেপরোয়া চলাচলে অনেক প্রাণহানী হয়েছে। সর্ব শেষ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে এই ট্রলির ধাক্কায় কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লা কলেজিয়েট স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক সরোয়ার সৈয়দ মারা গেছেন। আবার পঙ্গুত্ব বরন করেছেন অনেকে।

এই ট্রলির সামনে ইঞ্জিনের সাথে দুই চাকা ও পিছনে বডির সাথে বড় আকারের চার চাকা ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে মালামাল বোঝাই করে চলাচলের সময় সড়ক কেঁপে উছে। এ ছাড়াও ট্রলির বিশাল আকৃতির চাকায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

বিটুমিন, ইট, বালু ও সুরকি উঠে গিয়ে সড়ক অল্প সময় খানাখন্দে পরিণত হচ্ছে। এই অবৈধ ট্রলির বেপরোয়া চলাচলের কারণে পথচারীরা সার্বক্ষনীক আতঙ্ককের মধ্যে থাকেন।

এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন,‘এই অবৈধ ট্রলির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাউফলে দাবড়ে বেড়াচ্ছে ৬ চাকার দানব

প্রকাশের সময় : ১০:৫৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১

বাউফলে সড়ক দাবড়ে চলছে ৬ চাকার অবৈধ ট্রলি। স্থানীয় ভাষায় একে সড়কের দানব বলা হয়। এই ট্রলির ইঞ্জিন চাষাবাদের কাজে ব্যবহারের কথা থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি এর ইঞ্জিনে বডি লাগিয়ে ইট, বালু ও মাটিসহ নানা কাজে ব্যবহার করছে।

আর ট্রলি বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অকালে ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রান। এ ছাড়াও এই ট্রলির কারণে শব্দ দূষনও হচ্ছে। প্রশাসনের চোখের সামনে এসব অবৈধ ট্রলি চলাচল করলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না।

জানা গেছে, এ উপজেলায় কয়েকশ অবৈধ ট্রলি রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক রাজনৈতিক নেতাও এই অবৈধ ট্রলির ব্যবসার সাথে জড়িত।
অতিরিক্ত শব্দ দূষন ও বেপরোয়া চলাচলের কারণে সরকার ২০১০ সালে সড়কে ট্রলি চলাচল নিষিদ্ধ করলেও এ উপজেলা সরকারের এই নির্দেশ মানা হচ্ছেনা।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ ট্রলি সড়কে চালানো হচ্ছে। প্রতিটি ট্রলি থেকে প্রতি মাসে বাউফল থানায় নিদৃষ্ট পরিমান মাসওয়ারা দেয়া হয়। যে কারণে অবাধে এ উপজেলা ট্রলি চলাচলা করছে।

আরও পড়ুন : রাঙামাটিতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খাদে: নিহত ৩

এই ট্রলির বেপরোয়া চলাচলে অনেক প্রাণহানী হয়েছে। সর্ব শেষ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে এই ট্রলির ধাক্কায় কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লা কলেজিয়েট স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক সরোয়ার সৈয়দ মারা গেছেন। আবার পঙ্গুত্ব বরন করেছেন অনেকে।

এই ট্রলির সামনে ইঞ্জিনের সাথে দুই চাকা ও পিছনে বডির সাথে বড় আকারের চার চাকা ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে মালামাল বোঝাই করে চলাচলের সময় সড়ক কেঁপে উছে। এ ছাড়াও ট্রলির বিশাল আকৃতির চাকায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

বিটুমিন, ইট, বালু ও সুরকি উঠে গিয়ে সড়ক অল্প সময় খানাখন্দে পরিণত হচ্ছে। এই অবৈধ ট্রলির বেপরোয়া চলাচলের কারণে পথচারীরা সার্বক্ষনীক আতঙ্ককের মধ্যে থাকেন।

এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন,‘এই অবৈধ ট্রলির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’