Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে তদন্ত

বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী )সংবাদদাতা : 

আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তি দিতে পারি বলে মন্তব্য করা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) বিকাল ৪ টায় বাউফল আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ তদন্ত কার্যক্রম চালানো হয়। তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন।

কালেরকণ্ঠের সাংবাদিক শহিদুল হক ওরফে সোহেলসহ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল তালুকদার, সহসভাপতি ফারুক হোসেন, সদস্য দেলোয়ার হোসেন, এমএ হান্নান স্বাক্ষী প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, ১৯ মে বাউফল আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইউএনও আমিনুল ইসলাম সাংবাদিক সোহেলকে বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তি দিতে পারি। এক পর্যায়ে সোহেলকে জেলে ডুকানোর হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় কয়েককটি শীর্ষ জাতীয় দৈনিকে ‘আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তি দিতে পারি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সংবাদের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় বিষয়টি তদন্তপুর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন বরাবরে একটি চিঠি জারি করা হয়।

কালের কণ্ঠের সাংবাদিক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শহিদুল হক সোহেল বলেন, আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেছি। তিনি সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দিবেন বলে আমি আশা করি ।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন বলেন, একটি জাতীয় দৈনিকে “আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তি দিতে পারি।” এ সংক্রান্ত একটি খবরের প্রেক্ষিতে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্তে এসেছি।”

তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের জারিকৃত পত্রে সাংবাদিক সোহেল ও ইউএনও আমিনুল ইসলাম কে বাউফল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলেও তদন্তের সময় ইউএনও উপস্থিত ছিলেন না।

এবিষয়ে প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বলেন,” তিনি সরকারী কাজে ব্যস্ত, তাই আসতে পারেননি। আমি তার কার্যালয়ে যাবো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে তদন্ত

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী )সংবাদদাতা : 

আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তি দিতে পারি বলে মন্তব্য করা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) বিকাল ৪ টায় বাউফল আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ তদন্ত কার্যক্রম চালানো হয়। তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন।

কালেরকণ্ঠের সাংবাদিক শহিদুল হক ওরফে সোহেলসহ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল তালুকদার, সহসভাপতি ফারুক হোসেন, সদস্য দেলোয়ার হোসেন, এমএ হান্নান স্বাক্ষী প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, ১৯ মে বাউফল আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইউএনও আমিনুল ইসলাম সাংবাদিক সোহেলকে বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তি দিতে পারি। এক পর্যায়ে সোহেলকে জেলে ডুকানোর হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় কয়েককটি শীর্ষ জাতীয় দৈনিকে ‘আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তি দিতে পারি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সংবাদের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় বিষয়টি তদন্তপুর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন বরাবরে একটি চিঠি জারি করা হয়।

কালের কণ্ঠের সাংবাদিক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শহিদুল হক সোহেল বলেন, আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেছি। তিনি সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দিবেন বলে আমি আশা করি ।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন বলেন, একটি জাতীয় দৈনিকে “আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তি দিতে পারি।” এ সংক্রান্ত একটি খবরের প্রেক্ষিতে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্তে এসেছি।”

তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের জারিকৃত পত্রে সাংবাদিক সোহেল ও ইউএনও আমিনুল ইসলাম কে বাউফল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলেও তদন্তের সময় ইউএনও উপস্থিত ছিলেন না।

এবিষয়ে প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বলেন,” তিনি সরকারী কাজে ব্যস্ত, তাই আসতে পারেননি। আমি তার কার্যালয়ে যাবো।