নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলার মাটিতে আবারও দেশি-বিদেশি নব্য শত্রুরা জন্ম নিয়েছে। বাংলার আকাশে ভিনদেশী শকুনরা ডানা মেলেছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে জাগপা ছাত্রলীগ আয়োজিত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও অরক্ষিত স্বাধীনতা রক্ষায় ছাত্র-জনতার করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে ওরা বাকশাল কায়েম করেছে এবং মুসলমানদের ওপর আঘাত হানা শুরু করেছে। যেকোনো সময় শত্রুর আঘাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অরক্ষিত হতে পারে। সুতরাং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে। অন্যথায় বাংলার মাটি দেশপ্রেমিক মজলুম মানুষের রক্তে লাল হয়ে উঠবে।
রাশেদ প্রধান বলেন, আজ সাহস করে সত্য বলতে হবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পূর্ব বাংলার (বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে এবং ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশকে শোষণ করেছে। ২০১৪ থেকে ভারতের শোষণ নীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব,গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, অর্থনীতি এবং অস্তিত্ব রক্ষায় আমাদের আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
রাশেদ প্রধান আরও বলেন, দেশের মানুষের ওপর দ্রব্যমূল্যের লাল ঘোড়া দাবড়ানো হচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে পরেছে। অভাবের কারণে স্বল্প আয়ের পরিবারের সন্তানদের লেখা-পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ, সরকার তাদের মিথ্যাচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবক সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল হতে হবে। অন্যথায় দেশ থাকবে অথচ স্বাধীনতা থাকবে না।
জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, ঢাকা মহানগর জাগপার সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলা, যুবনেতা জনি নন্দী, জাগপা ছাত্রলীগের মো. আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























