Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী : প্রশ্ন গয়েশ্বরের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী- এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সেখানে সাংবাদিকদের কেনো প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জিয়া মঞ্চ’র ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আবারও হ্যাকের ঘটনা ঘটেছে, এটা সেখানকার কর্মকর্তাদের চেহারা দেখে বুঝা যায়। সাংবাদিকরা সেখানে ঢুকতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক কি কোন নিষিদ্ধ পল্লী, যে সাংবাদিক ঢুকতে পারবেনা? সাংবাদিকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সেখানে ঢুকবেন কি না।

গয়েশ্বর বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা সবাই চাকরি হারানোর ভয়ে আছে। তাই অনেক সত্য অপ্রকাশিত থাকছে। সাংবাদিক নির্যাতনের কোনো বিচার নেই। সাগর রুনীর হত্যার তদন্ত ১০৮ বার পেছানো হয়েছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতি মানেই জনসেবা। নিজের জীবনের জন্য নয়। কিন্তু আজকে রাজনীতি হয়ে গেছে ট্রেডিংয়ের মতো। যেমন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উপমহাদেশে করেছিল। আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে কেন? তারা ব্যবসা করছে। লুট করছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন দূরদর্শী নেতা। কারণ ইরাক-ইরান যুদ্ধ নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি সার্ক গঠন করেছিলেন। বিভিন্ন দেশে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল অনন্য।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। আমরা কিন্তু অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশাত্মবোধ তো এমনিতে আসে না। জিয়াউর রহমানের কমিটমেন্ট ছিল বলেই দেশবাসী তাকে অনুসরণ করে। আজকে দেশের স্বার্থে আমাদেরকে আরো লড়াই করতে হবে। যেই লক্ষ্যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিন্তু আমরা এখনো পাইনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দেয়। এই সংবিধানে কি লেখা আছে যে, বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ করা, লুটেপুটে দেশটাকে ধ্বংস করার কথা। মেয়র তাপস বলেছিলেন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে, সেটা কি কৌতুক? আদালত অবমাননা তো তারাই করে। আর বলছে বিএনপি আদালত অবমাননা করে!

তিনি বলেন, আসুন আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানকে সঠিক তথ্য দিই। তাহলেই কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। যাতে করে দেশবাসীর জন্য উপকার হয়।

তিনি বলেন, ভারতের পণ্য বয়কটের কথা বলব না, তবে ভারতের পণ্য ক্রয় করার আগে নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হবে। কেননা তাদের ৫২৭টি পণ্য ইউরোপ ব্যান করে দিয়েছে। পাশাপাশি দেশের জন্য ক্ষতিকর আওয়ামী লীগকেও বর্জন করতে হবে।

ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদেররা কোথায় ছিলেন? মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি রাজাকার ছিল গোপালগঞ্জে। এখন গোপালগঞ্জে হারিকেন দিয়েও রাজাকার পাওয়া যায় না। এখন মুজিব কোট পরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের হয়ে গেছেন। তাদের কারো নাম এখন রাজাকারের তালিকায় নেই। আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধা নেই, সেটা বলা যাবে না, তবে যারা আছে সবাই প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগ ফেরিওয়ালার মতো বিক্রি করছে।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছে কয়দিন পরে মানুষ টের পাবে। কোষাগার খালি, ডলারের অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। শিল্প কারখানা বন্ধ হতে বসেছে। চাকরির বাজারে হাহাকার। বন্ধ নেই লুটপাট। লুটপাট করা সংবিধানে লেখা নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে লুটপাট যেন অলিখিত সংবিধান।

দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপিতে ভেজাল মাল থাকলে আন্দোলনের পথ আরও লম্বা হবে। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও জিয়া মঞ্চের সভাপতি মো: আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো: আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী : প্রশ্ন গয়েশ্বরের

প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী- এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সেখানে সাংবাদিকদের কেনো প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জিয়া মঞ্চ’র ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আবারও হ্যাকের ঘটনা ঘটেছে, এটা সেখানকার কর্মকর্তাদের চেহারা দেখে বুঝা যায়। সাংবাদিকরা সেখানে ঢুকতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক কি কোন নিষিদ্ধ পল্লী, যে সাংবাদিক ঢুকতে পারবেনা? সাংবাদিকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সেখানে ঢুকবেন কি না।

গয়েশ্বর বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা সবাই চাকরি হারানোর ভয়ে আছে। তাই অনেক সত্য অপ্রকাশিত থাকছে। সাংবাদিক নির্যাতনের কোনো বিচার নেই। সাগর রুনীর হত্যার তদন্ত ১০৮ বার পেছানো হয়েছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতি মানেই জনসেবা। নিজের জীবনের জন্য নয়। কিন্তু আজকে রাজনীতি হয়ে গেছে ট্রেডিংয়ের মতো। যেমন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উপমহাদেশে করেছিল। আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে কেন? তারা ব্যবসা করছে। লুট করছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন দূরদর্শী নেতা। কারণ ইরাক-ইরান যুদ্ধ নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি সার্ক গঠন করেছিলেন। বিভিন্ন দেশে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল অনন্য।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। আমরা কিন্তু অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশাত্মবোধ তো এমনিতে আসে না। জিয়াউর রহমানের কমিটমেন্ট ছিল বলেই দেশবাসী তাকে অনুসরণ করে। আজকে দেশের স্বার্থে আমাদেরকে আরো লড়াই করতে হবে। যেই লক্ষ্যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিন্তু আমরা এখনো পাইনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দেয়। এই সংবিধানে কি লেখা আছে যে, বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ করা, লুটেপুটে দেশটাকে ধ্বংস করার কথা। মেয়র তাপস বলেছিলেন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে, সেটা কি কৌতুক? আদালত অবমাননা তো তারাই করে। আর বলছে বিএনপি আদালত অবমাননা করে!

তিনি বলেন, আসুন আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানকে সঠিক তথ্য দিই। তাহলেই কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। যাতে করে দেশবাসীর জন্য উপকার হয়।

তিনি বলেন, ভারতের পণ্য বয়কটের কথা বলব না, তবে ভারতের পণ্য ক্রয় করার আগে নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হবে। কেননা তাদের ৫২৭টি পণ্য ইউরোপ ব্যান করে দিয়েছে। পাশাপাশি দেশের জন্য ক্ষতিকর আওয়ামী লীগকেও বর্জন করতে হবে।

ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদেররা কোথায় ছিলেন? মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি রাজাকার ছিল গোপালগঞ্জে। এখন গোপালগঞ্জে হারিকেন দিয়েও রাজাকার পাওয়া যায় না। এখন মুজিব কোট পরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের হয়ে গেছেন। তাদের কারো নাম এখন রাজাকারের তালিকায় নেই। আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধা নেই, সেটা বলা যাবে না, তবে যারা আছে সবাই প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগ ফেরিওয়ালার মতো বিক্রি করছে।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছে কয়দিন পরে মানুষ টের পাবে। কোষাগার খালি, ডলারের অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। শিল্প কারখানা বন্ধ হতে বসেছে। চাকরির বাজারে হাহাকার। বন্ধ নেই লুটপাট। লুটপাট করা সংবিধানে লেখা নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে লুটপাট যেন অলিখিত সংবিধান।

দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপিতে ভেজাল মাল থাকলে আন্দোলনের পথ আরও লম্বা হবে। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও জিয়া মঞ্চের সভাপতি মো: আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো: আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।