Dhaka রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে আ.লীগ : মঈন খান

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াচত্বরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক আনন্দ শোভাযাত্রার পথসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। পথসভা শেষে আনন্দ শোভাযাত্রাটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাঁচদোনা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা বারবার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করেছে। কিন্তু মুক্তিকামী জনগণ কখনো সেই স্বৈরশাসন মেনে নেয়নি। তাই তাদের প্রতিবারই জনগণের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

ড. মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার পর থেকেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে আসছে। এই লড়াইয়ের জন্য তারা প্রাণ দিতেও দ্বিধা করেনি। আজও সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলন করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বহুকাল থেকেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। এই লড়াই সংগ্রামের জন্য তারা নিজেদের প্রাণ বিলিয়ে দিতেও দ্বিধা করে না।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ যদি বিএনপিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এ নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার থাকবে। ইনশাল্লাহ, আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে তা নিশ্চিত করবো।

মঈন খান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন রাজনীতিকে অনুসরণ করে এবং তারেক জিয়ার দিক নির্দেশনায় আমরা পুনরায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।

মঈন খান আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিল। তারা দুটি প্রধান উদ্দেশে জীবন দিয়েছিল। প্রথমটি ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে আর দ্বিতীয়টি ছিল প্রতিটি দরিদ্র মানুষ তার বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পরিবেশে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ একটি বাকশাল কায়েম করেছিল। তখন বাংলাদেশের মানুষ বিদ্রোহ করেছিল। ১৯৭৫ সালের ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঢাকার রাজপথে নেমে এসে জনসমুদ্রে পরিণত করেছিল। এবং বাকশালকে অপসারিত করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে তারা নতুন করে আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশকে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল।

মঈন খান আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের কালো রাতে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। আমরা ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনটিতে তাকে স্মরণ করার জন্য এ র‌্যালির আয়োজন করেছি। আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুন করে উদ্ভাসিত করতে চাই। বিশ্বের সামনে দেখিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়, পরাধীনতা, জুলুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার লঙ্ঘনকে স্বীকার করে না।

শোভাযাত্রায় উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূঁইয়া মিল্টন, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সমন্বয়ক হাজী জাহিদ হোসেন, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, পৌর মহিলা দলের সভাপতি শাহানা পারভীন, পলাশ উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব বখতিয়ার হোসেন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হক মোমেন, সদস্য সচিব শাহীন বিন ইউসুফ, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফ আহমেদ পিন্টু, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আল-আমীন ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেন ভূঁইয়া সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমূখ।

আবহাওয়া

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে আ.লীগ : মঈন খান

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াচত্বরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক আনন্দ শোভাযাত্রার পথসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। পথসভা শেষে আনন্দ শোভাযাত্রাটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাঁচদোনা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা বারবার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করেছে। কিন্তু মুক্তিকামী জনগণ কখনো সেই স্বৈরশাসন মেনে নেয়নি। তাই তাদের প্রতিবারই জনগণের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

ড. মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার পর থেকেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে আসছে। এই লড়াইয়ের জন্য তারা প্রাণ দিতেও দ্বিধা করেনি। আজও সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলন করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বহুকাল থেকেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। এই লড়াই সংগ্রামের জন্য তারা নিজেদের প্রাণ বিলিয়ে দিতেও দ্বিধা করে না।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ যদি বিএনপিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এ নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার থাকবে। ইনশাল্লাহ, আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে তা নিশ্চিত করবো।

মঈন খান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন রাজনীতিকে অনুসরণ করে এবং তারেক জিয়ার দিক নির্দেশনায় আমরা পুনরায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।

মঈন খান আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিল। তারা দুটি প্রধান উদ্দেশে জীবন দিয়েছিল। প্রথমটি ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে আর দ্বিতীয়টি ছিল প্রতিটি দরিদ্র মানুষ তার বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পরিবেশে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ একটি বাকশাল কায়েম করেছিল। তখন বাংলাদেশের মানুষ বিদ্রোহ করেছিল। ১৯৭৫ সালের ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঢাকার রাজপথে নেমে এসে জনসমুদ্রে পরিণত করেছিল। এবং বাকশালকে অপসারিত করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে তারা নতুন করে আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশকে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল।

মঈন খান আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের কালো রাতে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। আমরা ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনটিতে তাকে স্মরণ করার জন্য এ র‌্যালির আয়োজন করেছি। আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুন করে উদ্ভাসিত করতে চাই। বিশ্বের সামনে দেখিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়, পরাধীনতা, জুলুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার লঙ্ঘনকে স্বীকার করে না।

শোভাযাত্রায় উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূঁইয়া মিল্টন, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সমন্বয়ক হাজী জাহিদ হোসেন, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, পৌর মহিলা দলের সভাপতি শাহানা পারভীন, পলাশ উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব বখতিয়ার হোসেন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হক মোমেন, সদস্য সচিব শাহীন বিন ইউসুফ, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফ আহমেদ পিন্টু, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আল-আমীন ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেন ভূঁইয়া সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমূখ।