আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মন্ত্রীদের কমিটি এ অনুমোদন দেয়। সেই সঙ্গে কমিটি ৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেয়।
সরকারের এ সিদ্ধান্তকে এরই মধ্যে স্বাগত জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের কৃষকরা। তারা আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের বিশাল মজুদ রয়েছে।
দেশটির সরকারের এমন ঘোষণায় রোববার থেকে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। বাজারে প্রতি ১০০ টনে ১০০ রুপি কমেছে।
মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভারত দিঘোল বলেছেন, রপ্তানি শুরু হলে আমরা আশা করছি আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো দাম পাব।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ!
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এই পণ্য রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। দেশে দাম বৃদ্ধি ও সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় ২০২৩ সালের আগস্টে ভারত রফতানি কমাতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তবে এই প্রত্যাশিত সাফল্য না আসায় ২৮ অক্টোবর থেকে রফতানিকৃত প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
মহারাষ্ট্রের নাশিক ও আহমেদনগরে বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টির কারণে নভেম্বরে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা বিলম্বিত হয়েছে। এতে দাম বাড়তে থাকে এবং সরকার রফতানি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়। ৮ ডিসেম্বর থেকে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। নাশিকে প্রতি কেজি ৪০ রুপি থেকে নেমে ১৩ রুপিতে এসেছে। এর জেরে কৃষকরা রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন পেঁয়াজ চাষিরা।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রতিনিধি দল মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষের এলাকা সফর করে। রফতানি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিনিধি দলটি সরকারের কাছে সুপারিশ দেওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, রবিবার বৃহত্তম রফতানিকারকরা সরকারের কাছে লেখা একটি চিঠিতে বলেছেন, পেঁয়াজ রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ না করে সীমিত বিধিনিষেধের আলোকে অনুমোদন দেওয়া উচিত। কারণ বিপুল পরিমাণে রফতানি করা হলে দেশীয় বাজারে উল্লেখযোগ্য দাম বেড়ে যেতে পারে।