Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে গত এক মাসে যেসব খুন-হামলা হয়েছে, তা ষড়যন্ত্রের অংশ : শামা ওবায়েদ

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেন, গত এক মাসে বাংলাদেশে যেসব খুন হয়েছে, নুরুল হক নুরের ওপর হামলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনা কারণ বা তুচ্ছ কারণে গণ্ডগোল তৈরি করা হয়েছে এগুলো একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দুর্নীতিবাজরা এখনও আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত, তারাও এখনো সক্রিয়ভাবে ঘোরাফেরা করছে। সুতরাং, এই সকল ব্যক্তিদের থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। রক্ত দিয়ে যারা আমাদের কথা বলার অধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এনে দিয়েছেন, তাদের সেই স্বপ্ন ও উদ্দেশ্য যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে।

শামা ওবায়েদ বলেন, যারা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের উন্নয়নের দিকে যেতে দিতে চায় না, যারা বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানে অগ্রগতি চায় না, যারা বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করে রাখতে চায়, তারা বাংলাদেশকে শোষণ করছে-তারাই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। যতবার এ দেশে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়েছে, ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে, মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছে, ততবার বিএনপি মাঠে নেমেছে।

বিএনপি নেত্রী বলেন, বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী গত ১৭ বছরে গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। আমাদের নগরকান্দা-সালথা উপজেলার মারুফকে আমরা হারিয়েছি। শত শত নেতাকর্মী জেলে গেছে। এসব মামলা এখনো খারিজ হয়নি।

বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের যারা দুর্নীতির ভাগ পেয়েছে, যারা খুন করেছে, যারা গুলি করেছে, যারা গুলির আদেশ দিয়েছে- তারা কিন্তু আমাদের চারপাশে এখনো ঘোরাফেরা করছে। সুতরাং আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যা করে গেছেন, তা আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা যদি সংসদে যেতে পারি, তাহলে তারেক রহমানের প্রস্তাবিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে। সেই ৩১ দফার সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে একটি মানবিক, স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং ছাত্র ও যুব সমাজের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে শামা ওবায়েদ বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পরেও আমাদের আন্দোলন শেষ হয়নি। যতদিন না জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, ততদিন এই আন্দোলন চলবে।

নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান, সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহিনুজ্জামান, আলিমুজ্জামান, আশরাফ আলী মুন্সী, মাহবুব আলী মিয়া, আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

২০০ মিটার কাঁচা রাস্তায় পাঁচ প্রতিষ্ঠানে চলাচলে দুর্ভোগ

বাংলাদেশে গত এক মাসে যেসব খুন-হামলা হয়েছে, তা ষড়যন্ত্রের অংশ : শামা ওবায়েদ

প্রকাশের সময় : ০২:৩০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেন, গত এক মাসে বাংলাদেশে যেসব খুন হয়েছে, নুরুল হক নুরের ওপর হামলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনা কারণ বা তুচ্ছ কারণে গণ্ডগোল তৈরি করা হয়েছে এগুলো একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দুর্নীতিবাজরা এখনও আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত, তারাও এখনো সক্রিয়ভাবে ঘোরাফেরা করছে। সুতরাং, এই সকল ব্যক্তিদের থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। রক্ত দিয়ে যারা আমাদের কথা বলার অধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এনে দিয়েছেন, তাদের সেই স্বপ্ন ও উদ্দেশ্য যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে।

শামা ওবায়েদ বলেন, যারা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের উন্নয়নের দিকে যেতে দিতে চায় না, যারা বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানে অগ্রগতি চায় না, যারা বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করে রাখতে চায়, তারা বাংলাদেশকে শোষণ করছে-তারাই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। যতবার এ দেশে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়েছে, ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে, মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছে, ততবার বিএনপি মাঠে নেমেছে।

বিএনপি নেত্রী বলেন, বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী গত ১৭ বছরে গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। আমাদের নগরকান্দা-সালথা উপজেলার মারুফকে আমরা হারিয়েছি। শত শত নেতাকর্মী জেলে গেছে। এসব মামলা এখনো খারিজ হয়নি।

বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের যারা দুর্নীতির ভাগ পেয়েছে, যারা খুন করেছে, যারা গুলি করেছে, যারা গুলির আদেশ দিয়েছে- তারা কিন্তু আমাদের চারপাশে এখনো ঘোরাফেরা করছে। সুতরাং আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যা করে গেছেন, তা আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা যদি সংসদে যেতে পারি, তাহলে তারেক রহমানের প্রস্তাবিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে। সেই ৩১ দফার সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে একটি মানবিক, স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং ছাত্র ও যুব সমাজের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে শামা ওবায়েদ বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পরেও আমাদের আন্দোলন শেষ হয়নি। যতদিন না জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, ততদিন এই আন্দোলন চলবে।

নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান, সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহিনুজ্জামান, আলিমুজ্জামান, আশরাফ আলী মুন্সী, মাহবুব আলী মিয়া, আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।