Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় জিম্বাবুয়ে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:২০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আগামী মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সে দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সভা চূড়ান্ত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকের নাম।

স্বত্ব অনুয়ায়ী নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্র্বতী সরকার ও বিসিবি। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও কয়েকটি দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার (অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ভারত) কারণে বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবতে হচ্ছে আইসিসিকে।

এ সুযোগে বিশ্বকাপ আয়োজনে নিজেদের আগ্রহ দেখাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। এ ছাড়া প্রস্তুত রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও। জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে নিরপক্ষে ভেন্যু হিসেবে চলতি বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যায়

১০ দলের অংশ গ্রহণে হওয়ার কথা নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। অংশ গ্রহণকারী দলের তালিকায় নেই জিম্বাবুয়ে ও আরব আমিরাতের নাম। এর আগে ২০১৮ ও ২০২৩ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আয়োজক ছিল জিম্বাবুয়ে। ২০২৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক আফ্রিকার দেশটি।

এর আগে ২০০৩ সালে কেনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল জিম্বাবুয়ে। এককভাবে কখনও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করেনি দেশটি।

বিশেষ করে রবার্ট মুগাবের শাসনামলে দ্রব মূল্যের উর্ধ্বগতি, দমন-নিপীড়নে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে জিম্বাবুয়ে। ফলে ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত স্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে অব্যাহতি নেয় তারা। এ ছাড়া সর্বশেষ দুই ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ে।

এ ছাড়া জিম্বাবুয়ের নারী ক্রিকেট দলও খেলতে পারেননি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরপরও আয়োজন করতে চাইছে তারা। তাদের দাবি সংযুক্ত আরব আমিরাতের তুলনায় জিম্বাবুয়েতে দর্শকের উপস্থিতি বেশি এবং অর্থ খরচও কম হবে। তাই বিসিবি, আইসিসিকে নিশ্চিয়তা দিতে ব্যর্থ হলে বিবেচনায় আসবে আরব আমিরাত ও জিম্বাবুয়ের সুযোগ-সুবিধা-অসুবিধা।

যদিও অন্তর্র্বতী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশ টিকে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত বিসিবিকে বাড়তি সময়ও দিয়েছে আইসিসি।

আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে শুরু হওয়ার কথা ছিল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিঁখোজ অনেক বোর্ড পরিচালক। বিসিবির কার্য নির্বাহী পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি নিয়ে নিয়মিত মানববন্ধন করছেন অনেকে।

এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আয়োজন ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে যথেষ্ট। কড়া নজরদারি রেখেছে আইসিসি। আগামী মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মধ্যে বিশ্বক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে বিসিবির।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় জিম্বাবুয়ে

প্রকাশের সময় : ০২:২০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আগামী মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সে দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সভা চূড়ান্ত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকের নাম।

স্বত্ব অনুয়ায়ী নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্র্বতী সরকার ও বিসিবি। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও কয়েকটি দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার (অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ভারত) কারণে বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবতে হচ্ছে আইসিসিকে।

এ সুযোগে বিশ্বকাপ আয়োজনে নিজেদের আগ্রহ দেখাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। এ ছাড়া প্রস্তুত রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও। জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে নিরপক্ষে ভেন্যু হিসেবে চলতি বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যায়

১০ দলের অংশ গ্রহণে হওয়ার কথা নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। অংশ গ্রহণকারী দলের তালিকায় নেই জিম্বাবুয়ে ও আরব আমিরাতের নাম। এর আগে ২০১৮ ও ২০২৩ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আয়োজক ছিল জিম্বাবুয়ে। ২০২৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক আফ্রিকার দেশটি।

এর আগে ২০০৩ সালে কেনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল জিম্বাবুয়ে। এককভাবে কখনও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করেনি দেশটি।

বিশেষ করে রবার্ট মুগাবের শাসনামলে দ্রব মূল্যের উর্ধ্বগতি, দমন-নিপীড়নে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে জিম্বাবুয়ে। ফলে ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত স্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে অব্যাহতি নেয় তারা। এ ছাড়া সর্বশেষ দুই ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ে।

এ ছাড়া জিম্বাবুয়ের নারী ক্রিকেট দলও খেলতে পারেননি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরপরও আয়োজন করতে চাইছে তারা। তাদের দাবি সংযুক্ত আরব আমিরাতের তুলনায় জিম্বাবুয়েতে দর্শকের উপস্থিতি বেশি এবং অর্থ খরচও কম হবে। তাই বিসিবি, আইসিসিকে নিশ্চিয়তা দিতে ব্যর্থ হলে বিবেচনায় আসবে আরব আমিরাত ও জিম্বাবুয়ের সুযোগ-সুবিধা-অসুবিধা।

যদিও অন্তর্র্বতী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশ টিকে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত বিসিবিকে বাড়তি সময়ও দিয়েছে আইসিসি।

আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে শুরু হওয়ার কথা ছিল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিঁখোজ অনেক বোর্ড পরিচালক। বিসিবির কার্য নির্বাহী পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি নিয়ে নিয়মিত মানববন্ধন করছেন অনেকে।

এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আয়োজন ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে যথেষ্ট। কড়া নজরদারি রেখেছে আইসিসি। আগামী মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মধ্যে বিশ্বক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে বিসিবির।