Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের নির্বাচন আজও স্থিতিশীল অবস্থায় আসেনি : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের নির্বাচন আজও স্থিতিশীল অবস্থায় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সামান্য তিল পরিমাণ অনিয়ম হবে না তা কখনও বলা যাবে না।

সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সহিংসভাবে ভোট বিরোধী কিছু হলে, ভোট দিতে বাধা দিলে সংকট দেখা দেবে। এই সংকট প্রতিহত করতে হবে। যেকোনো মূল্যে কেন্দ্রের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে। জাল ভোট দেওয়া, কালো টাকা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়- সেগুলো প্রতিহত করতে হবে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে ভোট পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা। নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র নির্বাচনে সহযোগিতা করতে বাধ্য। কোনো নির্বাচনই পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হয়নি। আমাদের এখনও নিরবচ্ছিভাবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আসেনি। তবে অস্বাভাবিক সহিংসতা কাম্য নয়।

দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়ে ওঠেনি মন্তব্য করেন হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেকোনো কারণেই হোক নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সহিংসতা না হলেও পরবর্তীতে এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের অভিমত ইতিবাচক ছিল না। তাই এবার ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচনকে দৃশ্যমানভাবে স্বচ্ছ করতে হবে। নির্বাচনকে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ৪২ থেকে ৪৩ হাজার কেন্দ্রে একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। তাই অনেককে এখানে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করছি। সর্বোচ্চ দায়িত্ব এ কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কখনো একক সিদ্ধান্তে একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।

তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী গণতন্ত্র যেটাকে বলা হয়, যেটা আমরা ভারতে লক্ষ্য করেছি, বিলেতে লক্ষ্য করছি, আমেরিকাতে লক্ষ্য করছি। কিন্তু আমাদের দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র গড়ে উঠেনি।

সিইসি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি সুন্দর রাখতে হবে। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়নি। এখনও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। আপনাদের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশা করি।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাজা থেকে খালাস পেলেন জি কে শামীম

বাংলাদেশের নির্বাচন আজও স্থিতিশীল অবস্থায় আসেনি : সিইসি

প্রকাশের সময় : ১২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের নির্বাচন আজও স্থিতিশীল অবস্থায় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সামান্য তিল পরিমাণ অনিয়ম হবে না তা কখনও বলা যাবে না।

সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সহিংসভাবে ভোট বিরোধী কিছু হলে, ভোট দিতে বাধা দিলে সংকট দেখা দেবে। এই সংকট প্রতিহত করতে হবে। যেকোনো মূল্যে কেন্দ্রের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে। জাল ভোট দেওয়া, কালো টাকা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়- সেগুলো প্রতিহত করতে হবে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে ভোট পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা। নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র নির্বাচনে সহযোগিতা করতে বাধ্য। কোনো নির্বাচনই পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হয়নি। আমাদের এখনও নিরবচ্ছিভাবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আসেনি। তবে অস্বাভাবিক সহিংসতা কাম্য নয়।

দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়ে ওঠেনি মন্তব্য করেন হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেকোনো কারণেই হোক নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সহিংসতা না হলেও পরবর্তীতে এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের অভিমত ইতিবাচক ছিল না। তাই এবার ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচনকে দৃশ্যমানভাবে স্বচ্ছ করতে হবে। নির্বাচনকে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ৪২ থেকে ৪৩ হাজার কেন্দ্রে একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। তাই অনেককে এখানে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করছি। সর্বোচ্চ দায়িত্ব এ কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কখনো একক সিদ্ধান্তে একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।

তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী গণতন্ত্র যেটাকে বলা হয়, যেটা আমরা ভারতে লক্ষ্য করেছি, বিলেতে লক্ষ্য করছি, আমেরিকাতে লক্ষ্য করছি। কিন্তু আমাদের দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র গড়ে উঠেনি।

সিইসি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি সুন্দর রাখতে হবে। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়নি। এখনও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। আপনাদের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশা করি।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।