Dhaka শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরব আমিরাতের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। এছাড়া ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই নয় দেশের নাগরিকরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

দেশটির অভিবাসন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, সুদান এবং উগান্ডা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউএই ভিসা অনলাইনে প্রকাশিত দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই ৯ দেশের যেসব নাগরিক ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আমিরাতে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপত্তা উদ্বেগ, ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং কোভিড-১৯-এর মতো মহামারিকে নিষেধাজ্ঞার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে আরব আমিরাত। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কারণ প্রকাশ করেনি দেশটির সরকার।

২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ভিসা আবেদনের সুযোগ আর থাকবে না বাংলাদেশসহ ৯ দেশের নাগরিকদের জন্য, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ, কাজ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা একটি অপরিহার্য নথি। যদিও বেশিরভাগ নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন ভিসা বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাজের ভিসার জন্য আবেদন করেন।

তবে এবার কিছু দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে আমিরাত। এই বিধিনিষেধের অর্থ হলো- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই দেশগুলোর নাগরিকরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

কেন এসব দেশের নাগরিকের ওপর ভিসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে?

আরব আমিরাত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কারণ জানায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর সম্ভাব্য কারণগুলো হলো-

নিরাপত্তা উদ্বেগ: সন্ত্রাসবাদ বা বেআইনি কার্যকলাপ থেকে আমিরাতের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা।

ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক: উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধ: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর প্রবেশ নীতিমালা প্রয়োগ।

এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে এবং আরব আমিরাতের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য মূল্যায়ণের ওপর নির্ভর করে তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে যারা বৈধ ভিসা নিয়ে এরই মধ্যে আমিরাতে বসবাস করছেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সবার পরামর্শে সরকার গঠন হলেও ব্যর্থতার দায় নিতে হচ্ছে এনসিপির : হাসনাত আবদুল্লাহ

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরব আমিরাতের

প্রকাশের সময় : ০১:১১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। এছাড়া ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই নয় দেশের নাগরিকরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

দেশটির অভিবাসন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, সুদান এবং উগান্ডা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউএই ভিসা অনলাইনে প্রকাশিত দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই ৯ দেশের যেসব নাগরিক ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আমিরাতে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপত্তা উদ্বেগ, ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং কোভিড-১৯-এর মতো মহামারিকে নিষেধাজ্ঞার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে আরব আমিরাত। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কারণ প্রকাশ করেনি দেশটির সরকার।

২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ভিসা আবেদনের সুযোগ আর থাকবে না বাংলাদেশসহ ৯ দেশের নাগরিকদের জন্য, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ, কাজ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা একটি অপরিহার্য নথি। যদিও বেশিরভাগ নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন ভিসা বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাজের ভিসার জন্য আবেদন করেন।

তবে এবার কিছু দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে আমিরাত। এই বিধিনিষেধের অর্থ হলো- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই দেশগুলোর নাগরিকরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

কেন এসব দেশের নাগরিকের ওপর ভিসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে?

আরব আমিরাত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কারণ জানায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর সম্ভাব্য কারণগুলো হলো-

নিরাপত্তা উদ্বেগ: সন্ত্রাসবাদ বা বেআইনি কার্যকলাপ থেকে আমিরাতের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা।

ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক: উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধ: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর প্রবেশ নীতিমালা প্রয়োগ।

এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে এবং আরব আমিরাতের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য মূল্যায়ণের ওপর নির্ভর করে তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে যারা বৈধ ভিসা নিয়ে এরই মধ্যে আমিরাতে বসবাস করছেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না।