Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঁধন-সাবার ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বে যোগ দিলেন অরুণা বিশ্বাস

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৮২ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

চব্বিশের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ঘিরে তৈরি হয় মতপার্থক্য। এ হাওয়া লাগে দেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের মাঝেও। নীতিগত বিভাজনের সমাপ্তি এখনো ঘটেনি। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, সোহানা সাবার ভার্চুয়াল দ্বন্দ্ব অন্তত সে কথাই বলছে। তাদের এই দ্বন্দ্বে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সময়ের সঙ্গে রূপ নেয় গণআন্দোলনে। গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এই সময়ে আন্দোলনের পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তৎকালীন সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ অনেক তারকাই। আলোচিত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যও ছিলেন সাবা-অরুণা। আজমেরী হক বাঁধন

গত কয়েক দিন ধরে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার ঘটনা ক্রমান্বয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন আজমেরী হক বাঁধন। এ নিয়ে নেটিজেনদের কেউ কেউ তাকে আক্রমণ করে মন্তব্য করছেন। বাঁধনের পোস্টে রিয়া ঘোষ নামে একজন লেখেন, “সারা জীবন ড্রামাবাজি করে সতী সাজতে চেয়েছেন। আপনি আপাদমস্তক একজন ভণ্ড। আপনার পুরো জগৎটা ঘোরে আপনাকে ঘিরেই। কী জীবন আপনার! করুণা লাগে আপনাকে দেখে। কেউ যদি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হতেন, তাহলে কলকাতায় গিয়ে ব্যক্তিজীবনের কেচ্ছা গাইতেন না।”

বাঁধনের ফেসবুক ওয়াল থেকে এই মন্তব্যের স্ক্রিনশট সোহানা সাবা তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। মূলত, তারপরই সাবা-বাঁধনের ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বের সূচনা। সাবা স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, “এই কমেন্টটা আপু ডিলিট করে দিয়েছেন। মেবি দিদিটিকে ব্লক করেও দিয়েছেন। ভাগ্যক্রমে আমার টাইমলাইনে ভেসে উঠেছিল আর আমি তক্ষনি স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলাম।” এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় চর্চা। যুক্ত হন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। সাবার এ পোস্টে তিনি লেখেন—“ড্রামাবাজি।”

সোহানা সাবা তার এ পোস্টে বেশ কটি মন্তব্য করেছেন। একটি মন্তব্যে বাঁধনের স্ক্রিনশট শেয়ার করার কারণ ব্যাখ্যা করেন। সোহানা সাবা লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম স্ক্রিনশট নিয়ে কিছু পোস্ট করব না। কিন্তু পরে মনে হলো এটা তো পাবলিক পোস্ট, যে কেউ নিতে পারে, শেয়ার করতেও পারে। তাই আমিও করলাম।”

গতকাল ফেসবুকে বেশ কটি পোস্ট দিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। সোহানা সাবা স্ক্রিনশট শেয়ার করার পর একটি পোস্টে সহকর্মীদের নিয়ে সমালোচনা করেন বাঁধন। দীর্ঘ এ পোস্টের সারমর্ম হলো “আমার কিছু সহকর্মী, যাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি, মঞ্চে দাঁড়িয়েছি, যাদের বিশ্বাস করতাম, তারা ইন্টারনেটে আমার ওপর নির্মম ও অপমানজনক আক্রমণ চালাচ্ছেন। তাদের কথাগুলো ছিল অমানবিক, উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ছোট করা। তারা শুধু আমাকে নয়, আমি যা কিছুতে বিশ্বাস করি, সেগুলোকেও অসম্মান করছে। এই তালিকায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরাও আছেন।”

বাঁধন তার বক্তব্যে কোনো শিল্পীর নাম উল্লেখ করেননি। তবে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন নেটিজেনরা। তাদের দাবি—সোহানা সাবাকে উদ্দেশ্য করেই পোস্টটি দিয়েছেন বাঁধন।

উল্লেখ্য, জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় অরুণা বিশ্বাস এবং সোহানা সাবা তৎকালীন সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং ‘আলো আসবেই’ নামের একটি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাদের এই সমর্থন তখন থেকেই আলোচনায় ছিল। এই তারকাদের মধ্যকার প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্রিজ থাকলেও নেই রাস্তা, ভোগান্তি চরমে

বাঁধন-সাবার ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বে যোগ দিলেন অরুণা বিশ্বাস

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক : 

চব্বিশের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ঘিরে তৈরি হয় মতপার্থক্য। এ হাওয়া লাগে দেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের মাঝেও। নীতিগত বিভাজনের সমাপ্তি এখনো ঘটেনি। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, সোহানা সাবার ভার্চুয়াল দ্বন্দ্ব অন্তত সে কথাই বলছে। তাদের এই দ্বন্দ্বে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সময়ের সঙ্গে রূপ নেয় গণআন্দোলনে। গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এই সময়ে আন্দোলনের পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তৎকালীন সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ অনেক তারকাই। আলোচিত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যও ছিলেন সাবা-অরুণা। আজমেরী হক বাঁধন

গত কয়েক দিন ধরে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার ঘটনা ক্রমান্বয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন আজমেরী হক বাঁধন। এ নিয়ে নেটিজেনদের কেউ কেউ তাকে আক্রমণ করে মন্তব্য করছেন। বাঁধনের পোস্টে রিয়া ঘোষ নামে একজন লেখেন, “সারা জীবন ড্রামাবাজি করে সতী সাজতে চেয়েছেন। আপনি আপাদমস্তক একজন ভণ্ড। আপনার পুরো জগৎটা ঘোরে আপনাকে ঘিরেই। কী জীবন আপনার! করুণা লাগে আপনাকে দেখে। কেউ যদি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হতেন, তাহলে কলকাতায় গিয়ে ব্যক্তিজীবনের কেচ্ছা গাইতেন না।”

বাঁধনের ফেসবুক ওয়াল থেকে এই মন্তব্যের স্ক্রিনশট সোহানা সাবা তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। মূলত, তারপরই সাবা-বাঁধনের ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বের সূচনা। সাবা স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, “এই কমেন্টটা আপু ডিলিট করে দিয়েছেন। মেবি দিদিটিকে ব্লক করেও দিয়েছেন। ভাগ্যক্রমে আমার টাইমলাইনে ভেসে উঠেছিল আর আমি তক্ষনি স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলাম।” এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় চর্চা। যুক্ত হন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। সাবার এ পোস্টে তিনি লেখেন—“ড্রামাবাজি।”

সোহানা সাবা তার এ পোস্টে বেশ কটি মন্তব্য করেছেন। একটি মন্তব্যে বাঁধনের স্ক্রিনশট শেয়ার করার কারণ ব্যাখ্যা করেন। সোহানা সাবা লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম স্ক্রিনশট নিয়ে কিছু পোস্ট করব না। কিন্তু পরে মনে হলো এটা তো পাবলিক পোস্ট, যে কেউ নিতে পারে, শেয়ার করতেও পারে। তাই আমিও করলাম।”

গতকাল ফেসবুকে বেশ কটি পোস্ট দিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। সোহানা সাবা স্ক্রিনশট শেয়ার করার পর একটি পোস্টে সহকর্মীদের নিয়ে সমালোচনা করেন বাঁধন। দীর্ঘ এ পোস্টের সারমর্ম হলো “আমার কিছু সহকর্মী, যাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি, মঞ্চে দাঁড়িয়েছি, যাদের বিশ্বাস করতাম, তারা ইন্টারনেটে আমার ওপর নির্মম ও অপমানজনক আক্রমণ চালাচ্ছেন। তাদের কথাগুলো ছিল অমানবিক, উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ছোট করা। তারা শুধু আমাকে নয়, আমি যা কিছুতে বিশ্বাস করি, সেগুলোকেও অসম্মান করছে। এই তালিকায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরাও আছেন।”

বাঁধন তার বক্তব্যে কোনো শিল্পীর নাম উল্লেখ করেননি। তবে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন নেটিজেনরা। তাদের দাবি—সোহানা সাবাকে উদ্দেশ্য করেই পোস্টটি দিয়েছেন বাঁধন।

উল্লেখ্য, জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় অরুণা বিশ্বাস এবং সোহানা সাবা তৎকালীন সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং ‘আলো আসবেই’ নামের একটি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাদের এই সমর্থন তখন থেকেই আলোচনায় ছিল। এই তারকাদের মধ্যকার প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।