Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্তমান সরকার পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বর্তমান সরকার পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৪ জুন) বিকেলে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে ভার্চুয়ালে সারাদেশের ১৫টি জেলায় ও মহানগরের পাঠাগার উদ্বোধন করে সংগঠনটি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার কিন্তু পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার জেলা ও মফস্বলে পাঠাগারগুলো ছিল তা বন্ধ করে দিয়েছে। তা আর নেই। আমি রাজনৈতিকভাবে বলছি না, সব ক্ষেত্রে রাজনীতি ঢোকানো ঠিক না। জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের মধ্য দিয়ে আমরা যেন গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের দল বিএনপির প্রত্যেকটি জেলায় পাঠাগার আছে।

এ সময় তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করবে তাদেরকে অবশ্যই বেশি করে বই পড়তে হবে। জাতিকে পরিচালনা করতে তাদেরকে ভালো পড়াশোনা করে, জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখন বই পড়ি না। শুধু আমাদের ছেলেদের কথা বলছি না। আমরা সবাই এখন ইন্টারনেটে থাকি, ইউটিউব দেখি। বই পড়াতে সময় দিতে চাই না। এই পাঠাগারের মধ্য দিয়ে আমাদের নেতারা বই পড়ে, আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় যেন কাজ করতে পারে- এটাই প্রত্যাশা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সকলকে বই পড়তে হবে। একটা অনুরোধ থাকবেৃ যারা আজকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন, জেলাগুলোতে তড়িঘড়ি করে এই পাঠাগার তৈরি করলেন, অনেকেই সুন্দরভাবে পাঠাগার সাজিয়ে দিয়েছেন। শুধু সাজালে চলবে না, বইগুলো রেখে দিলে চলবে না। বইগুলো যেন পড়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার কিন্তু পাঠাগার ধ্বংস করেছে। আপনারা কতটুকু জানেন জানি না, আমি জানিৃ আগে প্রত্যেকটা জেলায় সরকারিভাবে পাঠাগার নির্মাণ করা হতো এবং সেখানে বরাদ্দ দেওয়া হতো, প্রচুর বইপত্র দেওয়া হতো। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে বইপত্রগুলো সেখানে (বিভিন্ন পাঠাগারে) পাঠানো হতো প্রতিবছর। এখন সব বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পাঠাগারের আন্দোলনই এখন নেই। এই আন্দোলনটা আমাদের তৈরি করতে হবে। আজকে ১৫টা জেলায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে পাঠাগার উদ্বোধন করলেন, এটাকে আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। সবাই এই কাজ করে না, যারা করে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। সব কিছুকে রাজনীতিকরণ করার প্রয়োজন নেই। আমাদের রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রতিটি জেলায় অন্তত একটা পাঠাগার নির্মাণের প্রচেষ্টা নিতে হবে। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বিএনপি সেই দল, তারা জেলায় জেলায় পাঠাগার গড়ে তুলছে।

জিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিষদের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তির সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বর্তমান সরকার পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৯:২১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বর্তমান সরকার পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৪ জুন) বিকেলে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে ভার্চুয়ালে সারাদেশের ১৫টি জেলায় ও মহানগরের পাঠাগার উদ্বোধন করে সংগঠনটি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার কিন্তু পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার জেলা ও মফস্বলে পাঠাগারগুলো ছিল তা বন্ধ করে দিয়েছে। তা আর নেই। আমি রাজনৈতিকভাবে বলছি না, সব ক্ষেত্রে রাজনীতি ঢোকানো ঠিক না। জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের মধ্য দিয়ে আমরা যেন গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের দল বিএনপির প্রত্যেকটি জেলায় পাঠাগার আছে।

এ সময় তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করবে তাদেরকে অবশ্যই বেশি করে বই পড়তে হবে। জাতিকে পরিচালনা করতে তাদেরকে ভালো পড়াশোনা করে, জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখন বই পড়ি না। শুধু আমাদের ছেলেদের কথা বলছি না। আমরা সবাই এখন ইন্টারনেটে থাকি, ইউটিউব দেখি। বই পড়াতে সময় দিতে চাই না। এই পাঠাগারের মধ্য দিয়ে আমাদের নেতারা বই পড়ে, আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় যেন কাজ করতে পারে- এটাই প্রত্যাশা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সকলকে বই পড়তে হবে। একটা অনুরোধ থাকবেৃ যারা আজকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন, জেলাগুলোতে তড়িঘড়ি করে এই পাঠাগার তৈরি করলেন, অনেকেই সুন্দরভাবে পাঠাগার সাজিয়ে দিয়েছেন। শুধু সাজালে চলবে না, বইগুলো রেখে দিলে চলবে না। বইগুলো যেন পড়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার কিন্তু পাঠাগার ধ্বংস করেছে। আপনারা কতটুকু জানেন জানি না, আমি জানিৃ আগে প্রত্যেকটা জেলায় সরকারিভাবে পাঠাগার নির্মাণ করা হতো এবং সেখানে বরাদ্দ দেওয়া হতো, প্রচুর বইপত্র দেওয়া হতো। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে বইপত্রগুলো সেখানে (বিভিন্ন পাঠাগারে) পাঠানো হতো প্রতিবছর। এখন সব বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পাঠাগারের আন্দোলনই এখন নেই। এই আন্দোলনটা আমাদের তৈরি করতে হবে। আজকে ১৫টা জেলায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে পাঠাগার উদ্বোধন করলেন, এটাকে আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। সবাই এই কাজ করে না, যারা করে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। সব কিছুকে রাজনীতিকরণ করার প্রয়োজন নেই। আমাদের রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রতিটি জেলায় অন্তত একটা পাঠাগার নির্মাণের প্রচেষ্টা নিতে হবে। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বিএনপি সেই দল, তারা জেলায় জেলায় পাঠাগার গড়ে তুলছে।

জিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিষদের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তির সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।