Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : ইইউকে ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, তারা এইটা দেখতে এসেছে যে, বাংলাদেশের সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না। তবে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

‘রাজনীতিতে বারবার একটা কথা আলোচনা আসছে যে, নির্বাচনকালীন প্রেসক্রিপশনৃ সেখানটায় ওনাদের (ইইউ) কোনও পরামর্শ আছে কিনা’ প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রেসক্রিপশনের তো প্রশ্নই উঠতে পারে না, কিসের প্রেসক্রিপশন? এখানে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এখানে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া। বর্তমানে আওয়ামী লীগ যে অবস্থাটা তৈরি করেছে, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে গত ২টা নির্বাচনে যে, নির্দলীয় সরকার ছাড়া এখানে নির্বাচন সম্ভব না। প্রেসক্রিপশনের প্রশ্ন না— এখানে সংবিধানে আছে ভোটাররা ভোট দেবে, ভোট দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে সরকার গঠন হবে।

যেহেতু সংবিধানের বাইরে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না, যা ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে তত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কী বলেছে, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় বলেছে, বাংলাদেশে তারা একটা সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। সে বিষয়টা আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য বাংলাদেশে তাদের একটি টিম (দল) এসেছে। বাংলাদেশে আসলেও কোনও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার সুযোগ আছে কিনা, সেটা দেখার জন্যে তারা আসবেন এবং ওই টিমটার বিষয়ে আলোচনা করবার জন্যে এখানে যে দূতাবাস আছে, সেই দূতাবাসের অ্যাম্বেসেডর এসেছিলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি’র সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আগামী সপ্তাহে একটি বিশেষজ্ঞ দল আসবে। ওই দলের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলাপ-আলোচনা হবে। সেই দলের সঙ্গে আগাম আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের আলোচনা হয়েছে। মূলত আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান দেশের পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে আমাদের কী ভাবনা, তা নিয়ে এতক্ষণ আলাপ হয়।

এক ঘণ্টা বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূতকে বিদায় দিয়ে কার্যালয়ের গেটের সামনে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

নির্বাচন নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে : ফখরুল

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয় জানেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এদেশে একটা এক্সপার্ট টিম আসবে আগামী সপ্তাহে এবং সেই এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর কথা হবে, আলোচনা হবে, সিভিল সোসাইটির কথা হবে। এই টিমের অ্যাডভান্সার আলোচনার ব্যাপারেই আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনারা যেটা আঁচ করছেন যে, নির্বাচনৃ সেই ব্যাপারেই আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আমাদের কী চিন্তা, আমরা কী ভাবছি, আমরা কী করছি— এই বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ডিসিএম স্প্যানিয়ার বার্ন্ড ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা সেবাস্টিয়ান। আর বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : ইইউকে ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, তারা এইটা দেখতে এসেছে যে, বাংলাদেশের সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না। তবে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

‘রাজনীতিতে বারবার একটা কথা আলোচনা আসছে যে, নির্বাচনকালীন প্রেসক্রিপশনৃ সেখানটায় ওনাদের (ইইউ) কোনও পরামর্শ আছে কিনা’ প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রেসক্রিপশনের তো প্রশ্নই উঠতে পারে না, কিসের প্রেসক্রিপশন? এখানে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এখানে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া। বর্তমানে আওয়ামী লীগ যে অবস্থাটা তৈরি করেছে, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে গত ২টা নির্বাচনে যে, নির্দলীয় সরকার ছাড়া এখানে নির্বাচন সম্ভব না। প্রেসক্রিপশনের প্রশ্ন না— এখানে সংবিধানে আছে ভোটাররা ভোট দেবে, ভোট দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে সরকার গঠন হবে।

যেহেতু সংবিধানের বাইরে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না, যা ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে তত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কী বলেছে, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় বলেছে, বাংলাদেশে তারা একটা সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। সে বিষয়টা আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য বাংলাদেশে তাদের একটি টিম (দল) এসেছে। বাংলাদেশে আসলেও কোনও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার সুযোগ আছে কিনা, সেটা দেখার জন্যে তারা আসবেন এবং ওই টিমটার বিষয়ে আলোচনা করবার জন্যে এখানে যে দূতাবাস আছে, সেই দূতাবাসের অ্যাম্বেসেডর এসেছিলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি’র সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আগামী সপ্তাহে একটি বিশেষজ্ঞ দল আসবে। ওই দলের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলাপ-আলোচনা হবে। সেই দলের সঙ্গে আগাম আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের আলোচনা হয়েছে। মূলত আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান দেশের পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে আমাদের কী ভাবনা, তা নিয়ে এতক্ষণ আলাপ হয়।

এক ঘণ্টা বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূতকে বিদায় দিয়ে কার্যালয়ের গেটের সামনে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

নির্বাচন নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে : ফখরুল

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয় জানেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এদেশে একটা এক্সপার্ট টিম আসবে আগামী সপ্তাহে এবং সেই এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর কথা হবে, আলোচনা হবে, সিভিল সোসাইটির কথা হবে। এই টিমের অ্যাডভান্সার আলোচনার ব্যাপারেই আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনারা যেটা আঁচ করছেন যে, নির্বাচনৃ সেই ব্যাপারেই আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আমাদের কী চিন্তা, আমরা কী ভাবছি, আমরা কী করছি— এই বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ডিসিএম স্প্যানিয়ার বার্ন্ড ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা সেবাস্টিয়ান। আর বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।