Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরেণ্য অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও মারা গেছেন

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • ২১৪ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আবারও শোকের ছায়া। তেলেগু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও সাবেক বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

রোববার (১৩ জুলাই) সকালে ভারতের হায়দারাবাদের ফিল্মনগরে নিজের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এ অভিনেতা।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাত্র তিন দিন আগেই স্ত্রী রুক্মিণী এবং দুই কন্যাকে নিয়ে নিজের জন্মদিন উদ্যাপন করেছিলেন অভিনেতা।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রুক্মিনী ও তিন সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জানা যায়, অভিনেতার একমাত্র পুত্র কোটা প্রসাদ রাও ২০১০ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

অভিনয়ের ক্যারিয়ারে চার দশকেরও বেশি সময়ে সব মিলিয়ে ৭৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। খ্যাতনামা এ অভিনেতা ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হন। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছিলেন তিনি। ছিলেন বিজেপি সংসদ সদস্য।

১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের ছোট্ট গ্রাম কাঙ্কিপাদুতে জন্ম শ্রীনিবাসের। বাবা সীতারামা অঞ্জনেয়ুলু ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। সেই কারণে ছোট্ট শ্রীনিবাসেরও স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিনয়ই হয়ে ওঠে ধ্যানজ্ঞান। মঞ্চে অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই এ অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। যদিও পরে ভারতের স্টেট ব্যাংকে চাকরি পান।

১৯৭৮ সালে তেলুগু সিনেমা ‘প্রণাম খারিদু’তে অভিনয়েই তার রুপালি পর্দায় অভিষেক। এরপর একের পর এক সিনেমায় কখনো চরিত্রাভিনেতা, কখনো খল চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাকে। পরবর্তী সময়ে তামিল, হিন্দি, কন্নড়, মালয়ালম সিনেমাতেও কাজ করেছেন। অভিনয় জীবনে তার সিনেমার সংখ্যা ৭৫০টিরও বেশি।

দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করে তিনি দর্শকের মন কেড়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ‘রক্ত চরিত্র’ (২০১০), ‘ইডিয়ট’ (২০০২), ‘গণেশ’ (১৯৯৮), ‘গোবিন্দা গোবিন্দা’ (১৯৯৩) প্রভৃতি। তবে বলিউডের দর্শকরা তাকে মনে রেখেছেন ‘সরকার’ সিনেমায় দুরন্ত অভিনয়ের জন্য। রামগোপাল বর্মা নির্মিত সিনেমায় ‘সিলভার মণি’ চরিত্রে অমিতাভ বচ্চনের সামনে দাপটে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে।

২০১২ সালে ‘কৃষ্ণম বন্দে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পেয়েছিলেন সিমা অ্যাওয়ার্ড। খল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন ৯টি নন্দী অ্যাওয়ার্ড। ২০১৫ সালে ভারতীয় সিনেমায় অবদানের জন্য ভূষিত হন দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’তে। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য শ্রীনিবাস ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অন্ধপ্রদেশের পূর্ব বিজয়ওয়াড়ার বিধায়ক ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

বরেণ্য অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও মারা গেছেন

প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক : 

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আবারও শোকের ছায়া। তেলেগু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও সাবেক বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

রোববার (১৩ জুলাই) সকালে ভারতের হায়দারাবাদের ফিল্মনগরে নিজের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এ অভিনেতা।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাত্র তিন দিন আগেই স্ত্রী রুক্মিণী এবং দুই কন্যাকে নিয়ে নিজের জন্মদিন উদ্যাপন করেছিলেন অভিনেতা।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রুক্মিনী ও তিন সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জানা যায়, অভিনেতার একমাত্র পুত্র কোটা প্রসাদ রাও ২০১০ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

অভিনয়ের ক্যারিয়ারে চার দশকেরও বেশি সময়ে সব মিলিয়ে ৭৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। খ্যাতনামা এ অভিনেতা ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হন। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছিলেন তিনি। ছিলেন বিজেপি সংসদ সদস্য।

১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের ছোট্ট গ্রাম কাঙ্কিপাদুতে জন্ম শ্রীনিবাসের। বাবা সীতারামা অঞ্জনেয়ুলু ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। সেই কারণে ছোট্ট শ্রীনিবাসেরও স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিনয়ই হয়ে ওঠে ধ্যানজ্ঞান। মঞ্চে অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই এ অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। যদিও পরে ভারতের স্টেট ব্যাংকে চাকরি পান।

১৯৭৮ সালে তেলুগু সিনেমা ‘প্রণাম খারিদু’তে অভিনয়েই তার রুপালি পর্দায় অভিষেক। এরপর একের পর এক সিনেমায় কখনো চরিত্রাভিনেতা, কখনো খল চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাকে। পরবর্তী সময়ে তামিল, হিন্দি, কন্নড়, মালয়ালম সিনেমাতেও কাজ করেছেন। অভিনয় জীবনে তার সিনেমার সংখ্যা ৭৫০টিরও বেশি।

দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করে তিনি দর্শকের মন কেড়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ‘রক্ত চরিত্র’ (২০১০), ‘ইডিয়ট’ (২০০২), ‘গণেশ’ (১৯৯৮), ‘গোবিন্দা গোবিন্দা’ (১৯৯৩) প্রভৃতি। তবে বলিউডের দর্শকরা তাকে মনে রেখেছেন ‘সরকার’ সিনেমায় দুরন্ত অভিনয়ের জন্য। রামগোপাল বর্মা নির্মিত সিনেমায় ‘সিলভার মণি’ চরিত্রে অমিতাভ বচ্চনের সামনে দাপটে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে।

২০১২ সালে ‘কৃষ্ণম বন্দে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পেয়েছিলেন সিমা অ্যাওয়ার্ড। খল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন ৯টি নন্দী অ্যাওয়ার্ড। ২০১৫ সালে ভারতীয় সিনেমায় অবদানের জন্য ভূষিত হন দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’তে। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য শ্রীনিবাস ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অন্ধপ্রদেশের পূর্ব বিজয়ওয়াড়ার বিধায়ক ছিলেন।