Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রির দ্বন্দ্বে সবজি ব্যবসায়ী নিহত

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশাল নগরীর কাশিপুর বাজারে কম দামে মরিচ বিক্রি নিয়ে মারামারির ঘটনায় ছুরিকাঘাতে এক সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন।

হামলাকারী মো. সোহেল রানাও (৫০) একজন সবজি বিক্রেতা। তিনি নগরীর কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকার সোনাবুদ্দিনের ছেলে।

নিহত মো. কামাল হোসেন (৩৮) নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাশিপুরের সৈয়দপুর এলাকার এসকান্দার সর্দারের ছেলে। আহতরা হলেন কাশিপুরের তিনু মাঝির ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৪০), তাঁর ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) ও মো. জয়নাল আবেদীন (৩৫)।

ঘটনার পর হামলাকারীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ প্রহরায় শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।

আহতদের স্বজনেরা জানিয়েছে, ভ্যান গাড়িতে মাইকিং করে কম দামে সবজি ও কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন সোহেল রানা। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে মারামারি ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত ও চারজন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদ বলেন, কাশিপুর বাজারে ব্যবসায়ীরা ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেন। সোহেল রানা বাজারের সামনে এসে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেন। তখন কামালসহ আহতরা এসে ওই দামে মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু সোহেল রানা রাজি হননি। এতে তাকে বাজারের কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ী মারধর করেন। এক পর্যায়ে সোহেল রানা বস্তা কাটা ছুরি দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন। তার এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে কামালসহ ছয়জন জখম হন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কামাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিও আহত অবস্থায় পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবহাওয়া

বরিশালে কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রির দ্বন্দ্বে সবজি ব্যবসায়ী নিহত

প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশাল নগরীর কাশিপুর বাজারে কম দামে মরিচ বিক্রি নিয়ে মারামারির ঘটনায় ছুরিকাঘাতে এক সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন।

হামলাকারী মো. সোহেল রানাও (৫০) একজন সবজি বিক্রেতা। তিনি নগরীর কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকার সোনাবুদ্দিনের ছেলে।

নিহত মো. কামাল হোসেন (৩৮) নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাশিপুরের সৈয়দপুর এলাকার এসকান্দার সর্দারের ছেলে। আহতরা হলেন কাশিপুরের তিনু মাঝির ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৪০), তাঁর ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) ও মো. জয়নাল আবেদীন (৩৫)।

ঘটনার পর হামলাকারীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ প্রহরায় শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।

আহতদের স্বজনেরা জানিয়েছে, ভ্যান গাড়িতে মাইকিং করে কম দামে সবজি ও কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন সোহেল রানা। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে মারামারি ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত ও চারজন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদ বলেন, কাশিপুর বাজারে ব্যবসায়ীরা ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেন। সোহেল রানা বাজারের সামনে এসে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেন। তখন কামালসহ আহতরা এসে ওই দামে মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু সোহেল রানা রাজি হননি। এতে তাকে বাজারের কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ী মারধর করেন। এক পর্যায়ে সোহেল রানা বস্তা কাটা ছুরি দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন। তার এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে কামালসহ ছয়জন জখম হন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কামাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিও আহত অবস্থায় পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।