Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ববিতা আমন্ত্রণ পাননি চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে

ফাইল ছবি

মাধ্যমে অংশ নেন। এ আয়োজনে সোহেল রানা সশরীরে হাজির হয়ে সম্মাননা পদক গ্রহণ করলেও হাজির হাতে পারেননি জহির রায়হানের সহধর্মিণী অভিনেত্রী সুচন্দা। তবে তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়ে। অবাক করার বিষয় হলো এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি এক সময়ের ঢালিউডের নামকরা নায়িকা ববিতা

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমার বড় বোন এবার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পাচ্ছে, আমিও অপেক্ষায় ছিলাম যে অনুষ্ঠানে যাব। কিন্তু আমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোই হলো না। আমি বলছি না যে ভুল হতে পারে না। ভুল হতেই পারে, কিন্তু আমি ৭০টির বেশি দেশি-বিদেশি পুরস্কার পেয়েছি।

আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। আমি যদি আমন্ত্রণ না পাই, তাহলে নিশ্চয়ই এ রকম ভুল আরো হয়েছে। এটা কি দুঃখজনক নয়? কথাগুলো বলতে গিয়ে শেষ বাক্যে দুঃখ মিশিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন ববিতা।

ববিতা বলেন, গতবার আমাকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট দেওয়া হয় আমাকে। এবার যখন আমার বোনের নাম ঘোষণা করা হয়, তখন আমি আনন্দিত হয়েছিলাম। যদিও আমি মনে করি, আমার বড় বোনের এটা আরো আগেই পাওয়া উচিত ছিল। যা-ই হোক, আমি এবার যেতে চেয়েছিলাম।

আমার বড় বোন কোহিনূর আক্তার সুচন্দার হঠাৎ ওপেন হার্ট সার্জারি হওয়ার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারছিলেন না। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তার যে অনুভূতি সেটাও পড়া হলো না পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে। প্রধানমন্ত্রী জানতেই পারলেন না সুচন্দা কী বলতে চেয়েছিল।

চলচ্চিত্রশিল্পীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির এ আসরটি প্রায় প্রতিবছরই জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক গ্রহণ করে শিল্পীরা হন ধন্য। কাজের স্বীকৃতি নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজে ফেরেন। চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এ আসরে চলচ্চিত্রের দুই মহারথীকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা। গতবারের আয়োজনে নায়ক ফারুক ও ববিতাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : খোলামেলা ছবিতে সমালোচিত নুসরাত জাহান

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতা বলেন, আমাদের একেবারে নিচের পর্যায়ে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব না পালন ক্লরেন, তাহলে তার প্রভাব সবখানেই পড়ে। আমার বোন উপস্থিত হতে পারছেন না বলে তার অনুভূতি লিখে পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল এটা মঞ্চে পড়ে শোনানো হবে। কিন্তু তা-ও হয়নি।

প্রথমবার যখন লিখে পাঠানো হয় তখন বলা হয়েছিল বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার জন্য। তখন তা করা হয়েছিল। সেন্সর বোর্ডেও পাঠাতে বলা হয়েছিল, তা-ও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর পড়াই হলো না। প্রধানমন্ত্রী জানতে পারলেন না আমার বোনের অনুভূতির কথাগুলো।

কোহিনূর আক্তার সুচন্দা (১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭) যশোরে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও পরিচালক। তিনি ১৯৬০-এর দশকে অভিনয়জীবন শুরু করেন। তার ছোট বোন ববিতা ও চম্পা ঢালিউডের দুই অভিনেত্রী। ১৯৬৭ সালে বেহুলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সময় চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের সঙ্গে তার ভাববিনিময় হয় এবং ১৯৬৮ সালে তিনি তাকে বিয়ে করেন।

জহির রায়হান ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খোঁজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। তাঁদের দুই ছেলে- আরাফাত রায়হান ও অপু রায়হান। ১৯৭৬ সালে সুচন্দা ব্যবসায়ী এম রেজাউল মালিককে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে, রাফাইয়াৎ মালিক ও রাফাইয়া মালিক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ববিতা আমন্ত্রণ পাননি চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে

প্রকাশের সময় : ০৩:২২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

মাধ্যমে অংশ নেন। এ আয়োজনে সোহেল রানা সশরীরে হাজির হয়ে সম্মাননা পদক গ্রহণ করলেও হাজির হাতে পারেননি জহির রায়হানের সহধর্মিণী অভিনেত্রী সুচন্দা। তবে তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়ে। অবাক করার বিষয় হলো এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি এক সময়ের ঢালিউডের নামকরা নায়িকা ববিতা

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমার বড় বোন এবার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পাচ্ছে, আমিও অপেক্ষায় ছিলাম যে অনুষ্ঠানে যাব। কিন্তু আমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোই হলো না। আমি বলছি না যে ভুল হতে পারে না। ভুল হতেই পারে, কিন্তু আমি ৭০টির বেশি দেশি-বিদেশি পুরস্কার পেয়েছি।

আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। আমি যদি আমন্ত্রণ না পাই, তাহলে নিশ্চয়ই এ রকম ভুল আরো হয়েছে। এটা কি দুঃখজনক নয়? কথাগুলো বলতে গিয়ে শেষ বাক্যে দুঃখ মিশিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন ববিতা।

ববিতা বলেন, গতবার আমাকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট দেওয়া হয় আমাকে। এবার যখন আমার বোনের নাম ঘোষণা করা হয়, তখন আমি আনন্দিত হয়েছিলাম। যদিও আমি মনে করি, আমার বড় বোনের এটা আরো আগেই পাওয়া উচিত ছিল। যা-ই হোক, আমি এবার যেতে চেয়েছিলাম।

আমার বড় বোন কোহিনূর আক্তার সুচন্দার হঠাৎ ওপেন হার্ট সার্জারি হওয়ার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারছিলেন না। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তার যে অনুভূতি সেটাও পড়া হলো না পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে। প্রধানমন্ত্রী জানতেই পারলেন না সুচন্দা কী বলতে চেয়েছিল।

চলচ্চিত্রশিল্পীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির এ আসরটি প্রায় প্রতিবছরই জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক গ্রহণ করে শিল্পীরা হন ধন্য। কাজের স্বীকৃতি নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজে ফেরেন। চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এ আসরে চলচ্চিত্রের দুই মহারথীকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা। গতবারের আয়োজনে নায়ক ফারুক ও ববিতাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : খোলামেলা ছবিতে সমালোচিত নুসরাত জাহান

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতা বলেন, আমাদের একেবারে নিচের পর্যায়ে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব না পালন ক্লরেন, তাহলে তার প্রভাব সবখানেই পড়ে। আমার বোন উপস্থিত হতে পারছেন না বলে তার অনুভূতি লিখে পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল এটা মঞ্চে পড়ে শোনানো হবে। কিন্তু তা-ও হয়নি।

প্রথমবার যখন লিখে পাঠানো হয় তখন বলা হয়েছিল বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার জন্য। তখন তা করা হয়েছিল। সেন্সর বোর্ডেও পাঠাতে বলা হয়েছিল, তা-ও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর পড়াই হলো না। প্রধানমন্ত্রী জানতে পারলেন না আমার বোনের অনুভূতির কথাগুলো।

কোহিনূর আক্তার সুচন্দা (১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭) যশোরে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও পরিচালক। তিনি ১৯৬০-এর দশকে অভিনয়জীবন শুরু করেন। তার ছোট বোন ববিতা ও চম্পা ঢালিউডের দুই অভিনেত্রী। ১৯৬৭ সালে বেহুলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সময় চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের সঙ্গে তার ভাববিনিময় হয় এবং ১৯৬৮ সালে তিনি তাকে বিয়ে করেন।

জহির রায়হান ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খোঁজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। তাঁদের দুই ছেলে- আরাফাত রায়হান ও অপু রায়হান। ১৯৭৬ সালে সুচন্দা ব্যবসায়ী এম রেজাউল মালিককে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে, রাফাইয়াৎ মালিক ও রাফাইয়া মালিক।