Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার ক্ষতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের সাম্প্রতিক বন্যায় মোট ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, বন্যায় ১১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত আশ্রয় গ্রহণকারী ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ১১১ জন। ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮২১ জন। এছাড়াও বন্যায় মৃত ৭৪ জন এবং আহত হয়েছে ৬৮ জন। এবারের বন্যায় মোট ক্ষতি হয়েছে ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৫২২ টাকা।

উপদেষ্টা জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন। মৃত্যের সংখ্যা ৭৪ জন। আহত হয়েছেন ৬৮ জন।

উপদেষ্টা জানান, বন্যায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮২১ জন। বন্যায় মারা গেছেন ৭৪ জন, আহত হয়েছেন ৬৮ জন। বন্যায় ২৩ কোটি ৬০ লাখ ২৯ হাজার ৭৪০ টাকার ফসল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার ৬১০ টাকার ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষ নিয়ে এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়েও এমন কমিটি হবে। তারা পুরো পুনর্বাসন কর্মসূচি মনিটরিং করবেন বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

বন্যাদুর্গত এলাকায় কৃষকদের দাবি রয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির টাকা যাতে আপাতত না নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ এটা করা হয়েছে। আজকের সভাতেও বলা হয়েছে। তিন মাসের জন্য কিস্তির টাকা রহিত করা হয়েছে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত কৃষকদের কিস্তির টাকা রহিত করা হয়েছে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিতে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বন্যাকবলিত ১১ জেলায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা। আমরা সেটা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বরাদ্দ করেছি।

প্রাথমিকের শিক্ষা কার্যক্রম এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের সাম্প্রতিক বন্যায় মোট ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, বন্যায় ১১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত আশ্রয় গ্রহণকারী ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ১১১ জন। ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮২১ জন। এছাড়াও বন্যায় মৃত ৭৪ জন এবং আহত হয়েছে ৬৮ জন। এবারের বন্যায় মোট ক্ষতি হয়েছে ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৫২২ টাকা।

উপদেষ্টা জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন। মৃত্যের সংখ্যা ৭৪ জন। আহত হয়েছেন ৬৮ জন।

উপদেষ্টা জানান, বন্যায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮২১ জন। বন্যায় মারা গেছেন ৭৪ জন, আহত হয়েছেন ৬৮ জন। বন্যায় ২৩ কোটি ৬০ লাখ ২৯ হাজার ৭৪০ টাকার ফসল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার ৬১০ টাকার ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষ নিয়ে এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়েও এমন কমিটি হবে। তারা পুরো পুনর্বাসন কর্মসূচি মনিটরিং করবেন বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

বন্যাদুর্গত এলাকায় কৃষকদের দাবি রয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির টাকা যাতে আপাতত না নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ এটা করা হয়েছে। আজকের সভাতেও বলা হয়েছে। তিন মাসের জন্য কিস্তির টাকা রহিত করা হয়েছে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত কৃষকদের কিস্তির টাকা রহিত করা হয়েছে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিতে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বন্যাকবলিত ১১ জেলায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা। আমরা সেটা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বরাদ্দ করেছি।

প্রাথমিকের শিক্ষা কার্যক্রম এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।