Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধ রয়েছে এনআইডি সার্ভার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা বুধবার (১৬ আগস্ট)  সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (১৬ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সাইবার হামলার ঝুঁকি এড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভাণ্ডার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, সাইবার হামলার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভাণ্ডার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট। এরকম সংবাদ সঠিক নয়, সার্ভার মেইনটেনেন্সের কারণেই এনআইডি সেবা বন্ধ রয়েছে।

সিস্টেম ম্যানেজার জানান, গত রাত থেকে সার্ভার মেইনটেইনেন্সের কাজ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সার্ভারের কাজ চলমান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সার্ভার ঠিক হয়ে যাবে। সরকারি ছুটি থাকলে আমরা সার্ভারের মেইনটেইনেন্সের কাজ করি।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিক অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, একটি কারিগরি দল সার্ভারে কাজ করছেন। কিছুক্ষণ পরেই সার্ভার চালু হবে বলে।

তিনি বলেন, সার্ভারে কোনো ত্রুটি আছে কি না এবং ত্রুটি থাকলে তা সারাতে কাজ করছেন কারিগরি দল।

এর আগে, সাইবার হামলার আশঙ্কায় গত সোমবার (১৪ আগস্ট) অফিস শেষে সন্ধ্যায় ইসির সার্ভারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সার্ভার ও তথ্যভাণ্ডারে ইসির সাধারণ কর্মকর্তারা ঢুকতে পারেননি। শুধু কারিগরি কমিটির সদস্যরা মনিটরিং করতে যেসব এক্সেস দরকার সেটি করতে পেরেছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়, ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকার কার্যক্রমের সুবিধার্থে তারা ইসির সার্ভারে ঢোকার চেষ্টা করেও ঢুকতে পারেননি। পরে জানতে পেরেছেন ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকির কারণে নিরাপদ থাকার স্বার্থেই সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বড় ধরনের হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল একটি হ্যাকারগোষ্ঠী। সরকার থেকে জানানো হয়েছিল সাইবার হামলা রোধে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নিজেদের ভারতের একটি হ্যাকার গোষ্ঠী দাবি করে বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তানেও সাইবার আক্রমণের ঘোষণা দেয় তারা। গত ৩১ জুলাই আক্রমণের হুমকি দিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাইবার জগৎ ধ্বংসের হুমকি দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ (সিআইআই) দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যখাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভাণ্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভান্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি ইসির তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। নবম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়। ভোটারদের তথ্যগুলো ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজে পুরোনা রড ব্যবহারের অভিযোগ

বন্ধ রয়েছে এনআইডি সার্ভার

প্রকাশের সময় : ১২:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা বুধবার (১৬ আগস্ট)  সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (১৬ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সাইবার হামলার ঝুঁকি এড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভাণ্ডার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, সাইবার হামলার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভাণ্ডার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট। এরকম সংবাদ সঠিক নয়, সার্ভার মেইনটেনেন্সের কারণেই এনআইডি সেবা বন্ধ রয়েছে।

সিস্টেম ম্যানেজার জানান, গত রাত থেকে সার্ভার মেইনটেইনেন্সের কাজ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সার্ভারের কাজ চলমান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সার্ভার ঠিক হয়ে যাবে। সরকারি ছুটি থাকলে আমরা সার্ভারের মেইনটেইনেন্সের কাজ করি।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিক অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, একটি কারিগরি দল সার্ভারে কাজ করছেন। কিছুক্ষণ পরেই সার্ভার চালু হবে বলে।

তিনি বলেন, সার্ভারে কোনো ত্রুটি আছে কি না এবং ত্রুটি থাকলে তা সারাতে কাজ করছেন কারিগরি দল।

এর আগে, সাইবার হামলার আশঙ্কায় গত সোমবার (১৪ আগস্ট) অফিস শেষে সন্ধ্যায় ইসির সার্ভারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সার্ভার ও তথ্যভাণ্ডারে ইসির সাধারণ কর্মকর্তারা ঢুকতে পারেননি। শুধু কারিগরি কমিটির সদস্যরা মনিটরিং করতে যেসব এক্সেস দরকার সেটি করতে পেরেছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়, ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকার কার্যক্রমের সুবিধার্থে তারা ইসির সার্ভারে ঢোকার চেষ্টা করেও ঢুকতে পারেননি। পরে জানতে পেরেছেন ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকির কারণে নিরাপদ থাকার স্বার্থেই সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বড় ধরনের হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল একটি হ্যাকারগোষ্ঠী। সরকার থেকে জানানো হয়েছিল সাইবার হামলা রোধে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নিজেদের ভারতের একটি হ্যাকার গোষ্ঠী দাবি করে বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তানেও সাইবার আক্রমণের ঘোষণা দেয় তারা। গত ৩১ জুলাই আক্রমণের হুমকি দিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাইবার জগৎ ধ্বংসের হুমকি দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ (সিআইআই) দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যখাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভাণ্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভান্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি ইসির তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। নবম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়। ভোটারদের তথ্যগুলো ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত রয়েছে।