Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা বাদীর মরদেহ উদ্ধার

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদি এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শহরের বোয়ালী এলাকার থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

নিহত এশা মির্জা বোয়ালী এলাকার লতিফ মির্জার মেয়ে। লতিফ মৃত্যুর আগে বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য ছিলেন।

এশা মির্জার বোন লুনা মির্জা জানান, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে তাদের দুজনের কথা হয় মোবাইলে ফোনে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এশার ননদ আমার স্বামীকে ফোন করে জানায় ও ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়েছে। পরে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবার।

বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে সদস্যরা এসে এশার মরদেহ উদ্ধার করে। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু ছালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।

টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সরফুদ্দিন জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছ। ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনা স্থলে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ৫ এপ্রিল রাতে অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় এশা টাঙ্গাইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি এ মামলা থেকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা বাদীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১০:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদি এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শহরের বোয়ালী এলাকার থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

নিহত এশা মির্জা বোয়ালী এলাকার লতিফ মির্জার মেয়ে। লতিফ মৃত্যুর আগে বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য ছিলেন।

এশা মির্জার বোন লুনা মির্জা জানান, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে তাদের দুজনের কথা হয় মোবাইলে ফোনে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এশার ননদ আমার স্বামীকে ফোন করে জানায় ও ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়েছে। পরে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবার।

বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে সদস্যরা এসে এশার মরদেহ উদ্ধার করে। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু ছালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।

টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সরফুদ্দিন জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছ। ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনা স্থলে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ৫ এপ্রিল রাতে অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় এশা টাঙ্গাইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি এ মামলা থেকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।