Dhaka শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড়পুকুরিয়ায় ২ মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বুধবার (৩০ আগস্ট) বন্ধ হচ্ছে। খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেজের (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আগামী দুই মাস এ খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

জানা গেছে, নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। নতুন এই ফেজের উৎপাদন শুরু হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। খনি কর্তৃপক্ষের ধারণা নতুন ফেজ থেকে প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে।

ফলে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন কমিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক।

খনির একটি সূত্র জানিয়েছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল ১১১৩ নম্বর ফেসে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেছে। এতে ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ১১১৩ ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এখন নতুন ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। নতুন এই ফেসে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ১১১৩ নম্বর ফেজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৪১২ নম্বর ফেজে স্থাপনের কাজ চলছে। নতুন ফেজটি থেকে উৎপাদনে যেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন হতে পারে।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, নতুন ১৪১২ নম্বর ফেসটি আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে। এছাড়া ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।

বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, খনিতে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ রেখে ৩ নম্বর ইউনিট চালু রেখে ১৮০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ৩ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এটি উৎপাদন রাখতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত পিডিপির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। এ কয়লা দিয়ে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট অর্থাৎ ৩য় ইউনিট উৎপাদন চালু রাখতে হবে। তবে, নভেম্বর মাসে কয়লা উত্তোলন সম্ভব না হলে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন অথবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়তে পারে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

বড়পুকুরিয়ায় ২ মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ

প্রকাশের সময় : ১২:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বুধবার (৩০ আগস্ট) বন্ধ হচ্ছে। খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেজের (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আগামী দুই মাস এ খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

জানা গেছে, নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। নতুন এই ফেজের উৎপাদন শুরু হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। খনি কর্তৃপক্ষের ধারণা নতুন ফেজ থেকে প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে।

ফলে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন কমিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক।

খনির একটি সূত্র জানিয়েছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল ১১১৩ নম্বর ফেসে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেছে। এতে ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ১১১৩ ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এখন নতুন ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। নতুন এই ফেসে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ১১১৩ নম্বর ফেজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৪১২ নম্বর ফেজে স্থাপনের কাজ চলছে। নতুন ফেজটি থেকে উৎপাদনে যেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন হতে পারে।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, নতুন ১৪১২ নম্বর ফেসটি আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে। এছাড়া ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।

বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, খনিতে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ রেখে ৩ নম্বর ইউনিট চালু রেখে ১৮০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ৩ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এটি উৎপাদন রাখতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত পিডিপির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। এ কয়লা দিয়ে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট অর্থাৎ ৩য় ইউনিট উৎপাদন চালু রাখতে হবে। তবে, নভেম্বর মাসে কয়লা উত্তোলন সম্ভব না হলে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন অথবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়তে পারে।