Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ৬১ ভাগ কাজ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেলযোগাযোগ ও বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমাতে যমুনা নদীর ওপর নির্মানাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু’র কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশি-বিদেশি সহস্রাধিক প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর দিনরাত পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে এ বৃহৎ নির্মাণযজ্ঞ। সব মিলিয়ে প্রকল্প কাজের প্রায় ৬১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তা।

এ রেলসেতু চালু হলে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার সঙ্গে ট্রেন চলাচল সহজ করবে। একই সাথে আন্ত: এশিয়া রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ করিডর হিসেবে কাজ করবে। এ রেলসেতু দেশের উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দ্রুত গতিতে রেলসেতুটি হয়ে গেলে এ এলাকার মানুষের স্বচ্ছলতার আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির। যমুনার টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে এ সেতুর নির্মাণকাজ চলছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ৫০টি পিলারের ওপর বসবে ৪৯টি স্প্যান। ইতিমধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আর স্প্যান বসেছে ১৫টি। বর্তমানে ১৬তম স্প্যানের সুপারস্ট্রাকচার কাজ চলছে। এছাড়া বাকি ১৯টি পিলারের বিভিন্ন স্তরের ঢালাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টের মধ্যে এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকসহ প্রায় ৪.৮০ কিলোমিটার এই রেলসেতুর দুইপাশে ০.০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৭.৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ ও সাইডিংসহ মোট ৩০.৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দ প্রায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে এই সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে। এই রেলসেতু চালু হলে রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার ট্রেন চলাচল সহজ হবে। একইসঙ্গে আন্তঃএশিয়া রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ করিডোর হিসেবে কাজ করবে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতুটি চালু হলে ৮৮টি ট্রেন চলাচল করবে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ-২ (সিরাজগঞ্জ-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর মাধ্যমে যাত্রীরা যেমন উন্নতমানের সেবা পাবে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। রেলসেতুটি চালু হলে সিরাজগঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গবাসীর স্বচ্ছলতা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। একইসঙ্গে বেকার সমস্যাও লাঘব হবে।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এখানে প্রায় এক হাজার দেশি-বিদেশি শ্রমিক দিনরাত কাজ করেছেন। ইতিমধ্যে রেলসেতুর ৬১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।

শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি সাত লাখ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ৬১ ভাগ কাজ শেষ

প্রকাশের সময় : ০৪:২০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেলযোগাযোগ ও বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমাতে যমুনা নদীর ওপর নির্মানাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু’র কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশি-বিদেশি সহস্রাধিক প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর দিনরাত পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে এ বৃহৎ নির্মাণযজ্ঞ। সব মিলিয়ে প্রকল্প কাজের প্রায় ৬১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তা।

এ রেলসেতু চালু হলে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার সঙ্গে ট্রেন চলাচল সহজ করবে। একই সাথে আন্ত: এশিয়া রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ করিডর হিসেবে কাজ করবে। এ রেলসেতু দেশের উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দ্রুত গতিতে রেলসেতুটি হয়ে গেলে এ এলাকার মানুষের স্বচ্ছলতার আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির। যমুনার টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে এ সেতুর নির্মাণকাজ চলছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ৫০টি পিলারের ওপর বসবে ৪৯টি স্প্যান। ইতিমধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আর স্প্যান বসেছে ১৫টি। বর্তমানে ১৬তম স্প্যানের সুপারস্ট্রাকচার কাজ চলছে। এছাড়া বাকি ১৯টি পিলারের বিভিন্ন স্তরের ঢালাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টের মধ্যে এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকসহ প্রায় ৪.৮০ কিলোমিটার এই রেলসেতুর দুইপাশে ০.০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৭.৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ ও সাইডিংসহ মোট ৩০.৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দ প্রায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে এই সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে। এই রেলসেতু চালু হলে রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার ট্রেন চলাচল সহজ হবে। একইসঙ্গে আন্তঃএশিয়া রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ করিডোর হিসেবে কাজ করবে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতুটি চালু হলে ৮৮টি ট্রেন চলাচল করবে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ-২ (সিরাজগঞ্জ-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর মাধ্যমে যাত্রীরা যেমন উন্নতমানের সেবা পাবে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। রেলসেতুটি চালু হলে সিরাজগঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গবাসীর স্বচ্ছলতা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। একইসঙ্গে বেকার সমস্যাও লাঘব হবে।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এখানে প্রায় এক হাজার দেশি-বিদেশি শ্রমিক দিনরাত কাজ করেছেন। ইতিমধ্যে রেলসেতুর ৬১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।

শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি সাত লাখ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়।