চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলে বাসের ধাক্কায় একটি প্রাইভেটকারের তিন যাত্রী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই টানেলের কুইক রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করে। তবে নিরাপত্তাকর্মীদের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এতে দুই নারী ও এক পুরুষসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী। এছাড়া বাসের ধাক্কায় প্রাইভেটকারটি টানেল টিউবের দেয়ালে আঁচড়ে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
টানেলের সহকারী ম্যানেজার (নিরাপত্তা) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনোয়ারা যাওয়ার পথে টানেলের ভেতরে একটি বেপরোয়া বাস সামনের আরেকটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি টানেল টিউবের দেয়ালে আঁচড়ে পড়ে। প্রাইভেটকারটির সামনের ও পেছনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে বাস ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারামুখী টানেলে যানযট তৈরি হয়। পরে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি দ্রুত সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতেও বঙ্গবন্ধু টানেলে একই কায়দায় একটি বেপরোয়া বাস সামনে থাকা প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেয়। পরে টানেলের নিরাপত্তাকর্মীরা বাস ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করেন।
বাংলাদেশ সেতু কতৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস বলেন, একটা দুর্ঘটনা হয়েছিল। আমাদের টিম দ্রুত উদ্ধার করেছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর একপাশ দিয়ে যানচলাচল হয়েছে। উদ্ধার প্রক্রিয়া শেষে বর্তমানে একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার ছুটির দিনে হঠাৎ টানেল দিয়ে যানচলাচল বেড়ে যায়। এদিন লোকজন টানেল পরিদর্শন করতে বিভিন্ন গাড়ি নিয়ে যায়। এতে করে বিকেলের দিকে টানেলের ভেতরে-বাইরে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ কর্মকর্তাদের।
বন্দর জোন ট্রাফিকের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় টানেলে যানবাহনের ভিড় ছিল। এছাড়া এয়ারপোর্ট এবং বন্দরগামী গাড়ি চলাচলের জন্য টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে গোলচত্বর এলাকায় বেশি ভিড় ছিল। আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি 

























