সাভার উপজেলা প্রতিনিধি :
বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়া সবচেয়ে বড় অন্যায় হয়েছে বলে মন্তব্য করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, হালাকু খান, চেঙ্গিস খানেরা মিসর সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য মিশরকে জ্বালিয়েছিল। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়া সবচেয়ে বড় অন্যায় হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের অর্ধেকটা পুড়ে-জ্বলে ছারখার হয়ে যেত, কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়া মানে অসভ্যতার শেষ সীমায় আমরা পৌঁছে গেছি। যারা আজকে সরকারে আছে, আন্দোলনে সফল হয়েছে, তারা এর সঙ্গে নেই, এ কথা তাদের বলা উচিত ছিল এবং দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, আমরা প্রায় সব সময় ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করি এবং করি। যখন যে ক্ষমতাবান থাকে, সে ইতিহাসের মহানায়ক সাজতে চায়। কিন্তু সেটা সত্য নয়। অতীতকে ভুলে গেলে বর্তমান যেমন নিপতিত হবে, ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। আমি একটা কথাই বলব, স্বাধীনতাকে মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার বীর সৈনিকদের মূল্য দিতে হবে, শহীদদের মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার নেতাদের মূল্য দিতে হবে। তাদের অস্বীকার করে আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। এই ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে কোনোমতেই অস্বীকার নয়।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রায় সব সময় ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করি। যখন যে ক্ষমতায় থাকে সে ইতিহাসের মহানায়ক সাজতে চায়। কিন্তু সেটা সত্য নয়। আমি একটা কথাই বলবো স্বাধীনতাকে মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার বীর সৈনিকদের মূল্য দিতে হবে, শহীদদের মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার নেতৃবৃন্দের মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল নির্বাচনের রায়কে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ বানিয়েছে। সেটা বারে বারে ভূলন্ঠিত হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে এবং ২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতায় এই দেশের মানুষের অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ। খুব তাড়াতাড়ি সময়ের মধ্যে নির্বাচনে না হলে, নির্বাচনে না গেলে মানুষ বিক্ষুব্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার জন্ম একবারই হয়। জন্মের পরে মৃত্যু যেমন স্বাধীনতা তেমনি। কিন্তু বিজয় মাঝে মাঝেই আসে, একটা বিরাট কিছু তার মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন হয়। ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে সত্যিই একটা জাতির ঐতিহাসিক বিজয় এসেছে। এই দেশ মানুষের দেশ, সেই দেশকে মানুষের চাহিদামতো পরিচালিত করা হয়নি। সে কারণে মানুষের বিক্ষোভের কারণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সফলতা এসেছে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, স্বাধীনতাকে মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার বীর সৈনিকদের মূল্য দিতে হবে, শহীদদের মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার নেতৃবৃন্দের মূল্য দিতে হবে। তাদের অস্বীকার করে আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা কোনোমতেই উচিত নয়। চেঙ্গিস খানেরা মিসরের সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য মিশরকে জ্বালিয়েছিল। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়ানো সবচেয়ে বড় অন্যায় হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশবাসীর কাছে বিজয় দিবস ঐতিহাসিক ঘটনা। আমরা হাজার বছরেও স্বাধীন হইনি। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার জন্ম একবারই হয়। জন্মের পরে মৃত্যু যেমন, স্বাধীনতাও তেমনি। কিন্তু বিজয় মাঝে মাঝেই আসে, একটা বিরাট কিছু তার মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন হয়। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সত্যিই একটা জাতির ঐতিহাসিক বিজয় এসেছে। এই দেশ মানুষের দেশ, সেই দেশকে মানুষের চাহিদামতো পরিচালিত করা হয়নি। সেই কারণে মানুষের বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সফলতা এসেছে। আমি সেই সফলতাকে অভিনন্দন জানাই, ধন্যবাদ জানাই, আন্তরিকভাবে শুভকামনা জানাই।’
দেশে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল নির্বাচনের রায়কে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ বানিয়েছে। সেটা বারে বারে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে এবং ২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতা এই দেশের মানুষের অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ। খুব তাড়াতাড়ি মানুষের ইচ্ছার সময়ের মধ্যে নির্বাচনে না গেলে মানুষ বিক্ষুব্ধ হবে। শেখ হাসিনার প্রতি যেমন বিক্ষুব্ধ হয়েছিল, তার চাইতেও হয়তো বেশি বিক্ষুব্ধ হবে।’
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।