বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে দ্বাদশ নির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লা ও তার কর্মীদের বহনকারী গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে বিএনপির সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কাহালু উপজেলার তিনদীঘি এলাকায় গণসংযোগের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁর মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।
আহত রাখাল মাসুদ বলেন, তারা একটি মাইক্রোবাসে নির্বাচনী গণসংযোগ করতে বিকেল ৫টার দিকে কাহালু উপজেলার তিনদীঘি বাজার এলাকায় যান। সেখানে মাইক্রোবাস থেকে নামার সময় শাকিল, গফুর ও সবুজের নেতৃত্বে ২০-২৫ যুবক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান। তাঁরা মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন। ডা. জিয়াউল হককে হত্যার চেষ্টা চালায় হামলাকারীরা।
ডা.জিয়াউল হক মোল্লা বলেন, ‘বিএনপি মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের ক্যাডার বাহিনী আমাকে হত্যার জন্য হামলা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা কররা হবে। হামলা করে আমাকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে সরানো যাবেনা।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও দেখা যায় ডা. জিয়াউল হক মোল্লার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। কর্মীরা তাকে ভাঙচুর করা গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
কাহালু থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক থানায় ভাঙা গাড়ি নিয়ে আসেন। তিনি মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’
উল্লেখ্য, জিয়াউল হক মোল্লা বগুড়া-৪ আসনে বিএনপি থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি সংস্কারপন্থি নেতা হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর দলের সকল পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়থাকার পর আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন।
ডা জিয়াউল হক মোল্লার অভিযোগ অস্বীকার করে কাহালু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুর রহমান বলেন, হামলা হয়েছে এমন কথা শুনেছি। তবে কারা হামলা করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।