Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় ব্যাংকের সিন্দুক ভেঙে পৌনে ১০ লাখ টাকা চুরি

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

বগুড়া সদরে এনআরবিসি ব্যাংকের একটি উপ-শাখায় সিন্দুক ভেঙে পৌনে ১০ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সদর উপজেলার শাখারিয়া বাজার এলাকার পল্লীমঙ্গল হাট শাখায় এই ঘটনা ঘটে।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম জানান, পল্লীমঙ্গল হাট সংলগ্ন জনৈক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির নিচতলায় দুই কক্ষ ভাড়া নিয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখার কার্যক্রম চলছিল। ব্যাংকে তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। এই শাখায় কোনো নৈশ প্রহরী ছিল না।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ব্যাংকের সিন্দুকে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৪ টাকা রেখে চলে যান।

এরপর শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভোরে বাড়ির মালিক ফোন করে ব্যাংকে চুরির ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে তিনি নাটোর গ্রামের বাড়ি থেকে বগুড়ায় এসে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।

এদিকে, সরেজমিন দেখা গেছে, আব্দুর রাজ্জাকের দোতলা বাড়ির নিচতলায় এসকেএস ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিওর অফিস রয়েছে। সেখানে অফিস কর্মীদের আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। সিঁড়ি ঘরের পাশে দুটি কক্ষে ব্যাংকের উপশাখার কার্যক্রম চলে। বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাকের দেখানো অনুয়ায়ী, দোতলার ছাদে সিঁড়িঘরের দরজা সংলগ্ন দেয়ালের দুই লাইন ইট খুলে চোরের দল প্রবেশ করে। এরপর নিচতলায় সিঁড়িঘর সংলগ্ন ব্যাংকের প্রবেশের দরজার তালা লাগানো ক্লাম কেটে ভেতরে প্রবেশ করে।

ঘটনাস্থল পরির্দশনকারী একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না-করার শর্তে চুরির ঘটনাকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন। তাদের মতে, সিঁড়িঘরের ইট খুলে সাত ইঞ্চি ফাঁকা জায়গা দিয়ে ভেতরে একজন মানুষ প্রবেশ করা সম্ভব না। এছাড়াও ব্যাংকের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছিল।

পল্লীমঙ্গল বাজারে রাতের নিরাপত্তায় চারজন নৈশপ্রহরী দায়িত্ব পালন করেন।

তাদের একজন ঠান্ডু মিয়া বলেন, চারজনই সারারাত দায়িত্ব পালন করেছেন। রাতে এলাকায় সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখেননি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিকভাবে ব্যাংকের শাখায় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। প্রযুক্তিগত সহায়তা বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে কাজ চলছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

বগুড়ায় ব্যাংকের সিন্দুক ভেঙে পৌনে ১০ লাখ টাকা চুরি

প্রকাশের সময় : ০৩:২২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

বগুড়া সদরে এনআরবিসি ব্যাংকের একটি উপ-শাখায় সিন্দুক ভেঙে পৌনে ১০ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সদর উপজেলার শাখারিয়া বাজার এলাকার পল্লীমঙ্গল হাট শাখায় এই ঘটনা ঘটে।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম জানান, পল্লীমঙ্গল হাট সংলগ্ন জনৈক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির নিচতলায় দুই কক্ষ ভাড়া নিয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখার কার্যক্রম চলছিল। ব্যাংকে তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। এই শাখায় কোনো নৈশ প্রহরী ছিল না।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ব্যাংকের সিন্দুকে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৪ টাকা রেখে চলে যান।

এরপর শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভোরে বাড়ির মালিক ফোন করে ব্যাংকে চুরির ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে তিনি নাটোর গ্রামের বাড়ি থেকে বগুড়ায় এসে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।

এদিকে, সরেজমিন দেখা গেছে, আব্দুর রাজ্জাকের দোতলা বাড়ির নিচতলায় এসকেএস ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিওর অফিস রয়েছে। সেখানে অফিস কর্মীদের আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। সিঁড়ি ঘরের পাশে দুটি কক্ষে ব্যাংকের উপশাখার কার্যক্রম চলে। বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাকের দেখানো অনুয়ায়ী, দোতলার ছাদে সিঁড়িঘরের দরজা সংলগ্ন দেয়ালের দুই লাইন ইট খুলে চোরের দল প্রবেশ করে। এরপর নিচতলায় সিঁড়িঘর সংলগ্ন ব্যাংকের প্রবেশের দরজার তালা লাগানো ক্লাম কেটে ভেতরে প্রবেশ করে।

ঘটনাস্থল পরির্দশনকারী একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না-করার শর্তে চুরির ঘটনাকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন। তাদের মতে, সিঁড়িঘরের ইট খুলে সাত ইঞ্চি ফাঁকা জায়গা দিয়ে ভেতরে একজন মানুষ প্রবেশ করা সম্ভব না। এছাড়াও ব্যাংকের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছিল।

পল্লীমঙ্গল বাজারে রাতের নিরাপত্তায় চারজন নৈশপ্রহরী দায়িত্ব পালন করেন।

তাদের একজন ঠান্ডু মিয়া বলেন, চারজনই সারারাত দায়িত্ব পালন করেছেন। রাতে এলাকায় সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখেননি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিকভাবে ব্যাংকের শাখায় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। প্রযুক্তিগত সহায়তা বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করে কাজ চলছে।