Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্লাইট পরিচালনায় এয়ারলাইন্সের জামানত ৫০ হাজার ডলার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১৯১ জন দেখেছেন

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আবেদন করেছে বিদেশি এয়ারলাইনস। তবে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার আগে জামানত হিসেবে প্রতিটি এয়ারলাইনসকেই জামানত হিসেবে জমা দিতে হবে ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

বেবিচক সূত্র জানায়, মূলত বিদেশী এয়ারলাইনসগুলোর কাছ থেকে পরবর্তী সময়ে পাওনা বা বকেয়া আদায় নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

জানা গেছে, বিদেশী নতুন কোনো এয়ারলাইনসের শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার আগে জামানত গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বেবিচকের পরিচালনা পর্ষদের ৩৬৯তম সভায়। বিষয়টি এরই মধ্যে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে এয়ারলাইনসসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন কোনো বিদেশী এয়ারলাইনস বাংলাদেশে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর আগ্রহ প্রকাশ করলে ফ্লাইটের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে জামানত (ফেরতযোগ্য ও সমন্বয়যোগ্য) নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জামানতের পরিমাণ হবে ৫০ হাজার ইউএস ডলারের সমপরিমাণ টাকা। এ অর্থ তফসিলি ব্যাংকে এফডিআর হিসেবে রাখা হবে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্পূর্ণ নতুন কোনো বিদেশী এয়ারলাইনস সংস্থা বাংলাদেশের যেকোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনার আগে বেবিচকের কাছে জামানত দিতে হবে। একবার কোনো বিমানবন্দরের জন্য জামানত দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করলে অন্য বিমানবন্দরে অপারেশনের জন্য দ্বিতীয়বার জামানতের প্রয়োজন হবে না।

কোনো এয়ারলাইনস সংস্থা অপারেশন বন্ধ করলে এবং কোনো বকেয়া থাকলে তা সমন্বয় করে জামানতের অবশিষ্ট অংশ ফেরত দেয়া হবে। এছাড়া বিদেশী কোনো এয়ারলাইনসের শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন অনুমোদনের সাতদিনের মধ্যে বেবিচকের চেয়ারম্যান বরাবর পে-অর্ডারের মাধ্যমে জামানতের অর্থ জমা করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে ফ্লাইটের অনুমতি স্থগিত অথবা বাতিল করা হবে।

জানা গেছে, সম্প্রতি ছয়টি বিদেশী এয়ারলাইনস বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার শ্রীজয়া, কোরিয়ান এয়ার, ইরানের মাহান এয়ার, ইরাকের ফ্লাই বাগদাদ, সৌদি আরবের নাস এয়ার ও ভারতের ভিসতারা ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এছাড়া প্রায় ছয় বছর স্থগিত থাকার পর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসও বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ দেখিয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ১১ বছর বিরতির পর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। অনুকূল নীতি ও লাভের সম্ভাবনা থাকায় বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে এয়ারলাইনসগুলো।

এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বলেন, এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, সৌদি আরব ও ভারতের একটি করে এয়ারলাইনস বেবিচকের কাছে আবেদন করেছে। পাশাপাশি আরো কয়েকটি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, বেবিচকের পক্ষ থেকে সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে বেবিচক কর্মকর্তারা ওই দেশগুলোতেও যাবেন। চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার আগে ফ্লাইটের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ফ্লাইট পরিচালনায় এয়ারলাইন্সের জামানত ৫০ হাজার ডলার

প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাংলাদেশে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আবেদন করেছে বিদেশি এয়ারলাইনস। তবে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার আগে জামানত হিসেবে প্রতিটি এয়ারলাইনসকেই জামানত হিসেবে জমা দিতে হবে ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

বেবিচক সূত্র জানায়, মূলত বিদেশী এয়ারলাইনসগুলোর কাছ থেকে পরবর্তী সময়ে পাওনা বা বকেয়া আদায় নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

জানা গেছে, বিদেশী নতুন কোনো এয়ারলাইনসের শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার আগে জামানত গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বেবিচকের পরিচালনা পর্ষদের ৩৬৯তম সভায়। বিষয়টি এরই মধ্যে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে এয়ারলাইনসসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন কোনো বিদেশী এয়ারলাইনস বাংলাদেশে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর আগ্রহ প্রকাশ করলে ফ্লাইটের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে জামানত (ফেরতযোগ্য ও সমন্বয়যোগ্য) নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জামানতের পরিমাণ হবে ৫০ হাজার ইউএস ডলারের সমপরিমাণ টাকা। এ অর্থ তফসিলি ব্যাংকে এফডিআর হিসেবে রাখা হবে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্পূর্ণ নতুন কোনো বিদেশী এয়ারলাইনস সংস্থা বাংলাদেশের যেকোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনার আগে বেবিচকের কাছে জামানত দিতে হবে। একবার কোনো বিমানবন্দরের জন্য জামানত দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করলে অন্য বিমানবন্দরে অপারেশনের জন্য দ্বিতীয়বার জামানতের প্রয়োজন হবে না।

কোনো এয়ারলাইনস সংস্থা অপারেশন বন্ধ করলে এবং কোনো বকেয়া থাকলে তা সমন্বয় করে জামানতের অবশিষ্ট অংশ ফেরত দেয়া হবে। এছাড়া বিদেশী কোনো এয়ারলাইনসের শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন অনুমোদনের সাতদিনের মধ্যে বেবিচকের চেয়ারম্যান বরাবর পে-অর্ডারের মাধ্যমে জামানতের অর্থ জমা করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে ফ্লাইটের অনুমতি স্থগিত অথবা বাতিল করা হবে।

জানা গেছে, সম্প্রতি ছয়টি বিদেশী এয়ারলাইনস বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার শ্রীজয়া, কোরিয়ান এয়ার, ইরানের মাহান এয়ার, ইরাকের ফ্লাই বাগদাদ, সৌদি আরবের নাস এয়ার ও ভারতের ভিসতারা ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এছাড়া প্রায় ছয় বছর স্থগিত থাকার পর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসও বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ দেখিয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ১১ বছর বিরতির পর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। অনুকূল নীতি ও লাভের সম্ভাবনা থাকায় বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে এয়ারলাইনসগুলো।

এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বলেন, এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, সৌদি আরব ও ভারতের একটি করে এয়ারলাইনস বেবিচকের কাছে আবেদন করেছে। পাশাপাশি আরো কয়েকটি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, বেবিচকের পক্ষ থেকে সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে বেবিচক কর্মকর্তারা ওই দেশগুলোতেও যাবেন। চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার আগে ফ্লাইটের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।