নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল, তবে আদালতের রায়ে তারা তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছেন বলে জানালেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানী ঢাকার বনানীতে হোটেল শেরাটনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট বিদায় নিলেও ফ্যাসিজম বিদায় নেয়নি। ফ্যাসিজম নির্মূলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শেষ করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে যেখানে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
জামায়াত আমির বলেন, প্রবাসী ভোটারদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃশ্যমান কোনো উদ্বেগ নেই, জামায়াত তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের রাজনীতি সমাজ এবং সার্বভৌমত্বের উপর কারও আধিপত্য মেনে নেবে না জামায়াত।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জীবন বাজি রেখে যারা দেশ পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিজমকে বিদায় করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, ফ্যাসিজম রয়ে গেছে। এর কালো ছায়া এখনো জাতির কাধে রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিজমকে পুরোপুরি বিদায়ের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। যার মধ্য দিয়ে একটা ন্যায্য সরকার গঠিত হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু নির্বাচনটা কীভাবে হবে? এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর রয়েছে ঐতিহাসিক অবদান।
দলের নিবন্ধন বাতিলের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবের তিনি বলেন, যারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তাদের নিয়ে তেমন কোন চিন্তা আমরা করিনি। তবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তা করবো।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এখনই আশা-নিরাশার কথা বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) পারফরম্যান্স আরও দেখতে চাই।
এসময় দলের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।