Dhaka মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিস্টের দোসর ও পাশের দেশ থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন , পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পাশের দেশে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিকৃতি বানানো ও দেশে অসুরের মুখে দাড়ি ব্যবহার একই সূত্রে গাঁথা। এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসর ও পাশের দেশ থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা, গোয়েন্দা নজরদারি ও পূজা উদ্যাপন কমিটির সহযোগিতায় এই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কিছু ফ্যাসিস্ট তাদের সহযোগী ও বুদ্ধিজীবীদের ইন্ধনে কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল কিন্তু সবার সহযোগিতায় আমরা এ কুচক্রিদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতার সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল। এ ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীদেরও ইন্ধন ছিল। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। গতবারের ন্যায় এবারও সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ নিরাপদ, নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেজন্য আমি সেনাবাহিনী এবং বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোপরি সব সাধারণ জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আরও ধন্যবাদ জানাই আপনাদের তথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে যারা সঠিক তথ্য পরিবেশন করে জনগণকে সচেতন করেছেন। এজন্য আপনাদেরও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

দুর্গাপূজা ও খাগড়াছড়ির ঘটনা ঘিরে ফ্যাসিস্ট ও প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন বলেন, এরপরও পূজা ভালো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা, গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি, দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজামণ্ডপ কমিটিসহ সবার সহযোগিতায় কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ৭৯৩টির বেশি মন্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানো হয়েছিল। ভারতে দুর্গাপূজায় অসুরের মুখ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসর আদলে দেয়াও এর অংশ। এটা একই সূত্রে গাঁথা ছিল।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কমিটির মিটিং প্রতি সপ্তাহেই হয়। এতে আমাদের দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে আলোচনা হতো। তারপরে আমাদের এই যে গত শারদীয় দুর্গাপূজায় সম্বন্ধে আলোচনা হয়েছে। অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আবার আপনারা জানেন যে, ১৫ ও ১৬ তারিখে রাজ্য এবং নির্বাচন ওটার ব্যাপারে একটু আলোচনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে একটু আলোচনা হয়েছে। তারপরে চাঁদাবাজি এগুলোর ব্যাপারে আলোচনা হইছে। মাদক নিয়েও আলোচনা হইছে। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কিছু আলোচনা হয়েছে এবং আমাদের যে ভুল হয়ে গেছে ওই গুলোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সব চাইতে বড় একটা ঘটনা ছিল ধর্ষণের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের মদদ রয়েছে যা ইতোমধ্যে প্রতিমান হয়েছে। একটি পার্শ্ববর্তী দেশ দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরি করার সময় আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে যেভাবে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে এবং অসুরের মুখে দাড়ি দেওয়ার কাজটির মধ্যেও তারই যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা গোয়েন্দা সংস্থার সময় করা নজরদারিতে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজা মণ্ডপ কমিটির সহযোগিতা এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা এ কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।

খাগড়াছড়িতে যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এত তুলকালাম কাণ্ড হয়েছে, মেডিকেল রিপোর্টে সে ধর্ষণের কোনো আলামতই পাওয়া যায়নি বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, খাগড়াছড়িতে যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এত তুলকালাম কাণ্ড হয়েছে, মেডিকেল রিপোর্টে সে ধর্ষণের কোনো আলামতই পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পাহাড়ের সাধারণ জনগণ ও পাহাড়ি-বাঙালির সহযোগিতায় এ ঘটনাকে আমরা সুষ্ঠুভাবে ও সুন্দরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে পার্বত্য এলাকার অবরোধ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

স্যার, গতকাল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কোরআন অবমাননা নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কি কোনো যোগসূত্র আছে বলে মনে করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত যেহেতু অনুসন্ধান শেষ হয়নি, এজন্য আমরা এটার সঙ্গে যোগসূত্র আছে কিনা, তা বলতে পারব না।

আপনি খাগড়াছড়ি নিয়ে ভারতকে দোষারোপ করেছেন, আর পরশুদিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ভারতের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী- মন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটার ক্ষেত্রে আপনারা কার ওপর দোষ চাপাতে চাচ্ছেন? আপনি একজন বাংলাদেশি হিসেবে কী ভাবছেন? আপনারা নিজেরাই ঘটনাটা দেখেছেন, আপনারা চাক্ষুষ সাক্ষী। তো ওনার উদ্ধৃতি নিয়ে তো আমাদের কিছুই বলার নেই। আপনারা যেটা দেখছেন, সেটাই লিখবেন এবং জনগণ আপনাদেরই বেশি বিশ্বাস করবে।

পার্শ্ববর্তী দেশ কি বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা চায় না এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচনও বাধাগ্রস্ত করতে চায়?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা হয়তো আপনারা আরও ভালো বলতে পারবেন। আমরা প্রশ্নটা পেলাম, এখন অনুসন্ধান করে দেখে হয়তো উত্তর দিতে পারব।

আওয়ামী লীগের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আছে, তা যে কোনো সময় উঠে যেতে পারে-ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পৌঁছে দেবে- এরকম উদ্বেগের বিষয়ে সরকার কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কে বলেছে? প্রধান উপদেষ্টা যদি কিছু বলে থাকেন, ওই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। নির্বাচন বিষয়ে এগুলো নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞেস করবেন। আচ্ছা, ধন্যবাদ।

সারাদেশে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপনি কেমন দেখছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যে রকম দেখছেন, আমিও সে রকমই দেখছি। আমাদের পরিস্থিতি কি উন্নতি হয়নি?

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফ্যাসিস্টের দোসর ও পাশের দেশ থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০২:১০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন , পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পাশের দেশে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিকৃতি বানানো ও দেশে অসুরের মুখে দাড়ি ব্যবহার একই সূত্রে গাঁথা। এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসর ও পাশের দেশ থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা, গোয়েন্দা নজরদারি ও পূজা উদ্যাপন কমিটির সহযোগিতায় এই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কিছু ফ্যাসিস্ট তাদের সহযোগী ও বুদ্ধিজীবীদের ইন্ধনে কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল কিন্তু সবার সহযোগিতায় আমরা এ কুচক্রিদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতার সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল। এ ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীদেরও ইন্ধন ছিল। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। গতবারের ন্যায় এবারও সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ নিরাপদ, নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেজন্য আমি সেনাবাহিনী এবং বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোপরি সব সাধারণ জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আরও ধন্যবাদ জানাই আপনাদের তথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে যারা সঠিক তথ্য পরিবেশন করে জনগণকে সচেতন করেছেন। এজন্য আপনাদেরও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

দুর্গাপূজা ও খাগড়াছড়ির ঘটনা ঘিরে ফ্যাসিস্ট ও প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন বলেন, এরপরও পূজা ভালো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা, গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি, দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজামণ্ডপ কমিটিসহ সবার সহযোগিতায় কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ৭৯৩টির বেশি মন্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানো হয়েছিল। ভারতে দুর্গাপূজায় অসুরের মুখ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসর আদলে দেয়াও এর অংশ। এটা একই সূত্রে গাঁথা ছিল।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কমিটির মিটিং প্রতি সপ্তাহেই হয়। এতে আমাদের দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে আলোচনা হতো। তারপরে আমাদের এই যে গত শারদীয় দুর্গাপূজায় সম্বন্ধে আলোচনা হয়েছে। অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আবার আপনারা জানেন যে, ১৫ ও ১৬ তারিখে রাজ্য এবং নির্বাচন ওটার ব্যাপারে একটু আলোচনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে একটু আলোচনা হয়েছে। তারপরে চাঁদাবাজি এগুলোর ব্যাপারে আলোচনা হইছে। মাদক নিয়েও আলোচনা হইছে। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কিছু আলোচনা হয়েছে এবং আমাদের যে ভুল হয়ে গেছে ওই গুলোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সব চাইতে বড় একটা ঘটনা ছিল ধর্ষণের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের মদদ রয়েছে যা ইতোমধ্যে প্রতিমান হয়েছে। একটি পার্শ্ববর্তী দেশ দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরি করার সময় আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে যেভাবে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে এবং অসুরের মুখে দাড়ি দেওয়ার কাজটির মধ্যেও তারই যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা গোয়েন্দা সংস্থার সময় করা নজরদারিতে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজা মণ্ডপ কমিটির সহযোগিতা এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা এ কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।

খাগড়াছড়িতে যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এত তুলকালাম কাণ্ড হয়েছে, মেডিকেল রিপোর্টে সে ধর্ষণের কোনো আলামতই পাওয়া যায়নি বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, খাগড়াছড়িতে যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এত তুলকালাম কাণ্ড হয়েছে, মেডিকেল রিপোর্টে সে ধর্ষণের কোনো আলামতই পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পাহাড়ের সাধারণ জনগণ ও পাহাড়ি-বাঙালির সহযোগিতায় এ ঘটনাকে আমরা সুষ্ঠুভাবে ও সুন্দরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে পার্বত্য এলাকার অবরোধ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

স্যার, গতকাল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কোরআন অবমাননা নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কি কোনো যোগসূত্র আছে বলে মনে করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত যেহেতু অনুসন্ধান শেষ হয়নি, এজন্য আমরা এটার সঙ্গে যোগসূত্র আছে কিনা, তা বলতে পারব না।

আপনি খাগড়াছড়ি নিয়ে ভারতকে দোষারোপ করেছেন, আর পরশুদিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ভারতের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী- মন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটার ক্ষেত্রে আপনারা কার ওপর দোষ চাপাতে চাচ্ছেন? আপনি একজন বাংলাদেশি হিসেবে কী ভাবছেন? আপনারা নিজেরাই ঘটনাটা দেখেছেন, আপনারা চাক্ষুষ সাক্ষী। তো ওনার উদ্ধৃতি নিয়ে তো আমাদের কিছুই বলার নেই। আপনারা যেটা দেখছেন, সেটাই লিখবেন এবং জনগণ আপনাদেরই বেশি বিশ্বাস করবে।

পার্শ্ববর্তী দেশ কি বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা চায় না এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচনও বাধাগ্রস্ত করতে চায়?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা হয়তো আপনারা আরও ভালো বলতে পারবেন। আমরা প্রশ্নটা পেলাম, এখন অনুসন্ধান করে দেখে হয়তো উত্তর দিতে পারব।

আওয়ামী লীগের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আছে, তা যে কোনো সময় উঠে যেতে পারে-ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পৌঁছে দেবে- এরকম উদ্বেগের বিষয়ে সরকার কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কে বলেছে? প্রধান উপদেষ্টা যদি কিছু বলে থাকেন, ওই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। নির্বাচন বিষয়ে এগুলো নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞেস করবেন। আচ্ছা, ধন্যবাদ।

সারাদেশে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপনি কেমন দেখছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যে রকম দেখছেন, আমিও সে রকমই দেখছি। আমাদের পরিস্থিতি কি উন্নতি হয়নি?