Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের সাংবাদিকতায় ফিরছেন বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের পর ফের সাংবাদিকতায় ফিরছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মেইলে কলামিস্ট হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। এর আগেও রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতায় সময় দিয়েছেন তিনি। এখন থেকে প্রতি শনিবার ডেইলি মেইলে তার কলাম থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে ডানপন্থী ঘরানার এই সংবাদমাধ্যম।

এ চাকরিতে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে একটি গাড়িও পাচ্ছেন ব্রেক্সিটের পক্ষে লড়ে যাওয়া প্রভাবশালী এ রাজনীতিক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কলামে যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নানা পদক্ষেপের বিষয়ে জনসন তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। লাভজনক এ চাকরিতে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে একটি গাড়িও পাচ্ছেন সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেইলি মেইল বলেছে, আপনি বরিস জনসনের ভক্ত হন বা না হন, ওয়েস্টমিনস্টারসহ (ব্রিটিশ পার্লামেন্ট) বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে তার লেখা পড়তেই হবে।

গত ৯ জুন এক বিবৃতি দিয়ে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জনসন। এর আগে পার্টিগেইট কেলেঙ্কারির কারণে গেল বছর প্রধানমন্ত্রীত্বও ছাড়তে হয়েছিল তাকে। এরপরও ব্যস্ততা কমেনি জনসনের, প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর পর বিশ্বজুড়ে বক্তব্য দিয়েও তিনি লাখ লাখ পাউন্ড কামিয়েছেন বলেই ধারণা করা হয়।

নানা ‘কেলেঙ্কারির’ জনক জনসনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে। টাইমসে কাজ করার সময় একজনের নামে মনগড়া এক বিবৃতি দেওয়ার কারণে পত্রিকাটি তাকে বহিষ্কার করেছিল। ডেইলি টেলিগ্রাফের ব্রাসেলস সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পরিচিত ও বিভাজন সৃষ্টিকারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে নাম কুড়িয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী বরিস জনসন। করোনা মহামরির বিধি ভঙ্গ করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ বিভিন্ন বাসভবনে বন্ধু-বান্ধবসহ বেশ কয়েকবার মদ-পার্টি আয়োজনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর সরকার ও বিরোধী দলের এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন বরিস।

তারপর অবশ্য বসে থাকেননি তিনি। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়ে ইতোমধ্যে লাখ লাখ পাউন্ড উপার্জন করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র প্রতিনিধির পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু সাংবাদিকতার মাধ্যমেই। ১৯৮৭ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি; কিন্তু কোনো এক প্রতিবেদনে মনগড়া মন্তব্য দেওয়ার কারণে সেই চাকরি হারাতে হয় তাকে।

একসময় রাজনীতি আর সাংবাদিকতা একসঙ্গে চালিয়েছিলেন তিনি। সংসদ সদস্য এবং স্পেক্টেটর ম্যাগাজিনের সম্পাদকের দায়িত্ব একসঙ্গে সামলেছিলেন জনসন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত ডেইলি টেলিগ্রাফে নিয়মিত কলামও লিখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে টেলিগ্রাফেরই এক কলামে তিনি বলেছিলেন, বোরখা পরা মুসলিম নারীদের তার কাছে ডাকবাক্স বা ব্যাংক ডাকাতদের মতো লাগে। এ মন্তব্যের জন্য তাকে ইসলাম বিরোধী বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। সূত্র: রয়টার্স।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

ফের সাংবাদিকতায় ফিরছেন বরিস জনসন

প্রকাশের সময় : ০১:২৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের পর ফের সাংবাদিকতায় ফিরছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মেইলে কলামিস্ট হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। এর আগেও রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতায় সময় দিয়েছেন তিনি। এখন থেকে প্রতি শনিবার ডেইলি মেইলে তার কলাম থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে ডানপন্থী ঘরানার এই সংবাদমাধ্যম।

এ চাকরিতে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে একটি গাড়িও পাচ্ছেন ব্রেক্সিটের পক্ষে লড়ে যাওয়া প্রভাবশালী এ রাজনীতিক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কলামে যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নানা পদক্ষেপের বিষয়ে জনসন তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। লাভজনক এ চাকরিতে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে একটি গাড়িও পাচ্ছেন সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেইলি মেইল বলেছে, আপনি বরিস জনসনের ভক্ত হন বা না হন, ওয়েস্টমিনস্টারসহ (ব্রিটিশ পার্লামেন্ট) বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে তার লেখা পড়তেই হবে।

গত ৯ জুন এক বিবৃতি দিয়ে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জনসন। এর আগে পার্টিগেইট কেলেঙ্কারির কারণে গেল বছর প্রধানমন্ত্রীত্বও ছাড়তে হয়েছিল তাকে। এরপরও ব্যস্ততা কমেনি জনসনের, প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর পর বিশ্বজুড়ে বক্তব্য দিয়েও তিনি লাখ লাখ পাউন্ড কামিয়েছেন বলেই ধারণা করা হয়।

নানা ‘কেলেঙ্কারির’ জনক জনসনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে। টাইমসে কাজ করার সময় একজনের নামে মনগড়া এক বিবৃতি দেওয়ার কারণে পত্রিকাটি তাকে বহিষ্কার করেছিল। ডেইলি টেলিগ্রাফের ব্রাসেলস সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পরিচিত ও বিভাজন সৃষ্টিকারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে নাম কুড়িয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী বরিস জনসন। করোনা মহামরির বিধি ভঙ্গ করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ বিভিন্ন বাসভবনে বন্ধু-বান্ধবসহ বেশ কয়েকবার মদ-পার্টি আয়োজনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর সরকার ও বিরোধী দলের এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন বরিস।

তারপর অবশ্য বসে থাকেননি তিনি। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়ে ইতোমধ্যে লাখ লাখ পাউন্ড উপার্জন করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র প্রতিনিধির পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু সাংবাদিকতার মাধ্যমেই। ১৯৮৭ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি; কিন্তু কোনো এক প্রতিবেদনে মনগড়া মন্তব্য দেওয়ার কারণে সেই চাকরি হারাতে হয় তাকে।

একসময় রাজনীতি আর সাংবাদিকতা একসঙ্গে চালিয়েছিলেন তিনি। সংসদ সদস্য এবং স্পেক্টেটর ম্যাগাজিনের সম্পাদকের দায়িত্ব একসঙ্গে সামলেছিলেন জনসন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত ডেইলি টেলিগ্রাফে নিয়মিত কলামও লিখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে টেলিগ্রাফেরই এক কলামে তিনি বলেছিলেন, বোরখা পরা মুসলিম নারীদের তার কাছে ডাকবাক্স বা ব্যাংক ডাকাতদের মতো লাগে। এ মন্তব্যের জন্য তাকে ইসলাম বিরোধী বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। সূত্র: রয়টার্স।