নিজস্ব প্রতিবেদক :
শান্তিচুক্তির ৩০তম দিনে ঢাকা কলেজের দুইটি বাস ভাঙচুর করে ধানমন্ডি আইডিয়ালের কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রাজধানীর দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ও সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের বিপরীতে এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা শুরু হয়।
আইডিয়াল কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের একদল শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ঢাকা কলেজের ‘বিজয়-৭১’ ও ‘শঙ্খনীল’ নামে দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। হামলার সময় শিক্ষার্থী ও ‘শঙ্খনীল’ বাসের ইমন নামে এক বাস চালক আহত হয়েছেন।
আহত হওয়া বাসচালক ইমন বলেন, ‘সায়েন্সল্যাব এলাকার ইউসুফ আলীর গলির সেখান থেকে আইডিয়ালের শিক্ষার্থীরা যে যেভাবে পারছে লাঠি সোটা এবং ইট দিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে। গাড়ি সে সময় রানিং অবস্থায় ছিল। তারা বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল ছুড়ে দিচ্ছে। পরে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে আমার মাথার ওপরে এসে পড়েছে। মাথায় অনেক আঘাত পেয়েছি। বর্তমানে আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রয়েছি। এ হামলায় ঢাকা কলেজের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’
ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী মেহরাব বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের দুটি বাসের ওপর হামলা করে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের যে দুটি বাস ভেঙেছে বর্তমানে বাসগুলো থানায় রয়েছে। ড্রাইভার ও কলেজের পক্ষ থেকে দুইটি বা একটি মামলা হবে। কলেজ প্রশাসন হিসেবে আইনি ব্যবস্থা সেটি আমরা নেব। ছাত্রদের মধ্যে যারা আহত হয়েছে লাগলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা নেব। এই মাসে আর বাস ছাত্রদের আনতে যাবে না। শিক্ষার্থীরা আহত হোক আমরা এটা আমরা চাই না।’
ঠিক এক মাস আগেই নিউমার্কেট থানার মধ্যস্থতায় দুই কলেজের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে হওয়া ‘শান্তি চুক্তি’ বহুল আলোচনায় আসে। সেই অনুষ্ঠানে হাতে গোলাপ আর মুখে বন্ধুত্বের স্লোগানে ভবিষ্যতে আর সংঘর্ষে না জড়ানোর অঙ্গীকার করেছিল উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
গত ৯ নভেম্বর ঢাকা কলেজের শহীদ আ ন ম নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতীকীভাবে পরস্পরকে গোলাপ দিয়ে বরণ করে নেয়। উপস্থিত ছিলেন দুই কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা, সঙ্গে ছিলেন নিউমার্কেট থানার পুলিশের কর্মকর্তারাও।
কিন্তু এক মাসও টিকল না সেই অঙ্গীকার। আজ ফের হামলা-সংঘর্ষে জড়িয়েছে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক 























