নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। তৃতীয়বারের মতো আমির হলেন তিনি।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের (সদস্য) রুকনদের নিকট থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম ভোট গণনা শেষ করেন। সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ‘আমির’ নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান।
ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ সাল থেকে জামায়াতের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি ব্যাপক চাঙা হয়ে ওঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আমির। ডা. শফিকুর রহমানের বিভিন্ন বক্তব্য ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবে তার কোনো কোনো বক্তব্য নিয়ে সমালোচনাও হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছরের জন্য জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন। তিনি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যদের পরামর্শক্রমে নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ নির্বাহী পদগুলোতে দায়িত্ব বণ্টন করে থাকেন।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে গিয়েছিলেন শফিকুর রহমান। এরপর হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ায় তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করেছেন।
শফিকুর রহমানের জন্ম ১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। তিনি ১৯৭৪ সালে স্থানীয় বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৬ সালে সিলেট এমসি কলেজ এইচএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করে শফিকুর।
রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি স্কুল জীবনেই, ১৯৭৩ সালে নাম লেখান জাসদ ছাত্রলীগে। এরপর ১৯৭৭ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরে। এই সংগঠনের সিলেট মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি এবং সিলেট শহর শাখার সভাপতির দয়িত্ব পালন শেষে ১৯৮৪ সালে যোগ দেন মূল দল জামায়াতে ইসলামীতে।
ব্যক্তি জীবনে শফিকুর রহমান দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক, যারা সবাই চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত। জামায়াত আমিরের স্ত্রী আমিনা বেগমও চিকিৎসক, তিনি অষ্টম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের সদস্য ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















