Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারির ৯ দিনে এলো ৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম নয় দিনে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এলো ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ছয় হাজার ৯১৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ দশমিক ৫০ পয়সা হিসাবে)।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন দেশে এসেছে সাত কোটি এক লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৬ ডলার। আগের বছর একই সময়ে গড়ে দিনে প্রবাসী আয় আসে পাঁচ কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ৪২৮ ডলার।

এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৩ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ফেব্রুয়ারির ৩ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ১ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি দেশে এসেছে ৭ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১৩টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক এবং বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

বিগত ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত মাস জানুয়ারিতে। ওই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। গড়ে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে সাত কোটি ৩১ হাজার ৬৬৬ ডলার। ডিসেম্বর মাসেও এমনই ছিল।

আগের বছরের সেপ্টেম্বরে ৪৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসে। এরপর সরকার প্রণোদনা বাড়ানোর পাশাপাশি নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দামে প্রবাসী আয় না কেনার নির্দেশনা তুলে নেয়। এরপর থেকে বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স কেনায় ঘোষিত দর ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হলেও ১২২ থেকে ১২৫ টাকা দরে পর্যন্ত কেনা যাচ্ছে, এ কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে।

২০২৩ সালসহ আগের বছরে যে হারে মানুষ কাজ নিয়ে বিদেশে যান, হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসায় এবং অর্থ পাচার হওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে সে অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়েনি।

অর্থনীতিদিরা বলছেন, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ফলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কেটে গেছে, পাচার কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে প্রবাসী আয়ে। আগামী মাসগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ফেব্রুয়ারির ৯ দিনে এলো ৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম নয় দিনে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এলো ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ছয় হাজার ৯১৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ দশমিক ৫০ পয়সা হিসাবে)।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন দেশে এসেছে সাত কোটি এক লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৬ ডলার। আগের বছর একই সময়ে গড়ে দিনে প্রবাসী আয় আসে পাঁচ কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ৪২৮ ডলার।

এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৩ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ফেব্রুয়ারির ৩ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ১ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি দেশে এসেছে ৭ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১৩টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক এবং বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

বিগত ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত মাস জানুয়ারিতে। ওই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। গড়ে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে সাত কোটি ৩১ হাজার ৬৬৬ ডলার। ডিসেম্বর মাসেও এমনই ছিল।

আগের বছরের সেপ্টেম্বরে ৪৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসে। এরপর সরকার প্রণোদনা বাড়ানোর পাশাপাশি নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দামে প্রবাসী আয় না কেনার নির্দেশনা তুলে নেয়। এরপর থেকে বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স কেনায় ঘোষিত দর ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হলেও ১২২ থেকে ১২৫ টাকা দরে পর্যন্ত কেনা যাচ্ছে, এ কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে।

২০২৩ সালসহ আগের বছরে যে হারে মানুষ কাজ নিয়ে বিদেশে যান, হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসায় এবং অর্থ পাচার হওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে সে অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়েনি।

অর্থনীতিদিরা বলছেন, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ফলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কেটে গেছে, পাচার কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে প্রবাসী আয়ে। আগামী মাসগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।