Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতে ভোট দিতে বাংলাদেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে : ড. মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোট দিতে বাংলাদেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে।

সোমবার (২৫ আগষ্ট) সকালে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মঈন বলেন, ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে। এতে, জনগণের ভোট দেয়ার প্রত্যাশা পূরণ হবে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পেতে পারে। তাদের পছন্দমত ৩০০ প্রতিনিধি বাছাইয়ের একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশে গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নের জন্য একটি মাত্র অস্ত্র রয়েছে। সেটা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বন্দুক নয়, সেটা হচ্ছে নির্বাচন। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের মাধ্যমেই এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে সম্ভব।

আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সেসময় পালিয়ে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। শেখ হাসিনার বন্দুক দিয়ে নয়, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

তিনি বলেন, আমরা বিগত ১৫ বছর ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে এসেছি। এই আন্দোলনে আমরা মামলা-মোকদ্দমা, গুম, খুনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এক বছর আগে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জনতার যোগদানের মধ্য দিয়ে এ আন্দোলন স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রূপ নেয়। যার ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।গণতন্ত্র মানে হলো জনগণের অধিকার। জনগণ যেন অবাধে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। যে প্রতিনিধি ভালো কাজ করবে, জনগণ তাকে পুনরায় নির্বাচিত করবে। আর খারাপ করলে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। এটিই গণতন্ত্রের শক্তি।

বিএনপির এই নেতা মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি উল্লেখ করে বলেন, আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অন্তর্বর্তী কালীন সরকার এবং প্রধান উপদেশটা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ প্রায় ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। ২০০৯ সালে যাদের বয়স ১৮ বছর ছিলোনা, আজ তারা ৩৫ বছরে পৌঁছেছে।তারা এই ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি। আমরা আশা করছি, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা অবশেষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফেব্রুয়ারিতে ভোট দিতে বাংলাদেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে : ড. মঈন খান

প্রকাশের সময় : ০১:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোট দিতে বাংলাদেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে।

সোমবার (২৫ আগষ্ট) সকালে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মঈন বলেন, ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে। এতে, জনগণের ভোট দেয়ার প্রত্যাশা পূরণ হবে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পেতে পারে। তাদের পছন্দমত ৩০০ প্রতিনিধি বাছাইয়ের একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশে গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নের জন্য একটি মাত্র অস্ত্র রয়েছে। সেটা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বন্দুক নয়, সেটা হচ্ছে নির্বাচন। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের মাধ্যমেই এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে সম্ভব।

আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সেসময় পালিয়ে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। শেখ হাসিনার বন্দুক দিয়ে নয়, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

তিনি বলেন, আমরা বিগত ১৫ বছর ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে এসেছি। এই আন্দোলনে আমরা মামলা-মোকদ্দমা, গুম, খুনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এক বছর আগে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জনতার যোগদানের মধ্য দিয়ে এ আন্দোলন স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রূপ নেয়। যার ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।গণতন্ত্র মানে হলো জনগণের অধিকার। জনগণ যেন অবাধে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। যে প্রতিনিধি ভালো কাজ করবে, জনগণ তাকে পুনরায় নির্বাচিত করবে। আর খারাপ করলে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। এটিই গণতন্ত্রের শক্তি।

বিএনপির এই নেতা মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি উল্লেখ করে বলেন, আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অন্তর্বর্তী কালীন সরকার এবং প্রধান উপদেশটা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ প্রায় ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। ২০০৯ সালে যাদের বয়স ১৮ বছর ছিলোনা, আজ তারা ৩৫ বছরে পৌঁছেছে।তারা এই ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি। আমরা আশা করছি, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা অবশেষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।