Dhaka শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না : প্রেস সচিব

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি : 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন হবেই। কেউ এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। মব ভায়োলেন্স এখন আর নেই। আগে ছিল, তা দৃঢ়ভাবে দমন করা হয়েছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় রাজনৈতিক দলগুলোই থাকবে। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা আবার ক্ষমতায় আসবে। রাজনীতিতে গণতন্ত্র হচ্ছে সলিড ফাউন্ডেশন। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে—এ বিষয়ে কোনো সংশয় বা আশংকা নেই। সর্বত্র নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। সব দলই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, মিছিল ও মিটিংয়ে প্রচারণায় নেমেছে।

প্রেস সচিব বলেন, এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর কারো সাধ্য নেই। সারাদেশে এখন নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এখনো নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্ত বক্তব্য দিচ্ছেন, নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন, তারা পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর।

তিনি বলেন, সারাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কেই থামাতে পারবে না। যে যত কিছুই বলুক না কেন, কোন কাজ হবে না। দেশে যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় মাঠে কাজ করছেন। মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো জন্য কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে। তাদের কথায় কোন কাজ হবে না।

তিনি আরো বলেন, বিদেশে প্রচলন আছে, টেলিভিশনে কাকে আপনি টকশোতে আনবেন- যাকে আপনি টকশোতে আনবেন তিনি অত্যন্ত সত্যবাদী মানুষ এবং তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে চলে এটার বিপরীত। একটা লোক যদি ডাহা মিথ্যা কথা বলে, তাকে আপনি টকশোতে আনছেন। কারণ তাকে আনলে আপনার টকশোটা গরম হবে। টিভির জনপ্রিয়তা বাড়বে। তাহলে কী হলো- টিভি হিসেবে আপনি জোর করে তাকে দিয়ে বলানো মিথ্যা কথাটা জনগণকে দিচ্ছেন। এই মিথ্যা প্রচারিত হচ্ছে, সারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আপনি এগুলো জেনেও তাকে আপনি ডেকে আনছেন।

শফিকুল আলম আক্ষেপ করে বলেন, আমরা মাইলস্টোন নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা সেন্টমার্টিন নিয়ে এমন কোনো মিথ্যাচার বাদ যায়নি, যা বলা হয়নি। আমরা উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা মিনিস্ট্রি নিয়ে মিথ্যাচার দেখছি, সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি। সুতরাং এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

এই সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের কাজও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কী পরিমাণ সংস্কার হয়েছে তার স্পষ্ট দলিল থাকবে। আর গণভোটের বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে এখন কোনো ধরনের মব ভায়োলেন্স নেই। আর বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই মব ভায়োলেন্স ছিল। আমাদের সময়ও কিছু মব ভায়োলেন্স হয়েছে, এটা আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এখন সব ধরনের মব ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। যারা মব ভায়োলেন্সে ভয় পান বা এসব নিয়ে কথা বলেন, তাদের ভেতরে দুর্বলতা আছে। তারা স্বৈরাচারের দোসর।

তিনি বলেন, আমি নিজেও এক সময় সাংবাদিকতা করেছি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে শিক্ষা কোন বিষয় নয়। হোক সে মেট্রিক, ইন্টরমিডিয়েট বা এমএ পাস। এতে কোন কিছু যায় আসে না। তাকে সাংবাদিকতার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে হবে। সাংবাদিকরা মালিকদের কাছ থেকে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পায় না বিষয়টি আমি ভালো করেই জানি। বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন মালিকরা জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সংবাদ কর্মীদের নিয়মিত ভেতন- ভাতা প্রদান করছেন না। সাংবাদিকতার একটি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে অনেকটা বিনা পারিশ্রমিকেই তাদের দিয়ে মাঠে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। একটি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে তাদের মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন। অথচ তারাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলেন। সাংবাদিকদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

সীমান্ত পথে চোরাচালান নিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে আছে। চোরাচালান আগের চেয়ে অনেক কমেছে।

ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ৮৩ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন—এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি পতিত সরকারের প্রচারণা। যারা পতিত সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে, তারা এই ভূয়া কথা ছড়াচ্ছে। কিছু মিডিয়াও এটি প্রচার করছে।’

মফস্বল সাংবাদিকদের বেতন ভাতার বিষয়ে তিনি বলেন, বড় বড় মিডিয়াগুলোর মালিক বা সম্পাদকরা সেমিনারে বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের কোনো অর্থ দেন না। কার্ড দিয়ে ‘ করে খাও’ বলেই কাজ শেষ হয়ে যায়। তবে কয়েকদিন ধরেই সাংবাদিক ইউনিয়ন ওয়েজ বোর্ড নিয়ে দাবি জানানো হচ্ছে।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাফিকুজ্জামান, নেত্রকোনা জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, নেত্রকোনা জেলা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজমুশ শাহাদাৎ নাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. মুখলেছুর রহমান খানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু তালিকা প্রকাশ

ফেব্রুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না : প্রেস সচিব

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি : 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন হবেই। কেউ এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। মব ভায়োলেন্স এখন আর নেই। আগে ছিল, তা দৃঢ়ভাবে দমন করা হয়েছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় রাজনৈতিক দলগুলোই থাকবে। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা আবার ক্ষমতায় আসবে। রাজনীতিতে গণতন্ত্র হচ্ছে সলিড ফাউন্ডেশন। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে—এ বিষয়ে কোনো সংশয় বা আশংকা নেই। সর্বত্র নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। সব দলই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, মিছিল ও মিটিংয়ে প্রচারণায় নেমেছে।

প্রেস সচিব বলেন, এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর কারো সাধ্য নেই। সারাদেশে এখন নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এখনো নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্ত বক্তব্য দিচ্ছেন, নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন, তারা পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর।

তিনি বলেন, সারাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কেই থামাতে পারবে না। যে যত কিছুই বলুক না কেন, কোন কাজ হবে না। দেশে যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় মাঠে কাজ করছেন। মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো জন্য কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে। তাদের কথায় কোন কাজ হবে না।

তিনি আরো বলেন, বিদেশে প্রচলন আছে, টেলিভিশনে কাকে আপনি টকশোতে আনবেন- যাকে আপনি টকশোতে আনবেন তিনি অত্যন্ত সত্যবাদী মানুষ এবং তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে চলে এটার বিপরীত। একটা লোক যদি ডাহা মিথ্যা কথা বলে, তাকে আপনি টকশোতে আনছেন। কারণ তাকে আনলে আপনার টকশোটা গরম হবে। টিভির জনপ্রিয়তা বাড়বে। তাহলে কী হলো- টিভি হিসেবে আপনি জোর করে তাকে দিয়ে বলানো মিথ্যা কথাটা জনগণকে দিচ্ছেন। এই মিথ্যা প্রচারিত হচ্ছে, সারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আপনি এগুলো জেনেও তাকে আপনি ডেকে আনছেন।

শফিকুল আলম আক্ষেপ করে বলেন, আমরা মাইলস্টোন নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা সেন্টমার্টিন নিয়ে এমন কোনো মিথ্যাচার বাদ যায়নি, যা বলা হয়নি। আমরা উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, আমরা মিনিস্ট্রি নিয়ে মিথ্যাচার দেখছি, সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি। সুতরাং এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

এই সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের কাজও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কী পরিমাণ সংস্কার হয়েছে তার স্পষ্ট দলিল থাকবে। আর গণভোটের বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে এখন কোনো ধরনের মব ভায়োলেন্স নেই। আর বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই মব ভায়োলেন্স ছিল। আমাদের সময়ও কিছু মব ভায়োলেন্স হয়েছে, এটা আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এখন সব ধরনের মব ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। যারা মব ভায়োলেন্সে ভয় পান বা এসব নিয়ে কথা বলেন, তাদের ভেতরে দুর্বলতা আছে। তারা স্বৈরাচারের দোসর।

তিনি বলেন, আমি নিজেও এক সময় সাংবাদিকতা করেছি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে শিক্ষা কোন বিষয় নয়। হোক সে মেট্রিক, ইন্টরমিডিয়েট বা এমএ পাস। এতে কোন কিছু যায় আসে না। তাকে সাংবাদিকতার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে হবে। সাংবাদিকরা মালিকদের কাছ থেকে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পায় না বিষয়টি আমি ভালো করেই জানি। বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন মালিকরা জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সংবাদ কর্মীদের নিয়মিত ভেতন- ভাতা প্রদান করছেন না। সাংবাদিকতার একটি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে অনেকটা বিনা পারিশ্রমিকেই তাদের দিয়ে মাঠে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। একটি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে তাদের মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন। অথচ তারাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলেন। সাংবাদিকদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

সীমান্ত পথে চোরাচালান নিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে আছে। চোরাচালান আগের চেয়ে অনেক কমেছে।

ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ৮৩ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন—এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি পতিত সরকারের প্রচারণা। যারা পতিত সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে, তারা এই ভূয়া কথা ছড়াচ্ছে। কিছু মিডিয়াও এটি প্রচার করছে।’

মফস্বল সাংবাদিকদের বেতন ভাতার বিষয়ে তিনি বলেন, বড় বড় মিডিয়াগুলোর মালিক বা সম্পাদকরা সেমিনারে বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের কোনো অর্থ দেন না। কার্ড দিয়ে ‘ করে খাও’ বলেই কাজ শেষ হয়ে যায়। তবে কয়েকদিন ধরেই সাংবাদিক ইউনিয়ন ওয়েজ বোর্ড নিয়ে দাবি জানানো হচ্ছে।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাফিকুজ্জামান, নেত্রকোনা জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, নেত্রকোনা জেলা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজমুশ শাহাদাৎ নাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. মুখলেছুর রহমান খানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।