চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। শনিবার তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নুরুজ্জামানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু কাহারের আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় তার সহযোগী ওহিদুজ্জামান লাজুককেও কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিইও নুরুজ্জামান ও তার সহযোগী ওহিদুজ্জামান লাজুকের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল অভিযোগ করেন, ফেনসিডিলসহ নুরুজ্জামানকে আটকের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক তাকে সার্কিট হাউসে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখে দেন। তাকে ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন।
কিন্তু তাকে আটকের খবর সব মিডিয়াতে চলে আসার পরও তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাকে সার্কিট হাউসে ঢুকতে দেননি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সার্কিট হাউস থেকে বের করে দেওয়া হয়। একজন সহকারী
আরও পড়ুন : সিনহাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওসি প্রদীপ
পরিচালক ও একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে অধিদপ্তরের কয়েকজন সদস্য সারারাত সার্কিট হাউসের গেটে প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে অবস্থান নেন। মাদকের আসামিকে আমাদের তত্ত্বাবধানে না দেওয়ায় মামলা দায়ের করতেও বিলম্ব হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করে বলেন, নুরুজ্জামানের সরকারি গাড়ি ফেনসিডিল বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় নুরুজ্জামান ওই গাড়িতেই ছিলেন। তাকে আটকের পর তিনি নিজেকে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দেন। তখন তাকে নিয়ে সার্কিট হাউসে রাখা হয়।
তিনি বলেন, মাদকসহ তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাকে গ্রেপ্তারের আগে জনপ্রশাসন সচিবের অনুমতি প্রয়োজন হয়। আমরা অনুমতির অপেক্ষায় তাকে সার্কিট হাউসে নিয়ে রাখি।