নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতনের পাঁচ মাস পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ তার চার সহযোগীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ছাত্র শৃঙ্খলা অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ওই ৫ শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হয়।
বৈঠক শেষে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং হাইকোর্টের যে প্রতিবেদন আমাদের কাছে এসেছিল তার আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্তরাসহ অভিযুক্ত পাঁচজনের প্রত্যেকের এক বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে।
ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট হল, বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সব কমিটিই ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া হল প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হল থেকে বহিষ্কার ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদেও দল থেকে বহিষ্কার করেন।
নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেত্রীর সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার সহযোগী তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।