Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। ইসরায়েলের হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিরোধী আমরা। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করে বাংলাদেশ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দিতে ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে নারী-শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, যারা এ ঘটনায় ইসরায়েলের পক্ষে কথা বলছে; তাদের মানবাধিকার নিয়ে সবক দেওয়া শোভা পায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উচিত স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেজন্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ থেকে ফিলিস্তিনের জন্য যে সাহায্য-সহযোগিতা পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়েও তিনি আমাকে বিস্তারিত বলেছেন। বাংলাদেশে যারা পড়াশোনা করে ফিলিস্তিনে গিয়ে কীভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেগুলোর ভিডিও তিনি আমাকে দেখিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিনের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি তাকে জানিয়েছি যদিও তিনি জানেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বলেছেন, বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছেন। গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, সেটার প্রতিবাদ করেছেন।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার আমাদের যে অঙ্গীকার, ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে যে আমাদের অবস্থান- সেটা তাকে পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা মনে করি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব, অন্য কোনো কিছু নয়। আমরা টু-স্টেইট পলিসিকে সমর্থন করি। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এটি অবশ্যই প্রয়োজন। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) তার আলোচনায় আরব বিশ্বের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যেসব ফিলিস্তিনি ডাক্তারি পেশায় পড়াশোনা করে গেছেন, সেখানে কীভাবে কাজ চালাচ্ছে সেগুলোর ভিডিও তিনি আমাকে দেখিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মনে করি একবিংশ শতাব্দীতে গাজায় যেভাবে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে এবং পৃথিবী বসে বসে তাকিয়ে আছে। গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, পুরো পৃথিবী বসে বসে সেটি দেখছে। যারা বসে বসে দেখছে, যারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বরং ইসরাইলের পক্ষে অবলম্বন করছে। আমি মনে করি মানবতা নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার তারা হারিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবার কানে ফিলিস্তিনিদের এই আর্তনাদ পৌঁছাবে। সেখানে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং ফিলিস্তিনের শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের সরকার, প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না সাত গ্রামের মানুষ

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। ইসরায়েলের হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিরোধী আমরা। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করে বাংলাদেশ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দিতে ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে নারী-শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, যারা এ ঘটনায় ইসরায়েলের পক্ষে কথা বলছে; তাদের মানবাধিকার নিয়ে সবক দেওয়া শোভা পায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উচিত স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেজন্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ থেকে ফিলিস্তিনের জন্য যে সাহায্য-সহযোগিতা পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়েও তিনি আমাকে বিস্তারিত বলেছেন। বাংলাদেশে যারা পড়াশোনা করে ফিলিস্তিনে গিয়ে কীভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেগুলোর ভিডিও তিনি আমাকে দেখিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিনের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি তাকে জানিয়েছি যদিও তিনি জানেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বলেছেন, বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছেন। গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, সেটার প্রতিবাদ করেছেন।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার আমাদের যে অঙ্গীকার, ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে যে আমাদের অবস্থান- সেটা তাকে পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা মনে করি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব, অন্য কোনো কিছু নয়। আমরা টু-স্টেইট পলিসিকে সমর্থন করি। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এটি অবশ্যই প্রয়োজন। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) তার আলোচনায় আরব বিশ্বের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যেসব ফিলিস্তিনি ডাক্তারি পেশায় পড়াশোনা করে গেছেন, সেখানে কীভাবে কাজ চালাচ্ছে সেগুলোর ভিডিও তিনি আমাকে দেখিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মনে করি একবিংশ শতাব্দীতে গাজায় যেভাবে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে এবং পৃথিবী বসে বসে তাকিয়ে আছে। গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, পুরো পৃথিবী বসে বসে সেটি দেখছে। যারা বসে বসে দেখছে, যারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বরং ইসরাইলের পক্ষে অবলম্বন করছে। আমি মনে করি মানবতা নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার তারা হারিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবার কানে ফিলিস্তিনিদের এই আর্তনাদ পৌঁছাবে। সেখানে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং ফিলিস্তিনের শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের সরকার, প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।