Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান নেতানিয়াহুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) তেল আবিবে বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু বলেন, বাইবেল বলে যে ‘শান্তি ও যুদ্ধের একটি সময় আছে।’
বাইবেলের উদ্ধৃতি দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, এটা যুদ্ধের সময়। আমাদের অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য একটি যুদ্ধ।

তিনি বলেন, তিনি হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের অঙ্গীকার করেছেন। তাই গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেমন পার্ল হারবার কিংবা ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলার মতো ঘটনার ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি করতে রাজি হবে না, ঠিক তেমনই ইসরাইলও ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনার পর হামাসের সঙ্গে শত্রুতা বন্ধ করবে না।

নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া মানেই ইসরাইলকে হামাসের কাছে, সন্ত্রাসবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করার ডাক দেওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ ভবিষ্যতের জন্য একটি যুদ্ধ। আজ, আমরা সভ্যতার শক্তি এবং বর্বরতার শক্তির মধ্যে একটি রেখা আঁকছি।

নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট করতে চান তিনি। ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে বোমা হামলা বা ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র যেমন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়নি, তেমনি ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হামলার পর ইসরায়েলও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির আহ্বানের অর্থ হলো ইসরায়েলকে হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান, সন্ত্রাসবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান।

জাতিসংঘ বারবার গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। ইউনিসেফ বলেছে, গাজার পরিস্থিতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় খারাপ হচ্ছে।

তবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান কানে তুলছে না ইসরায়েল। তারা গাজায় ব্যাপকভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।

প্রতিক্রিয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গাজায় স্থল অভিযানও চালাচ্ছে ইসরায়েল। ২৪ দিন ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান নেতানিয়াহুর

প্রকাশের সময় : ০২:১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) তেল আবিবে বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু বলেন, বাইবেল বলে যে ‘শান্তি ও যুদ্ধের একটি সময় আছে।’
বাইবেলের উদ্ধৃতি দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, এটা যুদ্ধের সময়। আমাদের অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য একটি যুদ্ধ।

তিনি বলেন, তিনি হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের অঙ্গীকার করেছেন। তাই গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেমন পার্ল হারবার কিংবা ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলার মতো ঘটনার ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি করতে রাজি হবে না, ঠিক তেমনই ইসরাইলও ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনার পর হামাসের সঙ্গে শত্রুতা বন্ধ করবে না।

নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া মানেই ইসরাইলকে হামাসের কাছে, সন্ত্রাসবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করার ডাক দেওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ ভবিষ্যতের জন্য একটি যুদ্ধ। আজ, আমরা সভ্যতার শক্তি এবং বর্বরতার শক্তির মধ্যে একটি রেখা আঁকছি।

নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট করতে চান তিনি। ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে বোমা হামলা বা ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র যেমন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়নি, তেমনি ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হামলার পর ইসরায়েলও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির আহ্বানের অর্থ হলো ইসরায়েলকে হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান, সন্ত্রাসবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান।

জাতিসংঘ বারবার গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। ইউনিসেফ বলেছে, গাজার পরিস্থিতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় খারাপ হচ্ছে।

তবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান কানে তুলছে না ইসরায়েল। তারা গাজায় ব্যাপকভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।

প্রতিক্রিয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গাজায় স্থল অভিযানও চালাচ্ছে ইসরায়েল। ২৪ দিন ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।