বিনোদন ডেস্ক :
কয়েক দিন আগে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষের যেমন শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানা ধরনের চর্চাও চলছে। এরই মাঝে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন মতামত জানালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা।
অভিনেত্রী তমা জানালেন, আমি রাজনীতি বুঝি না। বিষয়টি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করি। তার পরেও মনে হয়, বিনোদন দুনিয়ার কোনো ব্যক্তি যদি বিষয়টি বোঝেন, তা হলে তিনি যোগ দিতেই পারেন। সেই জায়গা থেকে ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি। কারণ, ফারুকী রাজনীতির পাশাপাশি ছবির জগতকেও সমান ভালোবাসেন। এ রকম কোনো মানুষ শাসনকার্যে যুক্ত হলে অবশ্যই তার থেকে বিনোদন দুনিয়ার বাকিদের প্রচ্ছন্ন প্রত্যাশা তৈরি হয়।’
ছাত্র আন্দোলন, শেখ হাসিনার পতন এবং নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন- একের পর এক ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান থমকে গেছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে কাজ করা বা ভারত থেকে বাংলাদেশের ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। অভিনেতা বা পরিচালক, প্রযোজকদের সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যা যেমন ঢাকার তেমনই টলিউডেরও। ফারুকী কী সত্যিই উদ্যোগী হবেন এ বিষয়ে?
সমস্যার বিষয়টি অস্বীকার করেননি অভিনেত্রী তমা মির্জা। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘ভিসা জটিলতায় আমি নিজেও ভুগছি। সব সময় কাজের জন্যই যে পড়শি দেশে যেতে হবে, এমন কথা নেই। পড়শি ভারতেও অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। ইচ্ছে করে, তারা আসুন বা আমরা তাদের কাছে যাই। এই জায়গাটা অনেক দিন ধরেই বন্ধ।’
তমা এও জানান, যোগাযোগের এই মাধ্যমের যাবতীয় জট কাটিয়ে যেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যাতে দুই বাংলার মানুষ আবার আগের মতো কাজের পাশাপাশি বন্ধুত্বের কারণেও দুই দেশে যাতায়াত করতে পারেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী এ আন্দোলনের শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণভাবে সক্রিয় ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে যোগ দিয়েছেন পরিচালক-প্রযোজক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।