Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফারিহার রেকর্ডের ম্যাচে সিরিজ হারলো বাংলাদেশের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বল হাতে স্মরনীয় এক দিন পার করলেন বাংলাদশ নারী দলের পেসার ফারিহা তৃষ্ণা। টাইগ্রেস এই বাঁহাতি তরুণী আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বারের মতো পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। কিন্তু তার মাইলফলক স্পর্শ করার দিনেও হারের বৃত্তেই আটকে রইল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্টেলিয়ার মেয়েদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজে হার মানলো নিগার সুলতানা জ্যোতি ব্রিগেড।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬১ রান করে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৯ উইকেটে ১০৩ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ৫৮ রানের বড় পরাজয়ে অজিদের বিপক্ষে জয় অধরাই থাকল জ্যোতিদের।

অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য ছোঁয়ার ধারেকাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। ওপেনার দিলারা আক্তারের ২৫ বলে ২৭ রানের পর স্বর্ণা আক্তার খেলেছেন ১৭ বলে ২১ রান, এরপরও ২০ ওভারে ১০৩ রানেই আটকে গেছে স্বাগতিকেরা। ৫৮ রানের বড় জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।

মুর্শিদা খাতুন ও দিলারার ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ছিল আশাজাগানিয়াই। প্রথম ওভারে ৪ ওভারে ৩০ রান তোলেন তাঁরা। পঞ্চম ওভারে মেগান শুটের বলে কট বিহাইন্ড হন মুর্শিদা, যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট মনে হয়নি তাঁকে। বাংলাদেশের পথ হারানোর শুরুও সেখান থেকেই। সে সময় ১৪ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে কার্যত লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা। পঞ্চম উইকেটে ফাহিমা খাতুন ও স্বর্ণা ৩০ রানের জুটি গড়লেও তাতে পার্থক্য গড়ে ওঠেনি। দুই স্পিনার সোফি মলিনু ও অ্যাশলেই গার্ডনার নেন ৩টি করে উইকেট নেন।

এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফোবি লিচফিন্ডের উইকেট তুলে নেন ফারিহা। লিচফিল্ড ব্যর্থ হলেও হ্যারিস ও জর্জিয়া ঠিকই রান পেয়েছেন। দুজন মিলে ৯ ওভারে তুলেছেন ৯১ রান। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দিশেহারা ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ১২তম ওভারে প্রথম আঘাত হানেন নাহিদা আক্তার। ফিফটি করা জর্জিয়াকে (৫৭) বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এই স্পিনার।

পরের ওভারেই জোড়া আঘাত ফাহিমার। অ্যাশলি গার্ডনার (৫) এবং গ্রেস হ্যারিসকে (৪৭) ফেরান ওই এক ওভারেই। এরপরেই অবশ্য আরেকটা ভালো জুটি পায় অস্ট্রেলিয়া। এলিস পেরি (২৯) এবং তাহলিয়া ম্যাকগ্রা (১৯) দুজনেই ছিলেন আগ্রাসী। দলের স্কোর ১৫০ পেরোয় তাদের দুজনের সুবাদেই। ১৯তম ওভারে নাহিদা ফেরান তাহলিয়াকে।

মাঝে এলিস পেরি ও তালিয়া ম্যাকগ্রা যোগ করেন ৩৯ রান, যদিও তাতে লেগে যায় ৩৪ বল। ব্রেক থ্রুয়ের খোঁজে বারবার বোলার পরিবর্তন করা বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার ব্যবহার করেন সাতজনকে। প্রথম ৩ ওভারে ১৩ রান দেওয়া ফারিহাকে আনেন শেষ ওভারে।

ওভারের শেষ তিন বলে এলিস পেরি, সোফি মলিনিউ এবং বেথ মুনির উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের দেখা পান ২১ বছরের তরুণ এই পেসার। পেরি এবং সোফি দুজনেই ক্যাচ আউটের শিকার হন। স্বর্ণা নিয়েছেন পেরির ক্যাচ। আর মুরশিদার হাতে ক্যাচ দেন সোফি মলিনিউ। আর শেষ বলে বেথ মুনিকে দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তৃষ্ণা। যদিও এর আগেই নিজেদের ব্যাটিং শক্তি দেখিয়েছে অজি নারীরা। যা মিরপুরের মাঠে নারীদের টি-টোয়েন্টিতে নতুন দলীয় সর্বোচ্চের রেকর্ড। এ মাঠে নারীদের টি-টোয়েন্টিতে দলীয় সর্বোচ্চের রেকর্ডটাও ছিল অজি নারীদেরই। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ১৪০ রান করেছিল অজি নারীরা। সব মিলিয়ে ম্যাচে বল হাতে ৪ ওভারে ১ মেইডনসহ ১৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তৃষ্ণা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

ফারিহার রেকর্ডের ম্যাচে সিরিজ হারলো বাংলাদেশের

প্রকাশের সময় : ০৫:২১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বল হাতে স্মরনীয় এক দিন পার করলেন বাংলাদশ নারী দলের পেসার ফারিহা তৃষ্ণা। টাইগ্রেস এই বাঁহাতি তরুণী আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বারের মতো পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। কিন্তু তার মাইলফলক স্পর্শ করার দিনেও হারের বৃত্তেই আটকে রইল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্টেলিয়ার মেয়েদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজে হার মানলো নিগার সুলতানা জ্যোতি ব্রিগেড।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬১ রান করে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৯ উইকেটে ১০৩ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ৫৮ রানের বড় পরাজয়ে অজিদের বিপক্ষে জয় অধরাই থাকল জ্যোতিদের।

অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য ছোঁয়ার ধারেকাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। ওপেনার দিলারা আক্তারের ২৫ বলে ২৭ রানের পর স্বর্ণা আক্তার খেলেছেন ১৭ বলে ২১ রান, এরপরও ২০ ওভারে ১০৩ রানেই আটকে গেছে স্বাগতিকেরা। ৫৮ রানের বড় জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।

মুর্শিদা খাতুন ও দিলারার ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ছিল আশাজাগানিয়াই। প্রথম ওভারে ৪ ওভারে ৩০ রান তোলেন তাঁরা। পঞ্চম ওভারে মেগান শুটের বলে কট বিহাইন্ড হন মুর্শিদা, যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট মনে হয়নি তাঁকে। বাংলাদেশের পথ হারানোর শুরুও সেখান থেকেই। সে সময় ১৪ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে কার্যত লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা। পঞ্চম উইকেটে ফাহিমা খাতুন ও স্বর্ণা ৩০ রানের জুটি গড়লেও তাতে পার্থক্য গড়ে ওঠেনি। দুই স্পিনার সোফি মলিনু ও অ্যাশলেই গার্ডনার নেন ৩টি করে উইকেট নেন।

এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফোবি লিচফিন্ডের উইকেট তুলে নেন ফারিহা। লিচফিল্ড ব্যর্থ হলেও হ্যারিস ও জর্জিয়া ঠিকই রান পেয়েছেন। দুজন মিলে ৯ ওভারে তুলেছেন ৯১ রান। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দিশেহারা ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ১২তম ওভারে প্রথম আঘাত হানেন নাহিদা আক্তার। ফিফটি করা জর্জিয়াকে (৫৭) বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এই স্পিনার।

পরের ওভারেই জোড়া আঘাত ফাহিমার। অ্যাশলি গার্ডনার (৫) এবং গ্রেস হ্যারিসকে (৪৭) ফেরান ওই এক ওভারেই। এরপরেই অবশ্য আরেকটা ভালো জুটি পায় অস্ট্রেলিয়া। এলিস পেরি (২৯) এবং তাহলিয়া ম্যাকগ্রা (১৯) দুজনেই ছিলেন আগ্রাসী। দলের স্কোর ১৫০ পেরোয় তাদের দুজনের সুবাদেই। ১৯তম ওভারে নাহিদা ফেরান তাহলিয়াকে।

মাঝে এলিস পেরি ও তালিয়া ম্যাকগ্রা যোগ করেন ৩৯ রান, যদিও তাতে লেগে যায় ৩৪ বল। ব্রেক থ্রুয়ের খোঁজে বারবার বোলার পরিবর্তন করা বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার ব্যবহার করেন সাতজনকে। প্রথম ৩ ওভারে ১৩ রান দেওয়া ফারিহাকে আনেন শেষ ওভারে।

ওভারের শেষ তিন বলে এলিস পেরি, সোফি মলিনিউ এবং বেথ মুনির উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের দেখা পান ২১ বছরের তরুণ এই পেসার। পেরি এবং সোফি দুজনেই ক্যাচ আউটের শিকার হন। স্বর্ণা নিয়েছেন পেরির ক্যাচ। আর মুরশিদার হাতে ক্যাচ দেন সোফি মলিনিউ। আর শেষ বলে বেথ মুনিকে দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তৃষ্ণা। যদিও এর আগেই নিজেদের ব্যাটিং শক্তি দেখিয়েছে অজি নারীরা। যা মিরপুরের মাঠে নারীদের টি-টোয়েন্টিতে নতুন দলীয় সর্বোচ্চের রেকর্ড। এ মাঠে নারীদের টি-টোয়েন্টিতে দলীয় সর্বোচ্চের রেকর্ডটাও ছিল অজি নারীদেরই। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ১৪০ রান করেছিল অজি নারীরা। সব মিলিয়ে ম্যাচে বল হাতে ৪ ওভারে ১ মেইডনসহ ১৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তৃষ্ণা।